প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইংলিশবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, দুই যুবককে খুনের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনাস্থলে অর্জুন এবং ফুলচাঁদকে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন রাস্তায় মারা যান। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে অন্যজনের মৃত্যু হয়।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্বত্যা গ্রামের অনেকে মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। গ্রামের পুকুর তাঁরা লিজে চাষ করেন। সমবায় পদ্ধতিতে যুবকরা একসঙ্গে মাছ চাষ করেন। বুধবারের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত। অন্য পক্ষের লোকজন একটি মাছ ধরার জাল চুরি করেছে বলে অপরপক্ষ অভিযোগ তোলে। যদিও অভিযুক্তরা তা অস্বীকার করে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিকও হয়। তারপর আবার নতুন করে গণ্ডগোল বাঁধে। তাতেই দু’জনের প্রাণ যায়।
অর্জুনের স্ত্রী টিঙ্কু ঘোষ বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমার স্বামী সহ কয়েকজনের মাছ ধরার জাল নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। জাল আমরা নিয়েছি বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে। এনিয়ে বুধবার বিকেলে একপ্রস্থ বচসা হয়। রাত ৯টা নাগাদ ফোন করে স্বামী সহ অন্যান্যদের গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে ডেকে পাঠানো হয়। মাছ ধরা হবে ভেবে স্বামী খালি হাতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে ভোজালি, হাঁসুয়া প্রভৃতি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। রাতের অন্ধকারে স্বামী, ভাসুর সহ কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি পুলিসের কাছে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত এক যুবকের আত্মীয় বলেন, দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। জনা তিনেক জখম হয়েছে। আমার এক আত্মীয়কে পুলিস আটক করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও সে মারধরে জড়িত ছিল না। আমরা বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছি।