প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বুধবার রাতে পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার দোলা দাসের কুলীনপাড়ার বাড়িতে বোমা মারার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দোতলার জানালার কাচ ভেঙে যায়। আসবাবপত্রেরও অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার পর আতঙ্কে বাড়ির লোকজন। দোলাদেবীর কথায়, বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি, ধোঁয়ায় ঘর ভরে গিয়েছে। ঘরের ভিতর ছড়িয়ে রয়েছে কাচ। খবর পেয়েই খড়দহ থানার পুলিস সেখানে আসে। দলের এক নেতার উস্কানিতেই দুষ্কৃতীরা এসব করেছে বলে দোলাদেবীর দাবি।
এই বাড়িতেই থাকেন দোলাদেবীর শাশুড়ি বৃদ্ধা অনিমা দাস। গত শনিবার এখানেই বৃদ্ধার মেজ ছেলে বিশ্বজিৎ দাস তাঁর মা ও বউদিকে ঘরে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেন। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে খড়দহের পুর প্রশাসক কাজল সিনহার দিকে। খড়দহ শহর তৃণমূলের সভাপতি সুকণ্ঠ বণিকের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত দোলা দাস। তাঁর অভিযোগ, সেদিন যাঁরা তাঁর দেওরের সঙ্গে এসে তালা দিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই কাজল সিনহার অনুগামী। যদিও কাজলবাবু ওইদিনের ঘটনাকে পারিবারিক বিষয় বলে বর্ণনা করেন। অনিমা দাসের অভিযোগ, আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। দোলাদেবীর কথায়, এভাবে কী কোনও মানুষ বাঁচতে পারে! আগের দিন তালা বন্ধ করে রাখা হল। এদিন বোমাবাজি করা হল। পুলিস প্রশাসন জানে, কারা দোষী। তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।
সুকণ্ঠবাবু বলেন, আমার মনে হয়, দোলাদেবীর স্বামী গোপাল দাস দলের নেতা। ওঁকে খুন করার জন্যই বোমা মারা হয়েছে। ওঁকে ভয়ও দেখানো হচ্ছে। কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তা আমি গত শনিবারই বলেছি। এভাবে দল চলে না। পুরভবনে মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে। কারা বোমা মেরেছে, জানি না। তবে আগের দিন তালা ঝুলিয়েছিল, তারাই বোমাবাজি করেএছ বলে মনে হয়। পুর প্রশাসক কাজল সিনহা এপ্রসঙ্গে বলেন, পারিবারিক বিবাদ থেকেই এসব ঘটেছে বলে মনে হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।