প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বারুইপুর শহরে হারিয়ে গিয়েছিল নিরবিলিতে হাঁটার জায়গা। বাসিন্দারা কামালগাজি-বারুইপুর শাসন বাইপাসকেই হাঁটার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভোরের বেলাতেও বাইপাসে গাড়ির চাপে ঘটছিল দুর্ঘটনা। বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপারটি দেখার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি উদ্যোগ নেন বাইপাসের পাশে আদিগঙ্গার সৌন্দর্যায়নের। জানা গিয়েছে, ২০১৯-এর অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয় এই কাজ। এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আদি গঙ্গার পাড়ে থাকছে হাঁটার জায়গা। এজন্য পুরো জায়গাতেই বসানো হয়েছে টাইলস। করা হয়েছে বসার জায়গা। সিমেন্টের কাঠামোর উপর দেওয়া হয়েছে মার্বেল। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। যদিও পদ্মপুকুর থেকে বংশীবটতলার দিকে কাজ এগলেও শাসন কালভার্ট থেকে কাজ শুরুই হয়নি। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, উম-পুনের জন্য কাজে দেরি হয়েছে। তবে কাজ শুরু হয়ে যাবে, আলোচনা চলছে। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আদি গঙ্গার পাড়ও বাঁধাই করা হবে। ইতিমধ্যেই কচুরিপানা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাড়ে অনেক জায়গায় অস্থায়ী দোকান নির্মাণ হয়েছিল। তা প্রশাসনের সহযোগিতায় কিছু জায়গায় তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি দোকানও তাড়াতাড়ি তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এর মধ্যে পড়া বংশীবটতলা ও দক্ষিণ কল্যাণপুর শ্মশান ও পঞ্চাননতলা কালীমন্দির সংস্কার করা হবে। আদিগঙ্গায় যাতে প্রতিমা বিসর্জনে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য পদ্মপুকুর থেকে বংশীবটতলা পর্যন্ত অংশে দুটি ঘাটও নির্মাণ করে দেওয়া হবে। নির্বাহী বাস্তুকার বলেন, জায়গাটি এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে, যা নজর কাড়বে। যেখানে পাড়ে লাইনিং করা যাবে না সেখানে শালবল্লা পাইলিং করা হবে। এছাড়া পাড় বরাবর লাগানো হবে জুনিফার ও মেক্সিকান কার্পেট ঘাস। পাশাপাশি, সোনালি গাঁদা, লাল জবা, হলুদ বাহারি ফুল, ছোট ছোট ঝাড় গাছ, বোগেনভুলিয়া, সোনালি চাঁপা বসানো হবে এলাকা জুড়ে। মাশরুম আলো দেওয়া হবে ঝাড় গাছে। যা সন্ধের পর আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আদি গঙ্গার ধারে এক মনোরম পরিবেশ পাবেন বাসিন্দারা। পরবর্তীকালে গঙ্গায় নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তাও দেখা হবে।