প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সম্প্রতি ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের বিএসএফ-বিজিবি ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ইলিশ পাচারের বিষয়টি উঠেছিল। সেই সময় বিজিবি’র তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও যে ওপারের নজরদারিতে ফাঁক রয়েছে, তা ফের বুধবার প্রমাণিত হল। পেট্রাপোলে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল ১০০ কেজি ইলিশ। ১৭৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে নজরদারি করার সময় একটি ট্রাক আটক করে এবং তাতেই ওই বিপুল পরিমাণ ইলিশ বাজেয়াপ্ত হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ পেট্রাপোলে রুটিনমাফিক নজরদারি চালাচ্ছিলেন জওয়ানরা। সেই সময় বাংলাদেশের দিক থেকে একটি ট্রাক ভারতের দিকে ঢোকে। জওয়ানরা সেই ট্রাকটি তল্লাশি করতে গিয়ে দেখে তাতে ছ’টি বড় ব্যাগ। এত বড় ট্রাকে ছ’টি ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। তল্লাশি করতেই দেখা যায়, প্রায় ১০০ কেজি ইলিশ মাছ। এরপর ওই ট্রাকচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে জানায়, তার নাম সাইফুদ্দিন। দত্তপুকুরের কালিয়ানে তার বাড়ি। সে ভারতীয় নাগরিক। গত ১৫ বছর ধরে সীমান্ত দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে সে বনগাঁয় থেকে কাজকর্ম করে। সম্প্রতি সে বাংলাদেশে গিয়েছে মোটর পার্টসের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সেখানে দিয়ে আসতে। ট্রাকটি খালি করে আসার সময় বেনাপোলে একজনের সঙ্গে তার আলাপ হয়। ওই বাংলাদেশি তাকে ছ’টি ব্যাগ দেয় এবং বলে বনগাঁর একজনের কাছে তা পৌঁছে দিতে। এই কাজের জন্য বাংলাদেশি ওই দালাল তাকে ছ’হাজার টাকা দেয়। কিন্তু সেই ব্যাগে কী ছিল, সে জানত না বলেই বিএসএফের কাছে দাবি করেছে। জওয়ানরা আটক করা ওই চালক এবং বাজেয়াপ্ত ইলিশকে পেট্রাপোলে কাস্টমসের হাতে তুলে দিয়েছে। বারবার ইলিশ এপারে পাচার হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কাস্টমসের কর্তারাও। পেট্রাপোলে কাস্টমসের দায়িত্বে থাকা এক কর্তার কথায়, ইলিশ পাচারে যারা যুক্ত, তাদের গ্রেপ্তার করে দীর্ঘদিন ধরে জেলে রাখার ব্যাপারে কোনও ধারা নেই। তাই সামান্য জরিমানা নিয়েই অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ছেড়ে দেওয়ার কারণে বারবার একই অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে অভিযুক্তরা। এদের সঙ্গ দিচ্ছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা কম দামে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এনে এপারে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। তাতে রাজস্ব আদায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেই দাবি ওই কর্তার।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি এস এস গুলারিয়ার কথায়, পেট্রাপোলের স্থলসীমান্ত এবং ইছামতী নদী, এই দু’টি জায়গা যেন ইলিশ মাছ পাচারের অন্যতম বড় করিডর হয়ে উঠেছে। বিজিবি-কে বারবার বলা হচ্ছে, এই অংশগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য। ও-পার থেকে ইলিশ পাচার রুখতে কড়াকড়ি করা না হলে এপারের অনেক ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে তিনি মনে করেছেন।