প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
গত কয়েকমাসে বদলে গিয়েছে ছবিটা। পর্বতশ্রেণীর আড়ালে আর মুখ লুকিয়ে নেই পূর্ব লাদাখের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম চুশুল। চারদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি। বিগত মে মাসে এই পার্বত্য গ্রামের আশপাশের একাধিক অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল ভারত-চীন সংঘর্ষে। দু’দেশই যে চূড়ান্ত আঘাতের সুযোগ খুঁজছে, সে কথা মোক্ষম বুঝেছেন সেরিং। চুশুলের পাহাড়ি যুবতী। বয়স ২৮। যুদ্ধ বাধলে ধারেভারে কেএগিয়ে থাকবে, এই সামরিক বুদ্ধি সেরিংয়ের নেই। কিন্তু তিনি জানেন, আসন্ন শীতে সীমান্তে মোতায়েন ভারতের জওয়ানদের হাতে রসদ পৌঁছে দিতে হবে। না হলে লড়াই শুরুর আগেই অনেকটা পিছিয়ে পড়বেন তাঁরা। যে কারণে চুশুলের শতাধিক যুবক-যুবতী মিলে ঠিক করেন, যে করেই হোক সেনার পাশে দাঁড়াতে হবে। পৌঁছে দিতে হবে খাবার, পথ্য, জ্বালানি। নইলে দুর্দান্ত চীনা ফৌজের সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। আর তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁদের গ্রামকেও ছিনিয়ে নেবে চীন। সিরং জানেন না, ভারত কতটুকু। ঠিক কত বড়। কিন্তু দেড় হাজার গ্রামবাসীর বসত যেখানে, সেই চুশুলের উপর তাঁদের আজন্ম নাড়ির টান। তাই আপাতত নিজেদের গ্রামকে রক্ষা করতে তাঁদের নয়া মিশন হয়ে উঠেছে ‘ব্ল্যাক টপ’। দুর্গম পথ। তার উপর শীতকালে গোটা উপত্যকা বরফের চাদরে নিজেকে মুড়ে ফেলবে। তুষারঝড়ের দাপট পরিস্থিতি করে তুলবে আরও ভয়াবহ। যা করতে হবে, এখনই।
এ তো গেল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা। এর পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উত্তপ্ত। অবসার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনোজ যোশি বলেন, চীনের কৌশলই হচ্ছে, ভারতকে সীমান্ত সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া। কারণ, চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ভারতের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে যতটা সহজ, ভারতের পক্ষে ততটা নয়। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ না হয়েও স্রেফ চোখে দেখা অভিজ্ঞতায় বিষয়টি ভালোই বুঝেছেন সিরিং। তাই উদ্বেগের সুরে তিনি জানান, সীমান্তের যে অংশে ভারতীয় সেনা রয়েছেন, সেখানে জীবনধারণের ন্যূনতম পরিবেশ নেই। আসছে শীতে শুধুমাত্র তাঁবু খাটিয়ে তাঁরা কীভাবে বেঁচে থাকবেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তাঁকে। সিরিংরা জানেন, আগামী কয়েক মাসে অনেক কিছু ওলটপালট হতে চলেছে। গ্রামের ভাগ্য নির্ভর করছে সীমান্ত সংঘাতের ফলাফলের উপর।