প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর কেসিসি’র মাধ্যমে অঋণী কৃষকদের ঋণ প্রদানের শেষ দিন। এখনও ৩৭ হাজারের বেশি আবেদনকারী ঋণ পাননি। জেলার লিড ব্যাঙ্কের দাবি, ওই আবেদনকারীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের নথিপত্র সঠিক থাকবে, তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঋণ দেওয়া হবে। এর আগেও প্রচুর ঋণ প্রদান বাকি ছিল। পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই পথেই হাঁটা হবে কি না, সেটাই জানতে চাইছেন কৃষকরা। কোচবিহার জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক অরুণকুমার বসু বলেন, কেসিসি’র মাধ্যমে অঋণী কৃষকদের ঋণ প্রদানের জন্য আমরা আবেদনপত্র জমা নিয়েছিলাম। তা বাছাই করে অর্থ অনুমোদন দিয়ে ব্যাঙ্কগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা যা আবেদনপত্র পাঠিয়েছি, তারমধ্যে প্রায় অর্ধেক কৃষক এখনও ঋণ পেয়েছেন। বাকিরা পাননি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল আবেদনকারী ঋণ পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার প্রবীরকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আবেদনকারীদের নথি খতিয়ে দেখে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। অনেকেই ঋণ পেয়ে গিয়েছেন। বাকিদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নথিপত্র সঠিক থাকলে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ঋণ পাবেন। জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে চলতি বছরের ১ জুন থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অঋণী কৃষকদের ঋণ প্রদানের জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়। যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলেছে। এবারে মোট ৮০ হাজার ২৫১টি আবেদন কৃষিদপ্তরের কাছে জমা পড়েছিল। তারমধ্যে কৃষিদপ্তর ৭৬ হাজার ৭৮৭টি আবেদনের অনুমোদন দেয় দপ্তর। সেই আবেদনপত্রগুলি ব্যাঙ্কের কাছে পাঠানো হয়। এরমধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৯৩১ জন আবেদনকারীকে ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছে। বাকিরা ঋণ পাননি। ফলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ওই বিপুল পরিমাণ কৃষককে ঋণ প্রদান করা যাবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেসিসি’র মাধ্যমে একজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য ৮০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। সেই হিসেবে কৃষকের জমির পরিমাণ বেশি হলে তিনি আরও বেশি পরিমাণ ঋণ পাবেন।