প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সংসদে পেশ হওয়া ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ডিআরডিও-র সঙ্গে ‘অফসেট’ চুক্তির শর্ত হিসেবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন করেনি দাঁসো অ্যাভিয়েশন। পাশাপাশি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, রাফাল কেনার মোট অঙ্কের একটা অংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে ভারতে আসার কথা। কিন্তু ফরাসি সংস্থাটির তরফে এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পালনের উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ক্যাগের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রাফাল নির্মাতা দাঁসো এবং ইউরোপীয় ক্ষেপণান্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা এমবিডিএ ভারত সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল, ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ডিআরডিও হাল্কা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য ‘কাবেরী’ নামে ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু দাঁসো এখনও পর্যন্ত এই প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়নি। এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি পর্যন্ত। ক্যাগের বক্তব্য, ‘অফসেট’ চুক্তি সংক্রান্ত গৃহীত নীতির প্রত্যাশিত ফল এখনও মেলেনি। এই নীতি ও তার বাস্তবায়ন পুনর্বিবেচনা করে দেখা দরকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। ‘অফসেট’ চুক্তির সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি সরবরাহকারী সংস্থা ও দেশীয় সংস্থাগুলির মধ্যে কোথায় কোথায় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, তা শনাক্ত করা প্রয়োজন। সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
দাঁসো অ্যাভিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘অফসেট’ চুক্তির দায়বদ্ধতা তারা পূরণ করবে। বিগত কয়েক মাসে করোনা সংক্রমণের কারণে সেই প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল মোদি সরকার। এই ৩৬টির মধ্যে পাঁচটি রাফাল বিমান ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে চুক্তি এখনও কার্যকর না হওয়ায় ক্যাগ রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হল। রিপোর্ট সামনে আসার পর কেন্দ্রকে নিশানা বানালেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এদিন তাঁর ট্যুইট, ক্যাগ বলেছে, রাফাল বিমানের নির্মাতারা অফসেট চুক্তি সংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি। অফসেট সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা পালনের এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত ছিল ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। সেই প্রক্রিয়ায় প্রথম বছরের প্রতিশ্রুতি পূরণ হওয়া উচিত ছিল ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ গতকাল। সেই দায়বদ্ধতা পূরণ হয়েছে কি না, সরকার কি সেটা জানাবে? ক্যাগ রিপোর্ট কি কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার সূত্রপাত?