প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের ‘স্ক্যানারে’ রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের মোট ছ’টি কাস্টমস অফিসের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। এমনকী কাস্টমসের কলকাতা দপ্তরের কয়েকজন আধিকারিকও রয়েছেন সন্দেহের তালিকায়। একইভাবে নাম রয়েছে বিএসএফের ২০, ৩৬, ৮৩ নম্বর সহ আরও কয়েকটি ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দু’জন কর্তারও। সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার কাতলামারি সীমান্তে কাস্টমসের যে অফিসটি রয়েছে, তার একজন আধিকারিকের সঙ্গে এনামুলের সখ্য ছিল গভীর। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালগোলা এবং মালদহের কালিয়াচকের দু’জন আধিকারিককে নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের। এনামুল হক, তাঁর দুই শাগরেদ আনারুল শেখ ও গোলাম মুস্তাফা, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার এবং তাঁর ছেলে ভুবন ভাস্করের বিরুদ্ধে গত ২১ সেপ্টেম্বর এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতে রেগুলার কেস (আরসি ০১০/২০২০) শুরু করেছে।
এদিকে, কাঁটাতারের এপারে দাপট চলে মামার। ওপারে নিয়ন্ত্রক ভাগ্নে! গোরু পাচার থেকে জালনোটের কারবার—কোনওকিছুই মামা ও ভাগ্নের ইশারা ছাড়া হয় না। সীমান্তের সেই হুন্ডি কারবারে উঠে এসেছে মামা-ভাগ্নের নাম। মুর্শিদাবাদের ‘বেতাজ বাদশা’ এনামুলের বিভিন্ন ডেরায় সিবিআই হানা দেওয়ার পরই এখন লোকের মুখে মুখে ঘুরছে সেই মামা-ভাগ্নের কাহিনী। মামার কারবারে দেখভাল করা দিয়ে চলা শুরু হলেও, ধীরে ধীরে ভাগ্নে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করেছিল। আর তার জেরেই এনামুলের রোষে পড়ে সেই ভাগ্নে। মুর্শিদাবাদ ছেড়ে প্রথমে সৌদি আরব। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জই এখন ঘাঁটি ভাগ্নের। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সে বাংলাদেশ থেকে পাচার নিয়ন্ত্রণ করে। এপার থেকে যাওয়া গোরু বা নেশার সামগ্রী তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ভাগ্নের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন। সেই থেকে সে গা-ঢাকা দিয়েছে। রাজ্যের কোথাও সে লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা নিয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছেন।