Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ। প্রাইম মিনিস্টার ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্কিং আর রেভিনিউ সেক্টরে কিছু রিফর্ম চাইছিলেন। ইন ফ্যাক্ট বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তও কিন্তু সেইসময় নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই জানেন সে কথা। আমার সঙ্গে প্রণবদার মোটামুটি পরিচয় হয়ে যায় আটের দশকের মাঝামাঝি। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, যখন তিনি কিছুকালের জন্য দল ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন, সেই সময়টায় পরিচয়টা বাড়ল। আর কংগ্রেস যখন সরকার থেকে চলে গেল, সেই ১৯৮৯-৯১ সালের সময়টায় আমাদের ঘনিষ্ঠতার শুরু। অর্থাৎ প্রায় নিয়ম করে দেখাসাক্ষাৎ। পার্টির কোনও মিটিং কিংবা আলোচনায় যোগ দেওয়া। কোনও বিশেষ কাজে তাঁর সঙ্গে বৈঠক। এভাবে সেই তখন থেকেই আমরা পরস্পরের মানসিকতাও একটু করে বুঝতে শুরু করি।
সেই সময় প্রণবদার একটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমি বেশ চমৎকৃত হয়েছিলাম। অত্যন্ত দ্রুত সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি। ছিলেন একজন তীক্ষ্ণ শিক্ষার্থী। যে কোনও অজানা অথবা নতুন পরিস্থিতি কিংবা বিষয়কে বুদ্ধিমত্তা আর শার্প মাইন্ডসেট প্রয়োগ করে দ্রুত বুঝে ফেলার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। যাকে বলা হয় কুইক লার্নার। মনে আছে, ডঃ মনমোহন সিং তখন অর্থমন্ত্রী। আর আমি বাণিজ্যমন্ত্রী। এই ১৯৯১ কিংবা ’৯২ হবে। একদিন একটা ঘটনা ঘটল। ফিনান্সের একটি মিটিং ছিল। প্রণবদা আমাকে মিটিংয়ের পর বললেন, ‘দ্যাখো চিদম্বরম, এফএম (ফিনান্স মিনিস্টার ডঃ মনমোহন সিং) আর তুমি যে ভারতের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ রিফর্ম করে উদারীকরণ করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছ, এটা আমি বেশ বুঝতে পারছি। আর তোমরা দু’জনেই এই রিফর্মটা নিয়ে একপ্রকার বদ্ধপরিকর, সেটাও বেশ বোঝা যায়। আমি নিজে কিন্তু একটু ওল্ড স্কুলের পলিটিশিয়ান। রাজনৈতিক প্রজন্মের ক্ষেত্রেও আমি প্রাচীনপন্থীই বলা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমাদের এই উদারীকরণ আর আর্থিক সংস্কারের যে পরিকল্পনা, এটাকে আমি পূর্ণ সমর্থন করব। আমার বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অর্থনীতিকে চাঙ্গাই করবে।’ প্রণবদা এভাবেই নিজেকে অ্যাডপ্ট করে নিতে পারতেন। সকলেরই মনে আছে নিশ্চয়ই, প্রণবদা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লুটিও) ট্রেড এগ্রিমেন্টে ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে। ফলে তিনি কখনওই নিজের অবস্থান, অভিমত আঁকড়ে বসে থাকতেন না। তিনি ছিলেন বাস্তবপন্থী এক মানুষ।
ঠিক সেই কারণেই তিনি ২০০৯-১০ সালের পর যে বাজেট পেশ করেছিলেন, সেটা ছিল সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং খোলা অর্থনীতির একটি সুচারু মিশ্রণ। যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সঙ্গে লিবারালাইজেশনের সঙ্গে স্টেট কন্ট্রোলের একটা ব্যালান্স রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখানে একটা কথা বলা দরকার। সেই সময় তাঁর সম্পর্কে একটি অভিযোগও উঠেছিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেই সময়সীমায় তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে তৃতীয় স্টিমুলাস প্যাকেজটি দিয়েছিলেন, সেটি হয়তো সঠিক পদক্ষেপ ছিল না। এছাড়া অনেকে এটাও মনে করে যে, ভোডাফোনের ক্ষেত্রে যে কঠোর ট্যাক্স কাঠামো চাপানো হয়েছিল, সেটাও ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, তিনি আর্থিক সংস্কার এবং ধীরে ধীরে অর্থনীতিকে আরও বেশি করে খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সতর্ক ও ভারসাম্যযুক্ত একটি অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাই তাঁকে বলা যেতে পারে কশাস রিফর্মার। অর্থাৎ তিনি সংস্কার করতে চাইতেন, কিন্তু যথেষ্ট সতর্কতা বজায় রেখে।
প্রণববাবু সম্পর্কে একটা কথা খুব চালু রয়েছে। সেটি হল, তিনি কংগ্রেস ও সরকারের ক্রাইসিস ম্যানেজার, কিংবা অল সিজন পলিটিশিয়ান। এটা নিয়ে কিন্তু স঩ত্যিই কোনও সন্দেহ নেই। এই বিশেষণগুলি দেওয়ার কারণ হল, সত্যিই তিনি ছিলেন যে কোনও ক্রাইসিসে আদর্শ নেগোশিয়েটর। সেটা ইন্দো-আমেরিকা পরমাণু চুক্তিই হোক, অথবা ডিএমকে আর কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী জোট। দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা অনেকেই করতে পারে। কিন্তু প্রণববাবু ছিলেন মাস্টার নেগোশিয়েটর। কারণ, প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যে থেকে কিছু একটা মুখরক্ষার ফর্মুলা কিংবা গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র উদ্ভাবন করে ঠিক সহমত নির্মাণে তিনি সফল হয়ে যেতেন। প্রয়োজন হলে নরম হতেন। আবার সময়মতো নিজের কিংবা দল ও সরকারের অবস্থানে অনড় থাকতেন। এ ব্যাপারে আমার সবথেকে বেশি একটি উদারহণই মনে পড়ছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের পরমাণু চুক্তি। যার সমর্থনের জন্য বামপন্থীদের তিনি কীভাবে আশ্বস্ত করেছেন, তা আমরাই জানি। প্রণবদা সর্বদাই ছিলেন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ রাজনীতিতে কোনও চূড়ান্ত বা অনড় সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকের রাজনীতিতে যেটা অনেক বেশি দেখা যায়। সকলেই চরম একটি অবস্থান নিয়ে বসে। অনড় থাকে বিশ্বাস আর মতামতে। অর্থাৎ এক্সট্রিম পজিশন। যা ভারতকে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়েছে আজ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসীদের দল বা সরকারের বোঝা মনে করা হয়। তাঁদের গুরুত্ব নেই। প্রণবদার মতো ঐকমত্য-নির্মাতা রাজনৈতিক ব্যক্তি এখন বিরল।
প্রণবদা প্রতিটি ইস্যুকেই গভীরভাবে অনুধাবন করতেন। তাঁর হয়তো নিজের একটি অভিমত ছিল। কিন্তু যে কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে তিনি প্রত্যেকের মতামত, উত্থাপিত হওয়া প্রতিটি পয়েন্ট শুনতেন চুপ করে। নোট করতেন। আর তারপর সেইসব আলোচনার শেষে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, যাকে বলা যেতে পারে প্রত্যেকের মতামতের যোগফল থেকে সর্বজনগ্রাহ্য নির্যাস। এটা আমি বিভিন্ন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক, মন্ত্রিসভার বৈঠকে লক্ষ্য করেছি। আমি প্রণবদার সঙ্গে ক্যাবিনেটে একাধিকবার বহু বছর ধরে কাজ করেছি। তাই আমি জানি যে, তিনি সরকারের ক্যাবিনেটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। প্রাইম মিনিস্টার (ডঃ মনমোহন সিং) বহু ইস্যুতে সম্পূর্ণভাবে প্রণবদাকে ভরসা করতেন। তিনি জানতেন, কোন ইস্যুতে প্রণবদার অভিমত সর্বাগ্রে প্রয়োজন। আবার একইসঙ্গে আমি দেখেছি, প্রণবদা নিজেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, যোগ্য জুনিয়র এবং রাজনৈতিকভাবে সিনিয়র—দুই ক্ষেত্রেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণবদা বিশেষ সম্মানের জায়গাটি দিতেন। সরকারে থাকাকালীন শারদ পাওয়ারকে গুরুত্ব দিতেন তাঁর অভিজ্ঞতার জন্য।। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন পাওয়ারের সঙ্গে। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্কটি রাজনীতিতে শেখার।
একটা কথা না বললেই নয়। একদিকে যেমন প্রণবদা ছিলেন রাশভারী, সিরিয়াস... আবার অন্যদিকে, তাঁকেই আমি দেখেছি শিশুর মতো খুশি ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে রিঅ্যাক্ট করতে। মনে পড়ছে ২০১২ সালে প্রণবদার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনগুলো। তিনি ছিলেন আমাদের প্রার্থী। সুতরাং তাঁর জয় ছিল আমাদের সকলের দায়িত্ব। অন্যতম অবজার্ভার হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াজুড়ে আমাকেও যথেষ্ট সক্রিয় থাকতে হয়েছে। যেদিন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হল, সেদিন আমিই প্রথম প্রণবদার কাছে গিয়ে বলেছিলাম, ‘কনগ্র্যাচুলেশন। কাউন্টিং শেষ হয়েছে। আপনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।’ হাসতে হাসতে আমি তাঁকে একটি শাল পরিয়ে দিয়ে বললাম, ‘তাহলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন আপনিই।’ সঙ্গে সঙ্গে প্রণবদার মুখ এক অনাবিল হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে গেল। ওই হাসিমুখ আমি ভুলব না। তিনি যে ভীষণ আনন্দ পেয়েছেন, বোঝাই যাচ্ছিল। আর ওই শিশুর মতো সরল ও প্রাণখোলা হাসির মধ্যে থেকেই স্পষ্ট হচ্ছিল যে, এবার তাঁর জীবন ও সাফল্যের মধ্যে যদি সামান্যতম ফাঁকও এতদিন থাকে, সেটি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে।
আজ প্রণবদা নেই। কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের চলমান রাজনীতির কাছে প্রণবদা কীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন? এই প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমি একটিই কথা বলব। প্রণবদা ছিলেন একজন আদর্শ ও একান্তভাবেই নিষ্ঠাবান দলীয় সৈনিক। স্বদেশ ছিল তাঁর কাছে সর্বোত্তম। তারপর তাঁর কাছে পার্টিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রণবদা বিশ্বাস করতেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটি ভুমিকা পালন করে। এই ভূমিকার প্রতিফলন প্রণবদার তৈরি করা বহু কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি ও এআইসিসির রাজনৈতিক প্রস্তাবের মধ্যে প্রতীয়মান হয়ে রয়েছে। ভারতের রাজনীতি তাঁকে মনে রাখবে দলের অনুগত এমন এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, যিনি মনেপ্রাণে সর্বোচ্চ স্থান দিতেন সংসদীয় গণতন্ত্রকে। কোনও সময়ই রাজনীতির ঐতিহ্যশালী রীতি ভাঙেননি তিনি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়, আগাগোড়া বিধিনিয়মে নীতিনিষ্ঠ এক চরিত্র! 
06th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শুধু কমেডিয়ানের পরিধিতে বেঁধে রাখা যায় না তাঁকে। পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা তিনি। প্রত্যেকটা শটে অনন্য। মেধাবি ছাত্র হয়েও বেছে নিয়েছিলেন বিনোদনের জগৎকে। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে আটকে যায় রিমোট। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার তাঁর শতবর্ষ।
বিশদ

23rd  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
একনজরে
 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...

 বিরোধীদের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত তিনটি বিল গাজোয়ারি করে সংসদে পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এনডিএ-র একাধিক শরিক দলও বেজায় ক্ষুব্ধ। ...

 প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে থুতু দেওয়ার অপরাধে চার ম্যাচ নির্বাসিত হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরাসি লিগে প্যারি সাঁজাঁ বনাম মার্সেই ম্যাচের শেষ লগ্নে ...

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM