Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বিশ্লেষণ নয়। উপলব্ধি। কারণ, অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্লেষণ করা যায় না। তাঁর প্রতিভা, দক্ষতা থেকে যতটুকু উপলব্ধি হয়, সেটাই আমাদের মতো অভিনেতাদের কাছে ভাঙিয়ে খাওয়ার মতো। কাজেই ভানু জেঠুকে নিয়ে এক পাতা লেখা যতটা না আনন্দের, ততটা ধৃষ্টতাও বটে। সে যুগের বড় বড় স্টাররা পর্যন্ত তাঁকে সমীহ করে চলতেন। ফ্রেমে একঝাঁক খাঁটি অভিনেতার মধ্যে কীভাবে আলাদা করে দর্শকের চোখে পড়তে হয় তা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে শিখতে হয়। কোন শটে কী করে ফেলবেন, কেউ জানত না।
বেঁচে থাকলে আগামী বুধবার শতবর্ষ পূর্ণ করতেন ভানু জেঠু। বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের কল্যাণে প্রবাদপ্রতীম শিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে ভানু জেঠুই। অভিনয় সম্পর্কে যতটা বুঝি, কোনও অভিনেতাকে দেখে যদি মনে হয় তিনি অভিনয় করছেন, তবে তিনি অভিনয়টাই জানেন না। অভিনয়ের প্রাথমিক শর্ত হল, স্বাভাবিক-সাবলীল আচরণ। যিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র পাঁচ মিনিটের অভিনয় দেখেছেন, তিনিও বুঝবেন ভদ্রলোক কী জাতের অভিনেতা ছিলেন। কাজটাকে ভালো থেকে আরও ভালো করার একটা অদ্ভুত খিদে ছিল ভানু জেঠুর মধ্যে। শুনেছি, রেডিওর অনুষ্ঠান হোক বা থিয়েটার... লাইভ পারফরম্যান্স থাকলেই সাধারণ টেনশনটাও তাঁর বদলে যেত প্যানিকে। বেশ কয়েক বছর অভিনয়ের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝি, ওটা করতেন বলেই এমন স্তরে পৌঁছেছিলেন... যার ধারেকাছ দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। খুব ভালো মনে আছে, থিয়েটার করার সময় সেকেন্ড বেল বাজলেই মনে হতো, একবার বাথরুম থেকে ঘুরে আসি। এখন বুঝি, যতদিন ওই টেনশনটা আছে, আরও ভালো করার খিদেটাও থাকবে।
কমেডি বা কমিক চরিত্রদের ছবির ফ্রেমে দেখে আমরা হেসে কুটোপুটি যাই... একবার ভেবে দেখবেন তো, সেই অভিনেতাদের সঠিক কদর কি আমরা করি? মুশকিলটা এখানেই। অভিনয়ের অন্যতম সেরা ফর্ম কিন্তু কমেডিই। কারণ, কমেডি পুরোটাই নির্ভর করছে টাইমিংয়ের উপর। ধরুন একটা দারুণ সংলাপ, কিন্তু ডেলিভারির টাইমিংটা একটু এদিক-ওদিক করে ফেললেই জল পড়ে গেল। দর্শকের সেই কমেডি দেখে কান্না পাবে। আবার কাতুকুতু দিয়ে লোক হাসানোর চেষ্টা করলেও মুশকিল। কমপ্লিট অভিনেতা হতে গেলে কমেডিটা সঠিকভাবে উতরে দিতে জানতে হবে। ভানু জেঠু সেটা পারতেন। ঠিক সেই কারণেই তিনি একজন কমপ্লিট অভিনেতা। এ ব্যাপারে তর্কের অবকাশ নেই। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অভিনয় গুণে প্রতিটি চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেন। চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতেন। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠা পেতে তাঁর শারীরিক কাঠামো কতটা সাহায্য করেছে? আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, প্রথম জীবনে তাঁর হাড়গিলে চেহারাটাই কি ইউএসপি ছিল? কিছুটা হয়তো ছিল। তবে তিনি তা ধরে বসে থাকেননি। চেহারা দিয়ে প্রথম দু’-চার ধাপ এগনো যায়। কিন্তু তারপর যখন দর্শকরা চেহারা চিনে ফেলেন! আর নিস্তার নেই। তখন কিন্তু অভিনয়টা করতেই হবে। না হলে অভিনেতা ‘এক্সপোজড’ হয়ে যাবেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ছবি ‘জাগরণ’-এ অবশ্য কাজ পেয়েছিলেন তাঁর চেহারার জন্যই। পরিচালক বিভূতি চক্রবর্তী তাঁকে দেখে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ আমার মনে হয়, চেহারাটাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। আবারও বলছি, এই কারণগুলির জন্যই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় কমপ্লিট অভিনেতা।
পরপর দু’টি আলাদা ছবিতে ভানু জেঠুর অভিনয় দেখুন, মনে হবে আলাদা মানুষ। এক বিরল প্রতিভা। এ প্রসঙ্গে ভানু জেঠু অভিনীত দু’ধরনের চরিত্রের উদাহরণ দিই। এক, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-এর কেদার। লিকলিকে চেহারার মেসবাড়ির ব্যাচেলর কেদারের হাসি-ঠাট্টায় মাত হয়েছিল দর্শক। তেমনই ‘নির্ধারিত শিল্পীর অনুপস্থিতিতে’, ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’-র মতো ছবিতে দর্শকদের কাঁদিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর থেকেই বোঝা যায়, অভিনেতা হিসেবে তিনি কোন মাত্রার। তাছাড়া কমিক রোল করা এক অভিনেতা একের পর এক ছবিতে হিরো হিসেবে কাজ করছেন... এমন উদাহরণ আর কটা আছে! মেহমুদ সাহেবও বোধ হয় প্রধান চরিত্র হিসেবে অত ছবি করতে পারেননি, যতগুলি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, পাশের বাড়ি রিমেক হওয়ার সময় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলেন মেহমুদ সাহেব।
‘সাড়ে চুয়াত্তর’-এর প্রসঙ্গ যখন উঠলই, তখন আরও দু’চার কথা না লিখলে অন্যায় হবে। আচ্ছা ভাবুন তো, ছবির সংলাপ যে ‘মাসিমা মালপোয়া খামু’ হবে, কেউ ভেবেছিল! পরে শুনেছি, চিত্রনাট্যে সংলাপটাই নাকি ছিল না। পুরোটাই ছিল ভানু জেঠুর ‘ইম্প্রোভাইজেশন’। ভালো কিছু যেমন আমরা পরবর্তী জেনারেশনকে ‘পাস অন’ করি, এই সংলাপটাও কিন্তু আমাদের পরের প্রজন্ম আমাদের থেকেই জানতে পেরেছে। এমনভাবেই যুগ যুগ ধরে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে চলেছে তাঁর অভিনয়। স্বর্ণযুগ কি আর এমনি এমনি বলে! আসলে সেই সময় একটা পারস্পরিক আদানপ্রদান ছিল। অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে কলাকুশলী—কাজ ছাড়াও একসঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোশগল্প করতে পারতেন। তাতে কী হতো, একটা ‘ভালো’-কে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, মিলত তার রসদ। এখন তো আমাদের শিল্পীদের মধ্যে একসঙ্গে বসে গল্পগুজব ব্যাপারটাই উঠে গিয়েছে। আড্ডা মারতে বসলেও বেশিরভাগেরই হাতের আঙুল আর চোখ আটকে থাকে মোবাইলের স্ক্রিনে। ফলে আদানপ্রদানটা ‘ডাউনলোড-আপলোড’-এ বাঁধা পড়েছে। শুধু কিন্তু অভিনয়ের প্রতি ডেডিকেশন বা প্যাশন নয়, তখনকার শিল্পীদের মধ্যে পড়াশোনারও একটা চল ছিল। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর ছাত্র। কলকাতায় আসার আগে বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা ছিল। সংগঠনের জন্য টিফিন বাক্সে রিভলবারও পাচার করতেন শুনেছি। এখনকার শিল্পীদের মতো তাঁরা উপরচালাক ছিলেন না। একটা চরিত্রকে কীভাবে আরও পারফেক্ট করা যায়, তার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিহার্সালেও কোনও অনীহা ছিল না। ভানু জেঠু নিজেই মারাত্মকভাবে রিহার্সালে বিশ্বাসী ছিলেন। এখন সে সবের আর বালাই নেই! ওঁদের হাতে কাজটার শ্রীবৃদ্ধির জন্য অফুরন্ত সময় ছিল, আমাদের ক্ষেত্রে সময়টারই বড় অভাব। কেন অভাব কেউ জানে না! আমাদের এখন সিরিয়াল-সিনেমার শ্যুটিং হয় যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। তাহলে আর রিহার্সালটা হবে কখন!
যাক গে প্রসঙ্গে ফিরি... অভিনেতাদের ক্ষেত্রে একটা চালু ধারণা হচ্ছে, মঞ্চ ঘুরে পর্দায় এলে ধরে নেওয়া হয় তিনি অভিনয়টা জানেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টা ছিল পুরো উল্টো। শুনেছি, ছোটবেলায় টুকটাক নাটক করলেও সিনেমায় অভিনয়ের আগে কিন্তু তিনি পেশাগতভাবে থিয়েটার শিল্পী ছিলেন না। প্রতিভার বিচ্ছুরণে অবশ্য বায়োডেটায় থিয়েটারের অনুপস্থিতি কাল হয়ে দাঁড়ায়নি। রুপোলি পর্দা হোক কী মঞ্চ, ভানু ছিলেন ভানুতেই। কয়েকটা টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিই...। তখন বাবা থিয়েটার করছেন। মাঝে মধ্যে বাবার সঙ্গে থিয়েটার পাড়ায় চলে যেতাম। বাবাদের শো অনেকবার দেখেছি বলে অন্য শোয়ের জন্য হয়তো ঘুরঘুর করছি। দেখা হয়ে গেল ভানু জেঠুর সঙ্গে। একগাল হেসে তাঁদের শো দেখাতে ডেকে নিতেন। এভাবেই ‘জয় মা কালী বোর্ডিং’ কমপক্ষে পাঁচবার দেখেছি। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেই সময়কার শিল্পীরা অভিনয়ের দোষ-ত্রুটিগুলোও এত সাবলীলভাবে সামলে দিতেন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দর্শক বুঝতেই পারত না। অভিনয় দিয়ে হিপনোটাইজড করে রাখতে পারতেন যেন। একটা মজার ঘটনা বলি, বাবার সঙ্গে একদিন স্টুডিওপাড়ায় গিয়েছি। ‘নিধিরাম সর্দার’ ছবির শ্যুটিং চলছে। ছবিতে এক পুলিস অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ভানু জেঠু। শ্যুটিং চলাকালীন ফিক করে হেসে ফেলেছিলাম। ছবিটি ডিরেক্ট সাউন্ডে হওয়ায় শট এনজি হয়ে যায়। হয়তো বিরক্তই হয়েছিলেন। ‘কে রে হাসলি’ বলে হাঁক পাড়তেই বাবা আমাকে দেখিয়ে দেন। মুহূর্তে সব বিরক্তি গায়েব। ঠোঁটের কোণে সিগনেচার হাসি। মনে আছে, কোলে বসিয়ে একসঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন। জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন, ‘তুই হাসলি মানে তো আমার ছবি রিলিজের আগেই হিট...’।
বাবাকে ভানু জেঠু ডাকতেন ‘শুয়ার’ বলে। ফলে আমায় আর ভাইয়ের ক্ষেত্রে ডাকটা কী হতো বুঝতেই পারছেন। ভাই হওয়ার পর নার্সিংহোমে গিয়ে নাকি বলেছিলেন, ‘শুয়ারটার নাকি বাচ্চা হয়েছে, কোথায় সে?’ এমনই এক অদ্ভুত মজার লোক ছিলেন ভানু জেঠু। ক্যামেরার সামনে হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, সর্বক্ষণ মাতিয়ে রাখতেন। তুখোড় ‘সেন্স অব হিউমার’। যেখানে যেতেন, কথার বিচ্ছুরণে আকৃষ্ট করতে পারতেন আট থেকে আশি সবাইকে। সদা হাস্য ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কিন্তু আক্ষেপ ছিল। তা নিয়ে আত্মকথায় বিস্তারিত জানিয়েছেন স্বয়ং অভিনেতা। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করতে না পারার দুঃখ ‘ভানুসমগ্র’তে রয়েছে। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সত্যজিৎ রায় ছিলেন ‘লম্বা মানিক’। আক্ষেপ থাকলেও তা কিন্তু কখনও প্রতিহিংসার আকার নেয়নি। তখন ছয়ের দশক। ‘অভিনেত্রী সংঘ’ ভেঙে ‘শিল্পী সংসদ’ তৈরি করেছেন উত্তমকুমার। আড়াআড়ি বিভক্ত ইন্ডাস্ট্রি। মহানায়কের দলে রয়েছেন বিকাশ রায়, অনিল চট্টোপাধ্যায়রা। এদিকে ভানু জেঠুর পাশে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনুপ কুমাররা। ‘শিল্পী সংসদ’ তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। সেই সময় জেঠুর কানে আসে, সংগঠনের পক্ষ থেকে সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর মুক্তিতে বাধা দেওয়া হতে পারে। নিয়মিত নাকি সহ শিল্পীদের নিয়ে ‘বিজলী’ সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাহারা দিতেন তাঁরা। তখন কিন্তু ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গে থেকে যাওয়া শিল্পীদের হাতে একটাও কাজ নেই। তাও অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াননি। সেই সময়ের জল-হাওয়ায় তৈরি হওয়া মানুষগুলোর মন ছিল দরাজ। মেজাজ ছিল চিকন। সমান অধিকার... সাম্যে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। নামই যে ছিল তাঁর সাম্য... সাম্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমি এখনও বাবা-ভানু জেঠুদের ওই সময়টাকে মিস করি। তার একটা কারণ অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে এতজন গুণী মানুষের উপস্থিতি। ওঁরা তো শুধুমাত্র অভিনয় নিয়ে পড়ে থাকতেন না! রীতিমতো পড়াশোনা করতেন। ফাঁকা সময়ে নানা বিষয়ে আলোচনা। এখন দেখি, সমালোচনা করলেই রাতারাতি শত্রু হয়ে যেতে হয়! তখনকার শিল্পীদের মধ্যে কিন্তু এরকমটা দেখিনি। উত্তমকুমারের ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে লেখালিখি হওয়ায় মহানায়ক মাস্টার রেখে ইংরেজি শিখেছিলেন। একবার ভেবে দেখুন, উত্তমকুমারের মতো তারকা সমালোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে খামতি ঢাকার চেষ্টা করছেন! আসলে তখন ‘ইগো’র মাত্রাটা এখনকার মতো ঝাড়েবংশে বৃদ্ধি পায়নি। তাই প্রবাদপ্রতিম হওয়ার সত্ত্বেও স্বর্ণযুগের শিল্পীরা পা মাটিতে রাখতে পারতেন। শুধুমাত্র জনতা বা সংবাদমাধ্যম নয়... দিকপাল ওই শিল্পীদের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার একটা বড় জায়গা ছিল নিজস্ব বৃত্ত। অর্থাৎ সহ শিল্পী বা সহকর্মীরা। সম্পর্কটা ধান্দা-বর্জিত থাকায় মোসাহেবি আসেনি। ওঁরা একসঙ্গে বাঁচতেন। এখন কোনও শিল্পী কড়া সমালোচনা করলে হয়তো বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
ওঁদের তৈরি করা ‘বেঞ্চমার্ক’গুলো এখনও ছোঁয়ার সাহস হয়নি। তবে স্বীকার করতে লজ্জা নেই, ভানু বন্দ্যোপায়কে অনুসরণ করি। আসলে কিছু কিছু জায়গা অন্যরকম করা যায় না। কোনও এক্সপেরিমেন্ট চলে না। গুরুরা যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন, সেই পথে চলাই শ্রেয়। কয়েক বছর আগে সন্দীপ রায়ের ‘যেখানে ভূতের ভয়’ ছবিটিতে আমার অভিনয় নাকি খানিক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ছিল বলে প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। আমি কিন্তু মনে মনে খুশিই হয়েছি। কিছু অন্তত শিখতে পারলাম!
দৃশ্যটা মনে পড়ছে... মাধুরীর খোঁজে গিয়েছে সিধু। ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ হয়ে। বলছে, ‘নন্দীদা, আমার মাধুরী এখানে আছে?’ পায়নি সে...। কিন্তু বলেছে, ‘নাই থাক, খুঁজব... ছাড়ব না...।’ কত সহজ একটা কথা। কিন্তু কী অদ্ভুত ডায়ালগ ডেলিভারি! এখনও যেন বসে আছে মাথার মধ্যে। আর আছেন মানুষটা। সময়ের সঙ্গে চলে গিয়েছেন। কিন্তু রয়ে গিয়েছেন এখানেই কোথাও। বাস্তবের মাটিতে। মঞ্চের শক্ত জমিতে। খুঁজছি যে আমরাও। সেই অভিনেতাকে। সেই শিক্ষাকে... আজও।
...............................................
 অঙ্কন : সুব্রত মাজী
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
23rd  August, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
একনজরে
 প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে থুতু দেওয়ার অপরাধে চার ম্যাচ নির্বাসিত হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরাসি লিগে প্যারি সাঁজাঁ বনাম মার্সেই ম্যাচের শেষ লগ্নে ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...

 বিরোধীদের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত তিনটি বিল গাজোয়ারি করে সংসদে পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এনডিএ-র একাধিক শরিক দলও বেজায় ক্ষুব্ধ। ...

 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM