Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই বিরাট অগ্রগতি, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জনক, তাঁর নাম এডওয়ার্ড জেনার।
তারপর থেকে টিকা আবিষ্কারের গবেষণায় মানবসভ্যতা অনেক পথ এগিয়েছে। এবং আমরা পেয়েছি নানা ভ্যাকসিন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে, ব্যাকটিরিয়াজনিত রোগ আটকাতে এবং নানা পরজীবীর আক্রমণ ঠেকাতে তা কাজ করে। স্মল পক্সের টিকা তৈরির মাধ্যমে ১৭৮৬ সাল থেকে যে জয়যাত্রার রথ চলতে শুরু করেছিল, তার গতি কিন্তু আস্তে আস্তে কমে এসেছে। কেন এমন হল?
সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে বুঝতে হবে, অহরহ চলতে থাকা লড়াইয়ের কাহিনী। মানুষ বনাম রোগ জীবাণুর যুদ্ধ। আমাদের যে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা, তার গালভরা নাম ইমিউনিটি (প্রতিরোধ ক্ষমতা)। সেই ইমিউনিটির কিছু সৈনিক আমাদের জন্মলগ্ন থেকেই সঙ্গে থাকে। আর অন্যান্য কিছু সৈনিক তৈরি হয় পৃথিবীর বুকে আমাদের বড় হয়ে ওঠা ও হাঁটাচলার পথে। শরীর যখন নানা সংক্রমণের মুখোমুখি হয়, তখন এই সৈনিকরা জন্ম নেয়। কেউ কেউ থেকে যায় সেই যুদ্ধের স্মৃতি-ক্ষমতা নিয়ে। পরে যদি আবার সেই জীবাণু আক্রমণ করে, তারা পুরনো স্মৃতিশক্তির দৌলতে খুব তাড়াতাড়ি কাজে নেমে পড়ে। রোগ-জীবাণুকে যুদ্ধে হারাতে।
এ তো গেল মানুষের লড়াই। কিন্তু রোগ-জীবাণুকেও তো বেঁচে থাকতে হবে। তারাও তাই খুঁজে বেড়ায় নানা রাস্তা। যার মাধ্যমে মানুষের প্রতিরোধী ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়া যায়। এইচআইভি সরাসরি আক্রমণ হানে ইমিউনিটির জন্য দায়ী কোষগুলোর উপর। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, সৈনিকদের যে জেনারেল (দলনেতা কোষ) নির্দেশ দেয়, তাকেই আক্রমণ করে এইচআইভি। ফলে সৈনিক দলের ক্ষমতার মূল ভিতটাই হয়ে যায় নড়বড়ে। আবার অন্য কিছু ভাইরাস শিখে নিল কীভাবে শরীরের কিছু কোষের মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে থাকতে হবে। যাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বহনকারী সৈনিকরা তাদের খোঁজ না পায়। যখন প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু দুর্বল হবে, যেমন বয়সজনিত কারণ বা ডায়াবেটিস হলে, তখন এই ভাইরাস বেরিয়ে আসবে লুকানো আস্তানা থেকে। এর উদাহরণ হারপিস ভাইরাস।
কিছু ভাইরাস আছে, যারা তাদের বাইরের আবরণ বদলে ফেলে। যার ফলে সেই ভাইরাসটাকে সহজে চিনতে পারে না শরীরের প্রতিরোধকারী সৈনিকরা। ফলে তারা অনেক সময়ই শরীরের অন্যান্য কোষে ঢোকা আটকাতে পারে না। এই ধরনের ‘চালাক’ ভাইরাস হল ইনফ্লুয়েঞ্জা। এভাবে বাইরের আবরণ বদলে তাদের বিরুদ্ধে তৈরি করা ভ্যাকসিনকেও ধোঁকা দেয় নানা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসেরও ক্ষমতা আছে রূপ বদলানোর। ফলে সেও মানব সভ্যতার দিকে জব্বর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা। একজন মানুষ থেকে আর এক জনে। এ সবই ভাইরাসরা করছে বেঁচে থাকার তাগিদে। সংখ্যায় বাড়বে তারাও।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যদি জানি কী করে ভ্যাকসিন বানানো যায়, তাহলে কেন কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে (সার্স কোভ টু) তাড়াতাড়ি সেই জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছি না? কেন তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বানিয়ে বাজারে আনতে পারছি না? বিজ্ঞানও তো ‘জেনারে’র সময় থেকে এগিয়ে এসেছে অনেক। নতুন নতুন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন বানানোর কৌশল এখন মানুষের আয়ত্তে। তবে কেন ভ্যাকসিন তৈরি হবে না? এখানে একটু থামতে হবে আমাদের। ভাবতেও হবে।
নতুন কিছু আবিষ্কার হল চিকিৎসা বিজ্ঞানে। ধরা যাক ওষুধ বা ভ্যাকসিন। সেটা কার্যকরী কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। দেখা গেল, সেই প্রতিষেধক কাজ করছে, কিন্তু পাশাপাশি যদি মারাত্মক কোনও ক্ষতি করে দেয়? তাহলে তো মুশকিল! তাই কার্যকারিতা বা এফিকেসি পরীক্ষা করতে কিছু ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাহলে দেখি কী কী ধাপ...।
সর্বপ্রথম পরীক্ষাগারে ভ্যাকসিন তৈরি করা। তারপর অন্যান্য প্রাণীদেহে তার প্রয়োগ এবং ফলাফল যাচাই। ছোট ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর, গিনিগিপ বা জেব্রা, মাছ লাগে এই পরীক্ষায়। আবার বড় প্রাণীও দরকার... বাঁদর বা শিম্পাঞ্জি। রোগ ভিত্তিতে প্রাণী বাছা হয়। কিন্তু অনেক সময়ই এইসব প্রাণীর মধ্যে রোগ-জীবাণুরা তেমন প্রভাব বিস্তার করে না, যা হয় মানুষের শরীরে। তাই পরবর্তী পর্যায়ে প্রয়োজন মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’।
ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে দেখা হয়, মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কি না। এবং তা ইমিউনিটির সৈনিকদের (কিছু প্রোটিন, কিছু কোষ) তৈরি করতে পারছে কি না। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা আরও যাচাই হয়। ঠিক করা হয়, কী মাত্রায় সেটি দেওয়া যেতে পারে। বুঝে নেওয়া, প্রয়োগের পর শরীরের সেনাবাহিনীর অবস্থা কী হল, যাতে তারা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তৃতীয় এবং ট্রায়ালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে বহু সুস্থ মানুষকে সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়।
মনে রাখা দরকার, আগের দু’টি পর্যায়ে পাশ করতে না পারলে এই পর্যায়ে আসা যাবে না। তৃতীয় ধাপেই তুলনা করে দেখতে হবে, ভ্যাকসিনটি কাজ করেছে কি না। পরীক্ষাগারে ভ্যাকসিন তৈরির শুরুর থেকে এই পর্যায় পর্যন্ত আসতে আগে সময় লাগত ১০ থেকে ১৫ বছর। কখনও আরও বেশি। তবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে ভাবনাচিন্তা চলছে, কীভাবে এই সময়ের ব্যবধান নামিয়ে আনা যায়। ইবোলা, নিপা ও জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় এই প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পেয়েছে।
তার পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, দ্রুত কাজ করতে গিয়ে যেন কোনও ফাঁক না থেকে যায়। মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়। বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে যেন ব্যবসায়িক স্বার্থ অস্বচ্ছ করে না দেয়। এই সব কিছু মাথায় রেখেই মনে করা হচ্ছে, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব। ভারতে আইসিএমআরের পাশাপাশি এগিয়ে আসছে বহু ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই প্রসঙ্গে মনে রাখা ভালো যে, ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন শুধু ভারতের জনগণের জন্য নয়। অন্যান্য দেশেও ব্যবহৃত হয়। কারণ তার গুণগত মান ভালো এবং দাম কম।
প্রথম চ্যালেঞ্জ হল ভাইরাসকে কব্জা করা। সেই পর্বটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাইরাসটাকে না কব্জা করতে পারলে ভ্যাকসিন তৈরিও সম্ভব নয়। জানুয়ারি মাসের শেষে চীনের উহান থেকে কেরলে ফেরা ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর এল। কিন্তু করোনার ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’কে ধরা গেল না। সেটা প্রথম সম্ভব হল ইতালি থেকে আসা ইতালিয়ান এবং ভারতে সংক্রামিত তাঁদের আত্মীয়দের থেকে। তারপরই আগ্রা থেকে খবর এল সংক্রমণের। সেখানেও ভাইরাসটা পাওয়া গেল। সেই হিসেবে পরীক্ষার জন্য প্রথম করোনার ভাইরাস সার্স কোভ-টু মিলল মার্চ মাসে। পাঠানো হল পুনেয়। আইসিএমআরের প্রতিষ্ঠান এনআইভি অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে।
সার্স কোভ-টু-র ১২টা পজিটিভ স্পেসিমেন নিয়ে পরীক্ষা হল। এর মধ্যে আটটা ইতালিয়ান এবং তাদের আত্মীয়দের। বাকি চারটে আগ্রা এবং ইতালি থেকে আসা তাঁদের পরিচিত দিল্লির বাসিন্দাদের। এক মাসের কিছু সময় ধরে চলল পরীক্ষা। জীবন্ত ভাইরাস নিয়ে কালচার। তারই একটি অংশ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ‘ভারত বায়োটেক’কে দিল আইসিএমআর। ভা‌ইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়ায় জীবন্ত ভাইরাস ওদের দেওয়া হয়েছে। ভারত বায়োটেক সেটাকে নিষ্ক্রিয় বা ইনঅ্যাক্টিভ করেছে। কীভাবে করেছে, সেটা ওদের সিক্রেট। তবে সাধারণত, হিট কিলড, ফর্মালিন দিয়ে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করা হয়। এক একটা ভাইরাস এক এক পদ্ধতিতে নিষ্ক্রিয় হয়। তারপর তার থেকে তৈরি করা হয় ভ্যাকসিন। এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে চাই যে, স্রেফ ভারত বায়োটেকই নয়, ভারতের আরও দুই কোম্পানি ‘সিরাম ইনস্টিটিউট’ এবং ‘ক্যাডিলা’ও করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। আইসিএমআর জড়িয়ে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিনে’র সঙ্গে। আইসিএমআরের গবেষক হিসেবে আমিও সেটির সঙ্গে যুক্ত। নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণে। টিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, প্রয়োগ পর্বে নিরাপত্তা এবং তার কার্যকারিতা। ফেজ ওয়ানে সেটাই সবচেয়ে অগ্রাধিকার নিয়ে দেখা হয়। অ্যানিমাল ট্রায়ালে ফল পাওয়ার পরই হিউম্যান ট্রায়াল। ফেজ ওয়ান। সেখানে দেখতে হয় ভ্যাকসিন দেওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কী হচ্ছে। কারও হয়ত ধুম জ্বর এল, কারও শুরু হল পেটে ব্যথা, কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করলেন। কারও শরীরে বেরল র‌্যাশ। তাহলে বুঝতে হবে ভ্যাকসিনটায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কিন্তু যদি বেশিরভাগেরই কোনও অসুবিধা না হয়, তখনই সফল ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ফেজ টু-তে। সেখানে অনেক বেশি লোকের (স্বেচ্ছাসেবক) উপর দু’টি অংশে ভাগ করে দু’টি ভ্যাকসিন আলাদা আলাদা গ্রুপকে দেওয়া হয়। আইসিএমআর যে করোনার ভ্যাকসিনের কাজে লিপ্ত, অর্থাৎ কোভ্যাকসিন... ফেজ টু-তে তা প্রয়োগ হবে একটি গ্রুপে। অন্য গ্রুপকে দেওয়া হবে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের (জেই) টিকা। এবার দু’টি গ্রুপের উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখা হবে, ফল কী হচ্ছে। যদি দেখা যায়, যাঁদের কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে হয়তো অল্প লোকের করোনা হল। অথবা কারও হলই না। আবার যাঁদের জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তাহলে বুঝতে হবে কাজ করছে কোভিডের নতুন ভ্যাকসিন।
আর যদি উল্টোটা হয়? অর্থাৎ যাঁদের জেই’র টিকা দেওয়া হয়েছে সেই গ্রুপে যতজনের করোনা হল, তার চেয়ে বেশি হল কোভিডের টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের? তাহলে জানতে হবে, কাজ করছে না করোনার নতুন ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও শরীরে সেটি নতুন কোষ, অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সময় নেয় কমপক্ষে ১২-১৪ দিন। তারপর শুরু চ্যালেঞ্জ— সেই দেহে যদি ভাইরাস ঢোকে, তাহলে প্রতিষেধক কীভাবে কাজ করছে, বা আদৌ করছে কি না। কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ০.৫ মিলির দু’টি ডোজ দেওয়া হবে। ইঞ্জেকশন আকারে। প্রথমটি দেওয়ার ১৪দিন পর দ্বিতীয়টি। গোটা দেশে ১ হাজার ১২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষাটা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫০ জনের উপর চলবে নিরীক্ষণ। প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ থেকে ৬৫ বছর বয়স্কদের উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলবে।
তাই প্রবল ধৈর্য্য, পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়েই এক একটি ফেজ কাটাতে হয়। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ফেজ টু ট্রায়ালে ভ্যাকসিন কাজ করছে, সংখ্যাতত্ত্বে প্রমাণ হলে তবেই ফেজ থ্রি ট্রায়াল। অনেক বেশি লোকের মধ্যে প্রয়োগ। তার সংখ্যাতত্ত্ব দেখে তবেই বলা যায় টিকা সফল। তখনই সাধারণের জন্য প্রয়োগের উপযোগী হয়। তার আগে মোটেই নয়। তাই আর যাই হোক, ভ্যাকসিন তৈরি বাজারে তাড়াতাড়ি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছ কেনা নয়।
........
লেখক: প্রধান, এপিডেমিনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিসেস ডিভিসন (আইসিএমআর-হেডকোয়ার্টার, নয়াদিল্লি), ডিরেক্টর আ‌ই঩সিএমআর-ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নারী), পুনে
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
19th  July, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শুধু কমেডিয়ানের পরিধিতে বেঁধে রাখা যায় না তাঁকে। পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা তিনি। প্রত্যেকটা শটে অনন্য। মেধাবি ছাত্র হয়েও বেছে নিয়েছিলেন বিনোদনের জগৎকে। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে আটকে যায় রিমোট। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার তাঁর শতবর্ষ।
বিশদ

23rd  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
একনজরে
 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...

 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM