খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
শম্ভুনাথের এই ‘হোয়াইট টাউন’-এর দিকে আসতে ভালোই লাগে। একটা গতি। একটা কর্মচঞ্চলতা। অপরদিকে ব্ল্যাকটাউন যেন ধীর গতির গরুর গাড়ি মতো চলেছে তুলসি মঞ্চের পাশ দিয়ে মাটির রাস্তা ধরে। পকেট থেকে সোনার চেন বাঁধা প্রিয় ঘড়িটা বার করে সময় দেখে নিলেন বিচারপতি শম্ভুনাথ পণ্ডিত। ফিটনের দু’পাশের পাদানিতে লাল পাগড়ি আর ইয়া মোচওয়ালা বিশাল বপুর ভোজপুরি পাহারাদার। কোচম্যান ফাঁকা রাস্তাতেও মুহূর্মুহু হাঁক পাড়ছে – হোড়ড়ুড়ুড়ুড়ু। পথচলতি কিছু মানুষ। গুটিকয় সাহেব-সুবো আপিস চলেছে। তালপাতার বড় বড় ছাতা নিয়ে তাদের পাশে পাশে চলেছে চাকরেরা। আর অন্য হাতে সাহেবের বাক্স। বাঙালি গৃহস্থ চলেছে ধুতি আর চাদরে। একটু বর্ধিষ্ণুদের সুতির কোট, গায়ে চাদর, মাথায় পাগড়ি। এখন শীতকাল। গঙ্গার বুকে তখনও আবছা কুয়াশা। গাছের পাতাগুলো সারারাত শিশিরে ভিজেছে। চকচক করছে সারসার সজীব গাছগুলি। তাকিয়ে থাকলেই প্রশান্তি আসে। খিদিরপুর থেকে জাহাজের ডাক ভেসে এল, ভোঁওওও...। গাড়ি সোজা ঢুকে পড়ল আইন পাড়ায়।
হাইকোর্টের পুরনো দোতলা বাড়ির একতলায় সুসজ্জিত এজলাস। এজলাস শুরু হবে এগারোটায়। একে একে হাইকোর্টের সামনে এসে থামছে ফিটন, ব্রুহাম, ল্যান্ডো, স্প্রিং বডি, অ্যাস্কোট। এই ঘোড়ার গাড়িগুলির মধ্যে অ্যাস্কোটের দাম সবচেয়ে কম, মাত্র পঞ্চান্ন গিনি। দাম ও মর্যাদা অনুযায়ী গাড়িগুলিকে সামনের ফাঁকা মাঠে রাখা হয়। গাড়ি থামলেই পেসকা্র, মুহুরির দল যার যার বাবুর কাছে দৌড়ে আসে। পুলিস ভিড় সরায়। দারোয়ান পথ করে নিয়ে যায়। হাতে খোলা তলোয়ার। ঝকঝকে রঙদার পোশাক। শম্ভুনাথ নামলেন। পেছনে লাল ঝালর দেওয়া সিল্কের টেইল। সেই টেইল ধরার জন্য একজন চাপকান পড়া চাকর। তার পেছন উইগ পড়ানোর চাকর। তার হাতে উইগ। বাক্সের ভেতর সিল্কের কাপড়ে জড়ানো। বড্ড ধুলো উড়ছে বলে বাড়ি থেকে কাপড় জড়িয়ে বহু যত্নে নিয়ে এসেছে ধোপা। পাঙ্খাপুলাররা সব ঘরে ঘরে এক সাথে দড়ি টেনে ঝালর দেওয়া ঝোলানো পাখা টানতে শুরু করল। মশা ও মাছি তাড়াতে গিয়ে শীতকালেও পাঙ্খাওয়ালাদের বিরাম ছিল না। শম্ভুনাথ পণ্ডিত ধীরে ধীরে প্রবেশ করলেন কোর্টে। ভারতবর্ষের প্রথম ভারতীয় বিচারপতি। বয়স মাত্র ৪২ বছর। ১৮৬২ সাল।
আজ থেকে দু’শো বছর আগে, ১৮২০ সালে জন্মেছিলেন শম্ভুনাথ। কাশ্মীরি পণ্ডিত পূর্বপুরুষদের আদি বাসস্থান ছিল লখনউ। শম্ভুনাথের বাবা সদাশিব পণ্ডিত ভাগ্যান্বেষণে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কলকাতায় শম্ভুনাথের জন্ম হলেও তাঁর কৈশোর কেটেছে লখনউয়ে। সেখানে তাঁর পড়াশোনা শুরু। ভালো পারস্য ভাষা জানতেন বলে সদাশিব কলকাতায় সদর আদালতে পেশকারের চাকরি পেয়েছিলেন। কিশোর শম্ভুনাথ মামার বাড়িতে থাকতেন। উর্দু ও পারস্য ভাষা আয়ত্ত করার পর তাকে পাঠানো হয় বেনারসে ইংরেজি শেখার জন্য। ১৪ বছর বয়সে শম্ভুনাথ চলে আসে কলকাতায়। ১৮৩৪ সাল। বাংলার যুব সমাজ তখন উত্তাল ইয়ং বেঙ্গল মুভমেন্টে। ক্ষেপে উঠেছে গোঁড়া রক্ষণশীল সমাজ। হিন্দু কলেজ ঘিরে ডিরোজিও সাহেবের পড়ানোয় তুমুল হইচই। তাই হিন্দু কলেজের পরিবর্তে শম্ভুনাথকে ভর্তি করা হল গৌরমোহন আঢ্যের ‘ওরিয়েন্টাল সেমিনারী’ কলেজে। সমাজের মাথারা এই কলেজ খুলেছে। সেখানে জেফ্রয় সাহেব এলেন ইংরেজি শেখাতে। শোনা যায় জেফ্রয় সাহেবের ঘোড়ার গাড়ি চলে আর পিছন পিছন বাঙালি ছাত্ররা ছোটে পড়ার জন্য।
শম্ভুনাথ হাইকোর্টের বিশ্রামকক্ষে ঢুকলেন। এই সেই বিশ্রামকক্ষ, যেখানে পণ্ডিত উইলিয়াম জোন্স এসে বসতেন। গার্ডেনরিচ থেকে হেঁটে আসতেন। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এই ঘরে বসেই সংস্কৃত শিখেছিলেন কৃষ্ণনগরের অব্রাহ্মণ পণ্ডিত রামলোচন তর্কালঙ্কারের কাছে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত বসলেন সেই চেয়ারে। সামনে রুপোর দোয়াতদানি। পালকের কয়েকটি কলম পাশের ট্রেতে। তার পাশে গোছানো রয়েছে কাগজ, কালি ব্লটিং করার কাঠের ডাস্টার। খানসামা চেয়ার টেনে ধরার পর উঠলেন। এজলাসের সময় হয়ে গিয়েছে। আয়নার সামনে দাঁড়ালেন। ততক্ষণে পরচুলা পড়িয়ে দেওয়ার নাপিত এসে দাঁড়িয়েছে। সাদা বাবরি পরচুলা। উড়নি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন। দরজার কাছে ন্যায়দণ্ড নিয়ে একজন পেয়াদা। তার পিছনে তলোয়ার হাতে লাল পাগড়ি পুলিস। তারপর উনি। পিছনে থাকবে উড়নি ধরার চাকর। তার পিছনে আরেকজন চাকর আইনের বইয়ের বাক্স নিয়ে। তার পিছনে মুহুরি। শম্ভুনাথ চললেন এজলাসে। এজলাসে ঢোকা মাত্র হলের সবাই উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাল। হ্যাঁ, সাহেব অ্যাডভোকেটরাও উঠে বাও করলেন এ বাঙালিকে। মার্শাল বাজখাঁই গলায় চিৎকার করে উঠল – ‘ওয়ে ওয়ে ওয়ে...পারসনস দ্যাট হ্যাভ এনিথিং টু ডু বিফোর মি লর্ড কিংস জাস্টিস...গিভ ইয়োর আটেন্ডেন...ওয়ে ওয়ে ওয়ে’। কোর্টচত্বর কেঁপে উঠল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বিচারপতি হিসেবে বিচারের কাজ শুরু করলেন শম্ভুনাথ। নভেম্বর মাসের শেষ। ১৮৬২ সাল। মহারানির আদেশনামা সহ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপত্র ১৮ই নভেম্বর সেক্রেটারি অব স্টেট স্যার চার্লস উড দিয়েছেন শম্ভুনাথকে। সেই আদেশনামা যত্নে রেখেছেন স্যুটকেসে।
মাসে কুড়ি টাকা মাইনের চাকরি দিয়ে তরুণ শম্ভুনাথের জীবন শুরু। স্কুল পাশের পর সেটাই তখন মহার্ঘ্য। সদর আদালতে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেকর্ড কিপারের চাকরিতে যোগ দিলেন শম্ভুনাথ। অবসরে শুরু করলেন দলিল দস্তাবেজের অনুবাদ। বাংলা ও ফারসি থেকে ইংরেজিতে। তার জন্য কিছু বাড়তি আয় হচ্ছিল। তখন ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি হলেন শম্ভুনাথ আর হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন অধ্যক্ষ। বয়সে অনেক ছোট হলেও, হরিশ্চন্দ্রের সঙ্গে আড্ডা জমে উঠেছিল ভীষণভাবে। পাশাপাশি সমান গতিতে চলছে কলম। একটি পুস্তিকা লিখলেন শম্ভুনাথ–‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও স্বরূপ’। বেকনের প্রবন্ধগুলি অনুবাদ করলেন বাংলায়। প্রশংসিত হল দিকে দিকে। আইনের বই লিখলেন ইংরেজিতে। তখনকার বিচারপতি ও গভর্নমেন্টের নজরে পড়লেন। সদর আদালতে ‘রিডার’-এর পদ পেলেন। কিন্তু তাঁকে এই পদ নিতে বারণ করেছিলেন স্যার রবার্ট বার্লো। বরং আইন পরীক্ষা দিয়ে ১৮৪৮ সালের ১৬ই নভেম্বর সদর কোর্টে ওকালতি করার অনুমতি পেলেন সাহেবদের সঙ্গেই। সততা, নিরপেক্ষতা ও আপসহীনতার ফলে ওকালতিতে প্রভুত উন্নতি করেন। উপার্জনও হচ্ছিল প্রচুর। ভবানীপুরের বাড়িটি নতুন করে তৈরি করেন। নানা সামাজিক কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে আসেন। বন্ধুত্ব হয় বেথুনের সঙ্গে। জন এলিয়ট ড্রিংকওয়াটার বেথুন। কলকাতায় মেয়েদের জন্য স্কুল খুলেছেন হোস্টেল সহ। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় সহ অনেকেই সহযোগিতা করেছিলেন। স্ত্রী শিক্ষা-প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে শম্ভুনাথকে। নিজের মেয়ে মালতীকে বেথুন কলেজেই ভর্তি করিয়েছেন। সে সূত্রে বেথুন সাহেবের সাথে সখ্যতা। চিঠির পর চিঠি দুই বন্ধুর। বেথুনের জন্য মালতীর চটি তৈরি করা থেকে দরকারি কথা সবই লেখা ঐ চিঠিতে। তেমন এক চিঠির অংশে দেখা যায়, সাধারণ বাঙালি হয়েও স্বীয় প্রতিভায় অনুবাদের কাজে শম্ভুনাথ যথেষ্ট সম্ভ্রম আদায় করেছিলেন ইংরেজদের কাছ থেকেই।
১৮৫১ সালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাধাকান্ত দেব এবং আরও কিছু গণ্যমান্যদের সাথে বসে ‘বৃটিশ ইন্ডিয়া এ্যাসোসিয়েশন’-এর সভা করেছেন। শম্ভুনাথ সেই দলের সেক্রেটারিয়েট সদস্য। এই সংগঠনই প্রথম সংগঠিত দল যাঁরা ভারতীয় জনসাধারণের প্রাপ্য সম্মানের বিস্তারিত স্মারকলিপি লেখা ও ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। কারণ, তখনও ভারতবর্ষে কোনও রাজনৈতিক দল তৈরি হয়নি। এই অ্যাসোসিয়েশনই ছিল ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংঘবদ্ধতার ভ্রূণ। শম্ভুনাথ তখন ইংরেজিতে একের পর এক প্রবন্ধ লিখছেন ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ কাগজে। ১৮৫৫ সালে তিনি ওকালতির পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি কলেজে আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন। মাসে মাইনে ৪০০ টাকা দেওয়া হবে বলে তাঁর কাছে অনুরোধ আসে। পাঁচ/ছয় বছর কলেজে পড়ানোর পর ১৮৬১ সালে তিনি যোগ দিলেন প্রধান সরকারি উকিল হিসেবে। সংসার বেড়েছে। প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষ মিলিয়ে সন্তানাদির সংখ্যা তো নেহাত কম নয়। এছাড়া উপার্জনের একটি অংশ নিয়মিত ব্যয় করতেন অসুস্থ গরিবদের চিকিৎসায়।
পাঁচ বছর হতে চলল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির আসনে। একটু একটু করে বিশালাকার হাইকোর্ট তৈরি হচ্ছে। বেলজিয়ামের ‘ইপ্রেস টাউনহল’-এর আদল। উঁচু উঁচু তীক্ষ্ণ চূড়া। থামের মাথায় মাথায় অনবদ্য কাজ। দেখার মতো স্থাপত্য। গড়ে ওঠার ছবি চারপাশে। কিন্তু শম্ভুনাথের শরীরটা আজ ভালো নেই। গরমও পড়েছে খুব। কোবরেজের ওষুধ কিছুটা কাজে দিয়েছে। জ্বর কমছে বটে, কিন্তু বিকালের দিকে আবার বাড়ছে রাতে। ঘুম হচ্ছে না ব্যাথায়। বেথুনের জোরাজুরিতে প্রেসিডেন্সি হাসপাতালের সার্জন এসে দেখে গিয়েছেন। কার্বঙ্কল হয়েছে। অপারেশন করা জরুরি। কিন্তু অপারেশনে রাজি নন শম্ভুনাথ ও তাঁর পরিবার। ফিটন গাড়িতে শরীর এলিয়ে বসে আছেন। গঙ্গার হাওয়া লাগছে। এই গঙ্গা ইতিহাসের স্রোত নিয়ে বয়ে চলেছে। শম্ভুনাথ দেখেছিলেন একদিন অন্ধকার জল-জঙ্গলের কলকাতা। মড়ক আর মৃত্যুর কলকাতা। দেখেছিলেন যুদ্ধের ধ্বংসপ্রাপ্ত কলকাতা। আজ কলকাতা আবার গড়ে উঠছে। সেজে উঠছে কলকাতা। গ্রেনভিলের আরেক স্থাপত্য ‘জেনারেল পোস্টাপিস’-এর গম্বুজে গোধূলির রাঙা আলো পিছলে বড় ঘড়ির কাটায় পড়েছে। তাকালেন শম্ভুনাথ। সময় কি শেষ হয়ে আসছে! বড় প্রিয় লাগছে গোধূলির আলো। কোচোয়ানকে বললেন একটু গড়ের মাঠ ঘুরে যেতে। সবুজ গালিচা ঘিরে সবুজ গাছের সারি। আহা জীবন জীবন্ত হয়ে আছে। পাশে আর্ট কলেজের বিল্ডিং, তারপাশে ভারতবর্ষের মিউজিয়াম, সব ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। তার পাশ দিয়ে কালো পাথর বিছানো পথ চলে গেছে কবরস্থানের দিকে।
জ্বর উত্তরোত্তর বেড়েছে। কার্বঙ্কলের বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে শরীরে। ১৮৬৭ সালের ৫ জুন শম্ভুনাথ পণ্ডিত সন্ধ্যায় তিনি উইলে সই করলেন। স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে সবাইকে ডাকলেন। বললেন, তোমরা ব্রহ্মোপাসনা করো, আমি একটু ঘুমোই। চোখ বুজে শুয়ে রইলেন। ৬ জুন সকাল সাড়ে সাতটার সময় তিনি চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হলেন।
আজ চারপাশে প্রবল ও প্রকটভাবে দেখা যায় বাঙালির জাত্যাভিমানের সামগ্রিক কুৎসিত অধোগতি। কিন্তু বাঙালি এক সময়ে শিড়দাঁড়া সোজা করে চলেছিল রাজপথে। পথ তৈরি করেছিলেন শম্ভুনাথের মতো এইসব লড়াকু পথিক, যাঁরা সমানে সমানে টক্কর দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিলেন বাঙালির সম্মান। তাঁর মতো আড়ালে থাকা মানুষের নাম শুধুমাত্র একটি রাস্তা (শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিট) ও একটি হাসপাতাল (শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল) নামকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে বড় ভুল হয়ে যাবে। হয়তো অনাড়ম্বর পেরিয়ে যাবে এইরকম প্রতিভাধরের জন্মবর্ষের একশো বা দু’শো। মূর্তিতে দু’-একটা মালা পড়লেও, কাম্য তাঁর জীবনদর্শন অনুসরণের। তবেই দু’শো বছর পর তাঁর মেধাবৃত্ত আবার বেঁচে উঠবে রাজপথে। অন্যভাবে, অন্য আকারে।
শম্ভুনাথের প্রতিকৃতি: সুব্রত মাজী
সহযোিগতায়: বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী