খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
তাপসী পান্নু : ‘না’। এই একটি শব্দ যখন আমরা উচ্চারণ করি, তার মানেটা কিন্তু তখন জলের মতো স্পষ্ট—আমার আপত্তি আছে। এবং এর কোনও বিকল্প শব্দ নেই। ‘পিঙ্ক’ ছবির ক্লাইম্যাক্সে অমিতাভজি (বচ্চন) যখন এই শব্দটি উচ্চারণ করছেন, তার গভীরতা ছড়িয়ে যাচ্ছে সমাজের প্রত্যেকটা প্রান্তে। পাশে বসে আছি আমি... ‘মিনাল’। এক নারী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের জবরদস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হওয়ার জন্য যাকে দিনের পর দিন নিগৃহীত হতে হয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে সে আইনের দরজায় এসেও। ন্যায়বিচার পেয়েছিল মিনাল। সিনেমায়। বক্স অফিসে। সাফল্য কিন্তু সেটা নয়। সমাজে ভাবনার একটা স্রোত আনতে পেরেছিল ‘পিঙ্ক’। নারীশক্তিকে কুর্নিশ করেছিল দেশ।
আমার সৌভাগ্য, পারফর্মিং আর্টের একটা স্ট্রিমে কাজ করি। সিনেমা। মানুষের মনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এই পারফর্মিং আর্ট। দর্শক উচ্চশিক্ষিত হতে পারেন, বা কম শিক্ষিত... প্রভাব ছড়িয়ে যায় সব স্তরেই। সিনেমার মতো পাওয়ারফুল মিডিয়াম আর কিছু হয় না। হয়। কিন্তু সিনেমা তার জনআকর্ষণী ক্ষমতায়, গল্পে, কাহিনীতে যেভাবে দর্শক বা মানুষকে টেনে রাখে, তার মধ্যে দিয়েই নারী-পুরুষ সমানাধিকারের চেতনাটা সুন্দরভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়া হয়। শুধু কি নারী-পুরুষ? সিনেমা তো অনন্ত মানুষের সীমানাহীন পৃথিবীকে লোকের সামনে তুলে ধরে! তার মধ্যেই গল্পের ছলে কত কাহিনী, কত দৃষ্টিভঙ্গি আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি, তার কোনও হিসেব নেই। আমাদের সমাজে সত্যিকারের সংবেদনশীল মনের অভাব এখনও আছে। এই সংবেদনশীলতাটা সবার মধ্যে জাগিয়ে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি। সিনেমার অংশ হিসেবে। আর্টিস্ট হিসেবে।
আমার ছবিগুলোর কথাই ধরুন। ‘মুল্ক’, ‘পিঙ্ক’, ‘মনমর্জিয়াঁ’ বা ‘বদলা’। অভিনয়ের কেরিয়ার গ্রাফে ঘটনাচক্রে সমাজ সম্পর্কিত সূত্রগুলো বিশেষভাবে কাজ করেছে। ‘পিঙ্ক’-এ আমার চরিত্র ‘মিনাল’ যেভাবে সামাজিক অন্যায় বা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে, আমি চাই এই লড়াকু মনোভাবটা যেন সবার মধ্যে জেগে ওঠে। আজ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। নারীদের জন্য বিশেষ দিন। অবশ্যই এই ভাবনাকে সম্মান জানাই। বছরের কোনও একটা বিশেষ দিনকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে বেছে নেওয়ার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। কিন্তু এই একটা দিন কেন? বছরের প্রত্যেকটা দিন কেন হবে না নারীদের জন্য? তাঁদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা... এই একদিনের জন্য নয়। বরং এই ‘স্মারক দিন’কে আমরা সামনে রেখে সারা বছর একটা শপথ মনে মনে করে নিতে পারি।
ছোটবেলা থেকেই আমি একটু ডানপিটে, স্পষ্টবক্তা গোছের। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার পক্ষপাতী। মানছি, ডিপ্লোম্যাসি আমাদের জীবনে দরকার। কিন্তু সেটা যদি আমাদের পালিয়ে যাওয়ার মানসিকতাকেই শুধু জাগিয়ে তোলে, তাহলে তা সামাজিক অবক্ষয়। আমি সেই অবক্ষয়ের বিরোধী। প্রতিবাদ করব। যে মুহূর্তে দরকার মনে হবে, তখনই...। অন্যায় দেখলেই। আর মন থেকে চাইব... আশপাশে তাকিয়ে যেন দেখতে পাই প্রত্যেক নারী এই একই পথে হাঁটছেন। অন্যায়কে মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করছেন। এটা আজও দরকার। কেন জানেন? কারণ, এখনও আমাদের দেশে বা বিদেশেও মেয়েদের ‘দুর্বল’ হিসেবে ভাবার চলটা রয়ে গিয়েছে। এই ভাবনার মূলে সরাসরি আঘাত করতে হবে। এই প্রবণতাটাই আসলে সমাজের ‘অসুর’। তার নাশ করতে হবে। সে জন্য যতদূর যেতে হয়, আমি যেতে রাজি। স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসি। শুনতেও। প্রকৃতিগতভাবে ‘দুর্বল’, এই মানসিকতা লিঙ্গ বৈষম্য বাড়িয়ে তোলে। যে মেয়ে ‘মা’ হতে পারে, যে নারী শরীরে আগামী দিনের পৃথিবীকে দশ মাস ধারণ করতে পারে, সে ‘দুর্বল’—এটাই তো ভাবনার ভুল। আমাদের চিন্তাশক্তির দৈন্য।
দিল্লির মেয়ে আমি। সেই দিল্লির বুকেই একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনায় মনটা বড় খারাপ হয়ে যায়। ২০১২ সালের সেই নৃশংস ঘটনা... সাউথ দিল্লির মুনিরকা। ২৩ বছরের এক প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। শুধু গণধর্ষণ বলাটা ভুল হবে। নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁর উপর। খুন করা হয়েছিল তাঁকে। ওই বছরই ৭০৬টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় দু’হাজারেরও বেশি। দিল্লি পুলিসের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন নারী ধর্ষিতা হন। আটজনেরও বেশি নিগৃহীত হন। এটা শুধু ভারতবর্ষের একটা শহরের পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যানই আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে, আমরা বর্বরতার যুগকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসতে পারিনি। এখনও বাস করছি তারই মধ্যে। তাকেই লালন পালন করছি! আমার প্রতিবাদ এখানে। সরব হতে চাই এর বিরুদ্ধে। কোন অশুভ শক্তি বা মানসিকতা এই ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে আমাদের শহরে, সমাজে, দেশে? সেই অসুখকে চিহ্নিত তাকে সমূলে উপড়ে ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই। যা একা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এগিয়ে আসতে হবে গোটা সমাজকে। দেশকে।
সেফটি অব উওম্যান। এটাই এখন আমাদের সবার মূল কনসার্ন, দায়িত্ব হওয়া উচিত। নারীর সম্মান বাঁচানোর জন্য শুধু নারী নন, পুরুষরাও এগিয়ে আসুন। ২০১২ সালে দক্ষিণ দিল্লির যে ঘটনার কথা বললাম, সেই ‘নির্ভয়া’ কাণ্ড নিয়ে এখনও আগুন জ্বলছে। দেশ অপেক্ষায় রয়েছে সেই খুনিদের ফাঁসির। কিন্তু স্মৃতি মানব মন ঝেড়ে ফেলতে পারেনি। পারছে না। চোখ বন্ধ করলেই মনে হয়, ২৩ বছরের সেই মেয়েটা ফিরছিল বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে। ওরা ছাড়েনি তাকে। বাসের মধ্যে সেই পুরুষ বন্ধুর সামনেই তাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। কোন শিক্ষা, সংস্কৃতির অভাব আমাদের এখনও সেই অন্ধকারের মধ্যে ফেলে রেখেছে? খুঁজতে হবে এর উত্তর। এই রোগের ওষুধ চাই। আজই। এখনই। আর তার দায়িত্ব আমাদের সবার।
সম্মান রক্ষা, মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা, বা তার হয়ে কথা বলা... এই কাজ কি শুধু নারীদেরই? পুরুষরা কেন এই বদলের অংশীদার হবে না? অঙ্গীকার যদি সমাজের হয়, তার দায় কোনও একটা লিঙ্গের নয়। এই সমাজের মধ্যে যে সবাই! কারা করছে ধর্ষণ? কোন পরিবার থেকে উঠে আসছে তারা? গলদটা সেই সংস্কারের গোড়াতেই নয় কি? সেই সমাজ, সেই পরিবেশই তাদের ইন্ধন জোগাচ্ছে... খুন হচ্ছে সংবেদনশীলতা। মানবিকতা। পরিবারের অভিভাবকরা যদি সেই মনন তৈরি না করতে পারে, তাহলে তারা আর মানুষ থাকল কি? মানবিকতা নয়... তখন যে শব্দটা উচ্চারিত হবে, তা হল পাশবিকতা। যাকে জয় করতে পারে শুধুই শিক্ষা। পরিবেশ। যা আসে পরিবার থেকে। পড়শিদের থেকে। সে জন্যই নারী শিক্ষা বা সচেতনতা আজ ভীষণ জরুরি।
তাই আজ আমার খুব করে মনে হয়, বছরের প্রত্যেকটা দিন যেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারে। লক্ষ্য হোক এটাই। জন্ম, বুঝতে শেখা, বড় হওয়া... ভিউ পয়েন্ট তৈরি হওয়াটা যে সবচেয়ে জরুরি। যার প্রথমে আসবে ভেদাভেদ মেনে না নেওয়া। দরকার কি ভাগাভাগিতে যাওয়ার? সমান অধিকার কি এতটাই কঠিন? আনন্দে... ভালোবাসায় সেটা করতে পারলেই কিন্তু হল। উত্তর লুকিয়ে সেখানেই। এই সমানাধিকারেই খুঁজে পাওয়া যায় বেঁচে থাকার অর্থ। নারী সচেতনতা যে পরিবার, সমাজ, দেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, এটা কিন্তু এতদিনে প্রতিষ্ঠিত সত্য।
নিজে অভিনয়ে যুক্ত আছি বলেই জানি, সিনেমা সবার জন্য। সিনেমার মতো অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে সবার চোখ থাকে। সিনেমা থেকে সবাই বিনোদন, মনের আরাম খুঁজতে পর্দার সামনে বসেন। তাই আমাদের দায়িত্ব অনেক। একটা ছবির নাম মনে পড়ছে। ‘দামিনী’। পরিবারের স্ত্রীর সম্মানহানির ঘটনা। এবং তাঁর লড়াই। সেটাও ছিল সমাজকে নাড়া দিয়ে যাওয়ার মতো একটা ছবি। সাধারণ মানুষ। যাঁরা রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া সিনেমা না দেখে মেনস্ট্রিম ফরম্যাটের বিনোদনী সিনেমায় নির্ভেজাল আনন্দ খুঁজতে যান, তাঁরাও এরকম বিষয়ের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের শিক্ষিত করে নিতে পারেন।
আমার কথাই বলি। একটু লক্ষ্য করে দেখবেন আমার কেরিয়ারে আমি এমন সিনেমা করেছি, যাকে অনেকে ‘মশালা মুভি’ বলেন। এর পাশাপাশি ‘মুল্ক’, ‘মনমর্জিয়াঁ’, ‘ষাঁন্ড কি আঁখ’, ‘থাপ্পড়’, ‘বদলা’র মতো ছবিও করেছি। স্ক্রিপ্টগুলো যখন আমার কাছে এসেছে, রীতিমতো উৎসাহ নিয়ে চিত্রনাট্যের প্রত্যেকটা পাতা গোগ্রাসে গিলেছি। আর মনে মনে বলেছি, এ ধরনের চিত্রনাট্য কেন আরও বেশি করে আমার কাছে আসে না? আমি তো সিনেমার জগৎ শুরুই করেছি দক্ষিণী ছবি দিয়ে। তেলুগু বা তামিলে আমার শুরু। ছবির তালিকায় হিন্দির চেয়ে দক্ষিণী ছবি বেশি। আর হিন্দি ছবিতে পা-ই রেখেছি ডেভিড ধাওয়ানের মতো মেনস্ট্রিম মশালা ছবির পরিচালকের হাত ধরে। ‘চশমে বদদুর’। ডেভিডজির ‘জুড়ুয়া ২’-তেও অভিনয় করেছি। কিন্তু পাশাপাশি এটাও দেখবেন, মেনস্ট্রিমের বাইরের ছবিতেও আমি কতটা উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছি। শেষের যে ছবিগুলোর নাম বললাম, এগুলোর মধ্যে আমি আমার ‘রিয়েল আর্মি’-কে খুঁজে পাই।
আমি ‘ষাঁন্ড কি আঁখ’ নামে যে ছবিটা কয়েক মাস আগেই করেছি, এটা তো একটা রিয়েল লাইফ স্টোরি! উত্তরপ্রদেশের ‘জহরি’ নামে এক অজগ্রামে চন্দ্র আর প্রকাশি তোমর নামে দুই শার্প শ্যুটারের জীবন কাহিনী। ‘চন্দ্র’ সত্তরোর্ধ্ব। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক এক উওম্যান শার্প শ্যুটার। ‘প্রকাশি’ একই গ্রামের আর এক মহিলা শার্প শ্যুটার। এখানে ভূমি পেডনেকর ‘চন্দ্র’-র রোল করেছেন। আর আমি করেছি ‘প্রকাশি’র চরিত্রটা। এটাও তো নারীশক্তিগর উঠে আসার ঘটনা। চেষ্টা করেছি... একজন অভিনেতা হিসেবে সমাজে নারীশক্তির উন্মেষের ঘটনায় যতদূর পারি নিজেকে যুক্ত করতে। আমার কেরিয়ারের এই ধরনের ছবি আমাকে শিল্পী হিসেবে ভিতরে ভিতরে উদ্বুদ্ধ করে... বারবার। ভাবি, যদি এভাবে আমি সমাজের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে নিজের মতো করে যথাসাধ্য সাহায্য করতে পারি।
আরও একটা কথা বলি। ‘পিঙ্ক’, ‘ষাঁন্ড কি আঁখ’ এগুলো যখনই আমাদের ব্যবসার নিরিখে বক্স অফিসে পজিটিভ রেসপন্স এনেছে, তখন সাধারণ মানুষের সাড়া বা পাল্সকে আরও ভালো করে বুঝে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আত্মবিশ্বাসকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের চারপাশে এখনও যা ঘটে চলেছে, তা অশিক্ষারই পরিচয় দেয়। এর মোকাবিলায় আমাদের আরও আরও কাজ করতে হবে এটা আমি জানি। কাজ যে কিছু হচ্ছে না, তাও নয়। হচ্ছে। যদি অভিনেতা হিসেবেই বিচার করি দেখব, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেই গত এক বছরে অনেক বেশি নারীকেন্দ্রিক ছবি তৈরি হয়েছে। এটা একটা বড় পরিবর্তন। গত কয়েক বছরের তুলনায় শেষের বছর মহিলাকেন্দ্রিক ছবির সংখ্যা সে কথাই প্রমাণ করে। আমি উৎসাহিত। উদ্বুদ্ধ। মেয়েরা... বিশেষ করে ভারতীয় মেয়েরা তো কোনও অংশে কম নন! কল্পনা চাওলার কথা... মেরি কমের কথা ভাবুন। ইন্ডিয়ান-আমেরিকান বিজনেস এগজিকিউটিভ ইন্দ্রা ন্যুইয়ের কথা ভাবুন। অনেক, অনেক উদাহরণ আমাদের সামনেই যে রয়েছে।
স্কুল লাইফে গ্রুপ ডিসকাশন বা ডিবেটে নারীশক্তি যে কথাগুলো বলেছি, সেটা নেহাত গভীর অর্থে কিছু না বুঝেই। কিন্তু বড় হয়ে, কাজের জগতে যোগ দিয়ে বুঝেছি, এর গভীরতা কতটা, কোথায় এবং কতদূর। সেই সব সেমিনার, ডিবেটের বাইরে নারীশক্তির উত্থানকে আত্মস্থ করা যেন নিজেকেই নতুন করে আবিষ্কার। শুধু কায়েমি স্বার্থের চোখে জীবনকে দেখা ছাড়তে হবে। ভালোবাসতে শিখুন। তাহলেই নারী বা পুরুষ নিজেদের মর্যাদা খুঁজে পাবেন। জীবনের সত্যিকারের অর্থ খুঁজে পাবেন। বেঁচে থাকার প্রত্যেকটা দিনকে ভীষণ মূল্যবান মনে হবে।
আসুন, এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা নারী-পুরুষ সবাই মিলে একে অপরকে শক্তিশালী করার শপথ নিই। তাহলেই দেখবেন কেউ কাউকে সবল বা দুর্বল বলে ভাবছেনই না। মা আর বাবা... দু’জনেই তো আমাদের জীবনকে চিনতে শেখান। কাউকে বাদ দিয়ে নয়। এখানে কেউ ছোট বা বড় হয় না। হতে পারে না। কারণ, দু’জনেই যে সমান। তা না হলে তো আমাদের জন্মই হতো না।
গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়: স্বাগত মুখোপাধ্যায়