Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

দেশবন্ধু
সমৃদ্ধ দত্ত

গান্ধীজির একের পর এক অনুগামীকে নিজের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হলেও, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি একবিন্দুও। আবার তাঁকেই দীক্ষাগুরু হিসেবে স্থির করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। জন্মের সার্ধশতবর্ষে ফিরে দেখা সেই চিত্তরঞ্জন দাশকে।

৫ সেপ্টেম্বর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী একটা নোট বিলি করলেন কলকাতায়। ১৯২০। কংগ্রেসের অধিবেশনে। তিনি চাইছেন, অসহযোগ নামক একটি আন্দোলন করুক কংগ্রেসো সেই প্রস্তাবের নোট। মাত্র পাঁচ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্থায়ীভাবে ভারতে চলে এসেছেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এসেই কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ অন্যরকম একটি রাজনৈতিক কালচার নিয়ে এসে যেন কংগ্রেসের খোলনলচে বদলে দেওয়ার একটা আভাস দিচ্ছেন। সেই নোটে গান্ধীজির প্রস্তাব ছিল সাতদফা অ্যাকশন। ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া সমস্ত উপাধি ও সাম্মানিক পদ সমর্পণ করা হবে, সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করতে হবে, সরকারি স্কুল কলেজ থেকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ছেলেমেয়দের, পরিবর্তে জাতীয় স্কুল কলেজ নির্মাণ করা হবে, ব্রিটিশ বিচারবিভাগকে বয়কট করা হবে, লেজিসলেটিভ কাউন্সিল বয়কট করা হোক ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি হল বিদেশি পণ্য বর্জন করা। দু’দিন ধরে সেই নোট পড়ে অনুধাবন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ পেলেন কংগ্রেস প্রতিনিধিরা। ৮ সেপ্টেম্বর সেই নোট পেশ করা হল অধিবেশনে। এলাহাবাদের খ্যাতনামা আইনজীবী মতিলাল নেহরু সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন। আর দ্বিতীয় সমর্থন দিলেন তাঁরই ছেলে জওহরলাল। ইনার টেম্পল ব্রিটিশ কলেজ থেকে আইন পাশ করে আসা জওহরলাল তখনও কট্টরপন্থায় আকৃষ্ট। আর অন্যদিকে গান্ধীজির প্রস্তাবের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করলেন তিনজন। মহম্মদ আলি জিন্না, মদনমোহন মালব্য এবং অ্যানি বেসান্ত। সারাদিন ধরে পক্ষে-বিপক্ষে প্রবল বক্তৃতা চলল। দিনের শেষে ভোটাভুটি। দেখা গেল গান্ধীজির প্রস্তাব জয়ী হয়েছে সংখ্যার বিচারে। ১৮৫৫টি ভোট পড়েছে প্রস্তাবের সমর্থনে। আর বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা ৮৭৩। কিছু কিছু রাজ্যে অসহযোগের পক্ষে সমর্থন একতরফা। যেমন সংযুক্ত প্রদেশ। সেখানে পক্ষে ভোট পড়েছে ২৫৯। আর বিপক্ষে মাত্র ২৮। মাদ্রাজ আর বেঙ্গলে সবথেকে টাফ ফাইট। বেঙ্গলে গান্ধীজির ওই অসহযোগের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৫১। বিপক্ষে ৩৯৫। মাদ্রাজে পক্ষে বিপক্ষের অনুপাত ১৬১ ও ১৩৫। সুতরাং ব্যাপারটা এরকমই দাঁড়াল যে, সংখ্যার বিচারে অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব জয়ী হলেও, পাশ করানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হল। কারণ বোঝাই যাচ্ছে, বহু কংগ্রেসি প্রতিনিধি এই আন্দোলনে সায় দিচ্ছেন না। তাই সকলকে বোঝাতে হবে। যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে, পক্ষপাতহীন হয়ে। তিনমাস পর নাগপুরে বার্ষিক অধিবেশন। সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ততদিন ধরে গোটা দেশের কংগ্রেসের মধ্যে এই বিষয়টি বোঝানোর দায়িত্ব দুজনকে দেওয়া হল। বিপিনচন্দ্র পাল এবং চিত্তরঞ্জন দাশ। বিপিনচন্দ্র পাল তখনই সিনিয়র কংগ্রেসি নেতা। কিন্তু চিত্তরঞ্জন দাশকে এই দায়িত্বে সংযুক্ত করার কারণ তাঁর অসামান্য আইনজ্ঞান ও বাগ্মিতা। পাশাপাশি তিনি পক্ষপাতহীন জাতীয়তাবাদী। গান্ধীজি বুঝে গিয়েছিলেন, এই লোকটিই কংগ্রেসের আগামীদিনের নক্ষত্র হবেন। গান্ধীজির প্রস্তাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনিই সবথেকে দায়িত্বশীল।
ঠিক দু’বছর পর গোটা চিত্রটাই বদলে গেল। ততদিনে অসহযোগ আন্দোলনের কারণে কংগ্রেসের নেতৃবর্গ গ্রেপ্তার হয়েছেন। গান্ধীজি তো বটেই। চিত্তরঞ্জন দাশও। ১৯২২ সালে গয়ায় আহ্বান করা হল কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন। চিত্তরঞ্জন দাশ সভাপতি। শুরুতেই তিনি গান্ধীজি সম্পর্কে বললেন, এই বিশ্বের দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষটির নাম হল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। একদিকে তিনি একথা বললেন বটে, কিন্তু তাঁর প্রস্তাবটি উপস্থিত সকলকেই হতচকিত করে দিল। গান্ধীজির বয়কটের রাজনীতিকে এবার চিত্তরঞ্জন দাশ সমাপ্ত করতে বললেন। তিনি বললেন, মন্টেগু চেমসফোর্ড স্কিমে গঠিত লেজিসলেটিভ কাউন্সিলকে বয়কট করে লাভ হচ্ছে না। আমাদের উচিত কাউন্সিলে অংশ নিয়ে ভিতরে গিয়ে বিরোধিতা করা। কিন্তু গান্ধীজির পথের বিরোধিতা করা সেই প্রস্তাবকে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা সমর্থন করলেন না। প্রস্তাবটি পরাস্ত হল ভোটাভুটিতে। চিত্তরঞ্জন দাশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। এবং গঠন করলেন সম্পূর্ণ নতুন রাজনৈতিক দল। স্বরাজ্য পার্টি। যদিও এই দলটি কংগ্রেসের অন্দরেই নতুন উইং হিসেবেই রইল। অর্থাৎ কংগ্রেস পরিত্যাগ করা নয়। চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে ওই নতুন স্বরাজ্য পার্টির অংশীদার হলেন মতিলাল নেহরু, হাকিম আজমল খান এবং বিঠল ভাই প্যাটেল (সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দাদা)। আর গান্ধীজির পক্ষে রয়ে গেলেন অন্য নেতানেত্রীদের মধ্যে সরোজিনী নাইডু, মৌলানা আব্দুল কালাম আজাদ এবং চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গান্ধীজিকে বিস্মিত করে চিত্তরঞ্জন দাশ গান্ধীজির একের পর এক অনুগামীকে নিজের দিকে টেনে আনতে সক্ষম হলেন। আর তার পরিণাম পাওয়া গেল এক এক বছরের মধ্যেই। চিত্তরঞ্জন দাশের সেই কাউন্সিলে প্রবেশ করার প্রস্তাবই জয়ী হয়ে গেল এআইসিসি অধিবেশনে। চিত্তরঞ্জন দাশ কতটা দূরদ্রষ্টা ছিলেন, তার প্রমাণও পাওয়া গেল। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সংযুক্ত প্রদেশ এবং বেঙ্গলে স্বরাজ্য পার্টি লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচনে বিপুল সাফল্য লাভ করেছিল। ১৯২৪ সালে কলকাতা পুরসভা পর্যন্ত দখল করে নিল ওই দল। জনপ্রিয়তার নিরিখে নির্বাচিত প্রথম কলকাতার মেয়র হলেন চিত্তরঞ্জন দাশ।
গান্ধীজি আবার বুঝে গেলেন, চিত্তরঞ্জন দাশ শুধুই বাংলার নয়, দেশের কংগ্রেসিদের কাছেও এক আকর্ষণীয় তারকা। এই ধারণা বদ্ধমূল হল আবার অন্য এক প্রস্তাবে। গান্ধীজি ১৯২৪ সালে হঠাৎ প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেসের প্রত্যেক নেতাকর্মী পদাধিকারীকে দিনের মধ্যে অন্তত আধ ঘন্টা হলেও চরকা কেটে সুতো বয়ন করতেই হবে। অল ইন্ডিয়া খাদি বোর্ডকে প্রতি মাসে অন্তত ২ কেজি করে সুতো পাঠাতেই হবে। এই প্রস্তাবটি জয়ী হল। কিন্তু একেবারেই নগণ্য মার্জিনে। গান্ধীজির পক্ষে ভোট পড়েছিল ৭৮। বিপক্ষে ৭০। নির্বাচনের পরিভাষায় ‘নেক টু নেক’। বিপক্ষীয়দের নেতা কে ছিলেন? চিত্তরঞ্জন দাশ। নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবকে স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেননি চিত্তরঞ্জন দাশ। কিন্তু তাই বলে কি গান্ধীজির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে? একবারও নয়। বরং ঠিক পরের বছর চিত্তরঞ্জন দাশের আমন্ত্রণে গান্ধীজি দার্জিলিঙে এসেছিলেন। সেখানে চিত্তরঞ্জনের গ্রীষ্মাবকাশের একটি বাড়ি ছিল। স্রেফ গান্ধীজি আসছেন এবং দিন সাতেক থাকবেন, এই কারণেই চিত্তরঞ্জন দাশ সমতল থেকে সাতটি ছাগল আনিয়েছিলেন। কারণ গান্ধীজির অভ্যাস ছিল ছাগলের দুগ্ধ পান করা। ওই পাঁচদিন রাষ্ট্রগঠন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় দু’জনের। একটি বিস্তৃত প্ল্যানও হয়েছিল যা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে বলে স্থির হল। পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন দাশ গান্ধীজির থেকে চরকা কেটে সুতো তৈরির ব্যাপারটাও শিখে নিতে চাইলেন। গান্ধীজি নিয়ম করে প্রতিদিন শেখালেন বটে, কিন্তু সেই চরকা কাটার প্রক্রিয়া দেখে গান্ধীজি পরে হাস্যচ্ছলে লিখেছিলেন, ‘চিত্তরঞ্জন যেভাবে চরকা কাটতেন তা দেখে বোধ হয়েছে সেটা তাঁর কাছে ছিল ব্রিটিশ সরকারকে পরাস্ত করা কিংবা কোনও মামলায় জয়ী হওয়ার থেকেও কঠিন কাজ।’ গান্ধীজি ফিরে যাওয়ার এক মাসের মধ্যে দার্জিলিঙেই অকস্মাৎ মৃত্যু হয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের।
১৮৭০ সাল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্তরঞ্জন দাশ। তাঁর বাবা ভূবনমোহন দাশ ছিলেন একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক। পত্রিকার নাম ব্রাহ্ম পাবলিক ওপিনিয়ন। চিত্তরঞ্জন দাশ বাবার থেকে যে অভ্যাসটি চরিত্রের মধ্যে আত্মস্থ করে নিয়েছিলেন সেটি হল, বই পড়ার নেশা। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করে তিনি ব্রিটেনের ইনার টেম্পল থেকে আইন পাশ করে ১৮৯৩ সালে কলকাতায় ফিরেছিলেন। পিতার সম্পাদকীয় গুণটি তাঁর মধ্যেও যে রীতিমতো সঞ্চারিত হয়েছিল তার প্রমাণ হল, বিপিনচন্দ্র পাল এবং অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে তিনি তাঁদের পত্রিকা ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘স্বরাজ’ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আইনজীবী হিসেবে কেমন ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ? ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলায় অরবিন্দ ঘোষের হয়ে আদালতে সওয়াল করা চিত্তরঞ্জন দাশের ওজস্বী বক্তব্যগুলি গোটা দেশের পত্রপত্রিকায় ভূয়সী প্রশংসা পায়। আলিপুর বোমা মামলার অভিযুক্ত বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ সম্পর্কে আদালতে কোনও নরম বাক্য ব্যবহার করে জুরিদের মন জয় করার চেষ্টাই করেননি তিনি। উল্টে অরবিন্দ ঘোষ সম্পর্কে বলেছিলেন—‘He will be looked upon as the poet of patriotism, as the prophet of nationalism and the lover of humanity. His words will be echoed and reechoed...’
চিত্তরঞ্জন দাশ বস্তুত এক আদর্শ বাঙালি রোলমডেল ছিলেন। ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। এতটাই যে, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেও তিনি আচমকা ব্রাউনিংয়ের কবিতা থেকে রেফারেন্স দিতেন। তাঁর চরিত্রের আরও একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। পরিবারকে না জানিয়ে এক আত্মীয়কে ঋণের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি চরম অর্থসঙ্কটের মধ্যেও একবার ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ৯ শতাংশ সুদে। আত্মীয়কে ঋণের জাল থেকে মুক্ত করেছিলেন নিজে ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে। নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন ঋণদাতা ওই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর নতুন চুক্তি করতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে এসেছিলেন, তখন কিন্তু তাঁর সেই আত্মীয় বিপুল ধনীতে পরিণত হয়েছেন। চিত্তরঞ্জন দাশ বলতেই পারতেন ও হে, তুমি এবার তোমার ঋণের বোঝা নিজের স্কন্ধে নিয়ে আমাকে মুক্তি দাও। তা কিন্তু বললেন না। তিনি হাসিমুখে আবার সেই ঋণ পরিশোধের কাগজে দস্তখত করলেন। চিত্তরঞ্জন দাশ অনুজ সহকর্মীদের বলতেন, ‘তোমরা আসলে মনে করো আমাকে সকলে ঠকিয়ে যায় এবং আমি কিছুই বুঝি না, তাই না! আমাকে বোকা ভাবে সকলে। কিন্তু জানো তো, আমি সব বুঝতে পারি। কিছু বলি না। আমার কাজ দিয়ে যাওয়া, তাই দিয়ে যাই।’ মাত্র ৫৫ বছর বয়সে অকালমৃত্যু না এলে বাঙালির ভবিষ্যৎ হয়তো অনেকটাই অন্যরকম হতে পারত চিত্তরঞ্জন দাশের হাত ধরে। কারণ তিনি ছিলেন আদ্যন্ত এক বাংলাপ্রেমী জাতীয় নেতা।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্বল্প জীবনে বাঙালিজাতির প্রতি সবচেয়ে মহৎ এবং তাৎপর্যপূর্ণ অবদান কী? বাকি সব উপকারকে সরিয়ে রাখলেও অন্তত একটি বিষয়ে তিনি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি আমাদের দিয়ে গিয়েছেন একটি অগ্নিশিখাকে। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে আট মাস তাঁর সঙ্গে একই কারাগারে থাকার সুবাদে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক চিত্তরঞ্জন দাশকে ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারেন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ৬ মাস একটানা একটি বড় ঘরে একই সেলে সেই যুবক চিত্তরঞ্জনের সান্নিধ্য পেয়ে এতটাই মুগ্ধ হন যে, স্থির করেন এই মানুষটিই তাঁর দীক্ষাগুরু। দেশবন্ধুর নীতিকেই নিজের আদর্শ হিসেবে হৃদয়ে বপন করেন সেই যুবক। বাঙালিকে স্বদেশে এবং আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন ওই যুবক। আর ওই যুবককে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ চিত্তরঞ্জন দাশের। তিনি প্রকৃতই দেশবন্ধু। একটা গোটা জাতির আত্মোন্নয়নের জন্য তিনি প্রেরণা দিয়েছিলেন নিজের এক মহাজাগতিক রাজনৈতিক ভক্তকে। সুভাষচন্দ্র বসু।
১৯২৬ সালে মান্দালয় জেলবন্দি অবস্থায় একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর। সেই নিবন্ধে তিনি লিখছেন, ‘ভারতের হিন্দু জননায়কদের মধ্যে দেশবন্ধুর মতো ইসলামের এত বড় বন্ধু আর কেহ ছিলেন বলিয়া আমার মনে হয় না...তিনি হিন্দুধর্মকে এত ভালবাসিতেন যে তার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন, অথচ তাঁর মনের মধ্যে গোঁড়ামি আদৌ ছিল না...দেশবন্ধু ধর্মমতে বৈষ্ণব ছিলেন। কিন্তু তাঁর বুকের মধ্যে সকল ধর্মের লোকের স্থান ছিল..’।
চিত্তরঞ্জন দাশের এই চরিত্রটি অনুধাবন করলে স্পষ্ট হয় বাঙালি জাতির প্রকৃত নবজাগরণ যাঁদের হাত ধরে এসেছে এবং যাঁরা বাঙালিকে নিয়ে একটি বিশেষ চরিত্রায়নের স্বপ্ন দেখেছেন, সেই বাঙালি আইকনেরা প্রত্যেকেই এরকমই। তাঁদের চরিত্রটি ছিল-ধর্মমতে উদার, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বোধে পণ্ডিত, সামাজিক উন্নয়নে একনিষ্ঠ সেনাপতি, ধর্মনিরপেক্ষ, নারী ও দরিদ্র জাগরণে নিবেদিত প্রাণ, মনেপ্রাণে বাঙালি কিন্তু মননে এক আন্তর্জাতিকতা।
দেশবন্ধুর জন্মের সার্ধশতবর্ষে আমাদের ভাবতে হবে যে, কেন আজ আমরা বাঙালিরা ঠিক ওই প্রতিটি বৈশিষ্ট্য থেকেই বিচ্যুত!
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায়
23rd  February, 2020
দ্বিশতবর্ষে শম্ভুনাথ পণ্ডিত
রজত চক্রবর্তী

 আজ থেকে দু’শো বছর আগে, ১৮২০ সালে জন্মেছিলেন শম্ভুনাথ। কাশ্মীরি পণ্ডিত পূর্বপুরুষদের আদি বাসস্থান ছিল লখনউ। শম্ভুনাথের বাবা সদাশিব পণ্ডিত ভাগ্যান্বেষণে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কলকাতায় শম্ভুনাথের জন্ম হলেও তাঁর কৈশোর কেটেছে লখনউয়ে। সেখানে তাঁর পড়াশোনা শুরু। বিশদ

22nd  March, 2020
বা ঙা লি র বঙ্গবন্ধু
মৃণালকান্তি দাস

তিনি বাঙালিকে শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদে ঐক্যবদ্ধ করেননি, বাঙালির আর্থিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য তাঁদের প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার আপামর জনতা তাঁকে অভিহিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু নামে। জন্মশতবর্ষে ফিরে দেখা তাঁর জীবন সংগ্রামকে।  বিশদ

15th  March, 2020
সমান অধিকারের দিন 

সমানাধিকার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এটাই হোক একমাত্র লক্ষ্য। যেখানে প্রত্যেক নারীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য থাকবে না আলাদা কোনও দিন। শিক্ষা, সচেতনতার মাধ্যমে দূর হোক বৈষম্য 
বিশদ

08th  March, 2020
উদ্বোধন ১২১
স্বামী শিবার্চনানন্দ

১৮৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে পথচলা শুরু ‘উদ্বোধন’-এর। স্বামী বিবেকানন্দের প্রবল উৎসাহ আর পরামর্শে দিনরাত এক করে এই পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছিলেন স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ। পেরিয়ে গিয়েছে ১২১টি বছর। এখনও বাঙালির মননে অমলিন রামকৃষ্ণ দর্শনকে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার এই অনন্য প্রয়াস।  বিশদ

01st  March, 2020
পথদ্রষ্টা ফালকে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’-এর হাত ধরে পথচলা শুরু হয় প্রথম ভারতীয় পূর্ণাঙ্গ কাহিনীচিত্রের। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গেও ফালকের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এ দেশের সিনেমার পথদ্রষ্টাকে ফিরে দেখা। 
বিশদ

16th  February, 2020
ইতিহাসে টালা
দেবাশিস বসু

 ‘টালা’ কলকাতার অন্যতম প্রাচীন উপকণ্ঠ। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট জব চার্নক নেমেছিলেন সুতানুটিতে। ১৬৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। অর্থাৎ তিনি সুতানুটিতে ছিলেন জীবনের শেষ আড়াই বছর। তাঁর মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সাবর্ণ চৌধুরীদের কাছ থেকে গোবিন্দপুর, কলকাতা ও সুতানুটি গ্রাম তিনটির জমিদারি স্বত্ব কিনে নেয়।
বিশদ

09th  February, 2020
মহাশ্বেতা 

সন্দীপন বিশ্বাস: ‘সরস্বতী পুজো।’ শব্দ দুটো লিখে ল্যাপটপের কি-বোর্ড থেকে হাতটা সরিয়ে নিল শুভব্রত। চেয়ারে হেলান দিয়ে বাইরে চোখ। রাত এখন গভীর। আর কয়েকদিন পরেই সরস্বতী পুজো। এডিটর একটা লেখা চেয়েছেন। পুজো নিয়ে স্পেশাল এডিশনে ছাপা হবে। সাহিত্যিক হিসেবে শুভর একটা খ্যাতি আছে। 
বিশদ

02nd  February, 2020
শতবর্ষে জনসংযোগ
সমীর গোস্বামী

অনেকে মজা করে বলেন, সেলুনে যিনি হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন, তিনি অনেক সময় বিশিষ্ট মানুষের কানেও হাত দিতে পারেন। জনসংযোগ আধিকারিক বা পিআরও’রাও খানিকটা তেমনই। প্রচারের স্বার্থে তাঁরা কেবল সাহসের উপর ভর করে অনেক কিছু করতে পারেন। মনে পড়ছে, বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোনও কিছু উদ্বোধনের সময় ফিতে কাটতে দিতাম না। 
বিশদ

26th  January, 2020
অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।  
বিশদ

19th  January, 2020
যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো।
বিশদ

12th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
বিনোদন

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
রাজ্য 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।   বিশদ

29th  December, 2019
একনজরে
উন্নাও, ২৫ মার্চ: মাথা, মুখ তোয়ালে দিয়ে মোড়া। দেখা যাচ্ছে শুধু চোখ দু’টো। পিঠে একটা ব্যাগ। তাতে কিছু বিস্কুটের প্যাকেট আর জলের বোতল। এটুকু সম্বল করেই চড়া রোদে শুনশান রাজপথ ধরে হেঁটে চলেছে ওরা। ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতিবারই মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পান। এটাই হয়ে এসেছে। লকডাউন হওয়ার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতনের বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ...

সংবাদদাতা, পতিরাম: মঙ্গলবার টিভির পর্দায় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা করা মাত্র রাতেই ভিড় শুরু হয়ে যায় পাড়ার মুদির দোকান ও ওষুধের দোকানগুলিতে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: গিলেটিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু
১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডউইগ ভ্যান বেইটোভেনের মৃত্যু
১৯৯৩: চিত্র পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭১: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭৪: চিপকো আন্দোলনের সূচনা
১৯৯৯: সুরকার আনন্দশঙ্করের মৃত্যু
২০০৬: রাজনীতিবিদ অনিল বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.১৯ টাকা ৭৬.৯১ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮১ টাকা ৮৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮০.৬৪ টাকা ৮৩.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  March, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ২৯/২৯ অপঃ ৫/২৭। রেবতী অহোরাত্র সূ উ ৫/৩৯/৪১, অ ৫/৪৫/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/১১ মধ্যে।
১১ চৈত্র ১৪২৬, ২৫ মার্চ ২০২০, বুধবার, প্রতিপদ ২৬/১০/২১ অপরাহ্ন ৪/৯/৪৯। রেবতী ৬০/০/০ অহোরাত্র সূ উ ৫/৪১/৪১, অ ৫/৪৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪২/৪৩ গতে ১০/১৩/১৪ মধ্যে।
২৯ রজব

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: গিলোর্টিনের আবিষ্কর্তা জোসেফ ইগনেস গিলেটিনের মৃত্যু১৮২৭: জার্মান সুরকার এবং ...বিশদ

07:03:20 PM

তামিলনাড়ুতে আরও ৩ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

11:52:00 PM

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ 

09:02:11 PM

দেশে একদিনে ৮৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস, মোট আক্রান্ত ৬৯৪: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

08:55:45 PM

কৃষ্ণনগরে করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যা! 
হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ পাওয়ার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ...বিশদ

08:34:13 PM