প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
জনপ্রিয় ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিং সম্প্রতি তাঁর উপবাসের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি উপবাসের রুটিন শুরু করেছিলেন ১২ ঘণ্টা দিয়ে, সেটা বাড়াতে বাড়াতে এখন ৪০ ঘণ্টায় পৌঁছে গিয়েছে। ২ দিনের কাছাকাছি সময় তিনি কিচ্ছুটি খান না! কেবল জল আর অন্য কোনও পানীয় এই ৪০ ঘণ্টার উপবাসে তাঁর সঙ্গী। উপবাসের প্রথম দিনে থাকে চা আর কফি। ৪০ ঘণ্টার এই উপবাস বেশ নিয়ম মেনেই করেন এলি। উপবাস শুরুর আগের দিন ও পরের দিন স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়া আর কিছুই খান না। আর এই পুরো রুটিনটাই পালন করেন তাঁর চিকিৎসক বন্ধুর পরামর্শে। এলি জানিয়েছেন, এই উপবাস অস্বাস্থ্যকর নয়, বরং স্বাস্থ্যকরই। তাই বলে যে কেউ এই রুটিনে উপবাস করতে পারবেন না। গোল্ডিং জানিয়েছেন এটা কেবল তাঁদের জন্যই ভালো, যাঁদের ডায়াবিটিস বা এমন ধরনের কোনও রোগ নেই। কিন্তু কেন এমন কঠিন উপবাস? ৩৩ বছরের এলি গোল্ডিং জানিয়েছেন, সবই তিনি করছেন ফিগার ধরে রাখতে। তাঁর মতে, সুন্দর চেহারার জয় সর্বত্র।
সোনাজয়ী অ্যাথলিট সরিতা এখন নির্মাণ শ্রমিক
ল্যন-বল খেলায় দু’বার ন্যাশনাল গেমসে সোনা জিতেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক স্তরেও একাধিকবার ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সেই খেলোয়াড় বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটে। সংসারে তার নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। সংসারের খরচ জোগাড় করতে তাই কখনও চায়ের দোকান চালান, আবার কখনও দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের অ্যাথলেট সরিতা তিরকে। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সরিতা ২০০৭ সাল থেকে ভারতের জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণ করছেন। ২০০৭ সালে তিনি ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেন। পরে ২০১১ সালে বিহারের হয়ে খেলে সোনা জেতেন। ২০১৫ সালে ফের ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলেন তিনি। সেবার জাতীয় গেমসে চ্যাম্পিয়ন হন। এছাড়া ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ল্যন-বল চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন তিনি। ২০১৮ সালে জিতেছিলেন রুপো। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া–প্যাসিফিক চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে নিজের দেশকে আবার গর্বিত করেন সরিতা। তার পরেও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে! সরিতা জানান, এর আগে একাধিকবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মিললেও তা পাননি। ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে সব মিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা পাওয়ার কথা সরিতার। কিন্তু সেই আর্থিক সাহায্য এখনও মেলেনি। এ অবস্থায় হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে খেলতেই পারতেন না তিনি। তবে অন্য খেলোয়াড়রা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সেটা সম্ভব হয়েছে। তারাই সরিতার যাতায়াতের টাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। এমনকী টুর্নামেন্টে নামার জন্য জুতোও ছিল না তাঁর। কোচ মধুকান্ত পাঠক সেই জুতো কিনে দিয়েছেন। এইভাবে চললে বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করা আর কতদিন সরিতার পক্ষে সম্ভব হবে বা আদৌ কোনও দিন হবে কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন।
দুই গ্রামের দায়িত্ব নিলেন জ্যাকলিন
লকডাউনে প্রায় তিন মাস সলমন খানের বাগানবাড়িতে আটকে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। তারই মধ্যে ১১ আগস্ট ছিল তাঁর জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা আর পাঁচটা বছরের তুলনায় আলাদা। তাই মহৎ কাজে পালন করলেন দিনটা। অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের দু’টি গ্রাম পথার্দি এবং সকুরের দায়িত্ব নিলেন জ্যাকলিন। আগামী তিন বছরের জন্য গ্রাম দু’টিকে দত্তক নিয়েছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। দু’টি গ্রাম মিলিয়ে মোট ১৫৫০ জন মানুষ। তাঁদের সকলের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাকলিন জানান, এই দুই গ্রামের মানুষের জন্য খাবার সরবরাহের পুরো দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। কারণ এই গ্রামের অনেকেই অপুষ্টিতে ভোগেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমার মাথায় এই বিষয়টি এসেছিল। মহামারীর জন্য এই বছরটা আমাদের সকলের কাছে খুবই কঠিন। বহু মানুষ রুজি-রোজগার হারিয়েছেন। তাঁরা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির জন্য সারাক্ষণ লড়াই করছেন। আমি তাঁদেরই পাশে থাকতে চাই।’
জ্যাকলিন আরও বলছেন, ১৫৫০ জন মানুষকে এই প্রকল্পে দেখাশোনা করা হবে। এই গ্রামের শিশুদের এবং অন্য বাসিন্দাদের অপুষ্টিজনিত রোগের চিকিৎসা করা হবে। গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হবে। সদ্যোজাত ও সন্তানসম্ভবা মহিলাদের আলাদা যত্ন নেওয়া হবে। এবং এই প্রতিটি বিষয়ের ওপরেই বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকবে। এই প্রকল্পের জন্য একদম সামনে থেকে যাঁরা কাজ করবেন, তেমন ৭ জনকে পৃথক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।