উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্নিগ্ধা ও অরিন্দমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রতীক সেন। প্রজ্ঞাময়ের চরিত্রে দেখা যাবে রজত গঙ্গোপাধ্যায়কে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ মিত্র। অন্য শিল্পীরা হলেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, তুলিকা বসু, কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অন্তিমের চরিত্রে রূপদান করেছেন কর্ণাটকের অভিনেতা নিশান নানাইহা। অন্তরার ভূমিকায় দেখা যাবে সায়নী ঘোষকে।
স্নিগ্ধা ওরফে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর পোশাক সম্পর্কে ডিজাইনার সোমা দাস বলেন, ‘ঋতুপর্ণার লুক ভীষণ সফিস্টিকেটেড। ওঁর লুক সেট করার সময় থিম, মোটিফ ও কালার প্যালেট নিয়ে ঋতুপর্ণা ও পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’ ছবিতে প্রতিটি দৃশ্যে ঋতুপর্ণা শাড়ি পরেছেন যার মধ্যে ট্রাডিশনাল ও ট্রাইবাল মোটিফ রয়েছে। শাড়িতে চেকসের ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁথাস্টিচ, হ্যান্ড পেন্টিং ও এমব্রডারি চিকনকারির কাজ রয়েছে। কটন, শিফন, জর্জেট ফ্যাব্রিকের শাড়ির কালার প্যালেট ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, ব্রাউন, ইয়ালো, গ্রিন, গ্রে অর্থাৎ আর্দি টোন। তাঁকে শাড়ির সঙ্গে মিক্স ম্যাচ করে ব্লাউজ পরানো হয়েছে। একটি দৃশ্যে রাত পোশাক হিসেবে গ্রিন কালারের নাইটওয়্যার তিনি পরেছেন। প্রতিটি পোশাক সোমার তৈরি ও ডিজাইন করা। পোশাকের সঙ্গে লাইট মেকআপ এবং বিনুনি করা চুল। তিনি গলায়, হাতে, কানে হালকা কাঠ এবং অক্সিডাইজড্ গয়না ব্যবহার করেছেন। বাঁ হাতে রয়েছে ব্ল্যাক লেদার বেল্টের ঘড়ি। পায়ে ফ্ল্যাটস চপ্পল পরেছেন। একটি জন্মদিনের দৃশ্যে তাঁকে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট কম্বিনেশনের পার্লওয়ার্ক বর্ডারের শাড়ি পরানো হয়েছে বলে সোমার থেকে শোনা গেল।
তবে পরিচালকের কাছ থেকে ছবির অন্যান্য কেন্দ্রীয় চরিত্রদের পোশাক সম্পর্কে জানা গেল যে, অরিন্দম অর্থাৎ প্রতীক সেন ফর্ম্যাল শার্ট, প্যান্ট, হাতঘড়ি, চোখে চশমা এবং পায়ে লেদারের ফর্ম্যাল ব্ল্যাক, ব্রাউন শ্যু পড়েছেন। প্যান্টের কালার প্যালেট ব্রাউন, ব্ল্যাক, ব্লু ইত্যাদি। শার্ট বেশিরভাগ সময়েই সলিড কালারের পরলেও দু’-একটি দৃশ্যে স্ট্রাইপ শার্ট তিনি ব্যবহার করেছেন। শার্টের কালার প্যালেট মভ, হোয়াইট ও ব্লু’র নানা শেডস। অন্তরারূপী সায়নী ঘোষের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আগে তাঁকে টপ, জিনস ও প্রিন্টেড সিল্ক শাড়িতে দেখা যাবে। আর আশ্রমে থাকাকালীন স্কার্ট ও কুর্তিতে তিনি ধরা দেবেন। প্রজ্ঞাময় অর্থাৎ রজত গঙ্গোপাধ্যায়কে খদ্দরের নানা রঙের পাজামা, পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে। তবে তুলিকা বসুর সাজপোশাক অন্যান্য চরিত্রদের থেকে একটু লাউড। কারণ ইনি এক সময়ে ঝংকরীকুমারী নামে ডাকসাইটে যাত্রাশিল্পী ছিলেন। এখন আশ্রম বাসিন্দা। তবুও তাঁর পোশাকে সেই ছাপ রয়ে গিয়েছে। গোল্ড পোলকা ডটের শিফন, চকচকে সিল্ক জাতীয় শাড়ির সঙ্গে চুলে রঙিন ফিতে বাঁধা কলা বিনুনি করেছেন। মুখের মেকআপও একটু চড়া ধরনের। শুভাশিস মুখোপাধ্যায় প্রথমে একজন অটোচালক এবং পরে একজন প্রমোটাররূপে দেখা যাবে। নাম লাহা। পয়সা হলেও সাজপোশাকে সামঞ্জস্য বা রুচিবোধ তার নেই। বেজ, লাইট ব্রাউন কালারের সাফারির সঙ্গে হাতে, গলায় সোনার প্রচুর গয়না ও চোখে ব্লু কালারের চশমা পরেন। এছাড়া অন্তিম অর্থাৎ নিশান নানাইহাকে প্রথমে স্নিকার্স বা শ্যুর সঙ্গে লেয়ারিং করে শার্ট ও টি-শার্ট জিনসে দেখা যাবে। আশ্রমে আসার পর তাঁকে ট্র্যাক প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট বা শার্টে দেখা যাবে। পোশাকের কালার প্যালেট ব্লু, রেড ইত্যাদি।
ছবির কাহিনীকার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। চিত্রনাট্যকার সাত্যকি তরফদার, পরিচালক সুজিত পাল। ক্যামেরায় সুব্রত মল্লিক। সম্পাদনা নীলাঞ্জন মণ্ডল। সুরকার রূপসা মুখোপাধ্যায়। প্রযোজনা আর্টেজ ফিল্মস, ইনকোডা মুভিজ। প্রযোজক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অরিজিৎ দত্ত।