Bartaman Patrika
চারুপমা
 

 ঠাকুরবাড়ির পুরুষ-সাজ

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের পুরুষদের সাজ-পোশাক ছিল একেবারে অন্যরকম। কবিগুরুর জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে কবি ও তাঁর পরিবারের পুরুষদের সাজ নিয়ে আলোচনায় শ্যামলী বসু।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের পুরুষদের সাজ-পোশাক নিয়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক গল্প শুনিয়েছেন। শিল্পী মানুষের বর্ণনার গুণে সে সব গল্প ছবির মতো ফুটে ওঠে পাঠকের চোখের সামনে। সে বিবরণ যেমন কৌতূহল জাগায়, তেমনই সুখপাঠ্য। সেই সঙ্গে সে বিবরণের একটা ঐতিহাসিক মূল্যও আছে। কারণ জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবার ছাড়াও, সেকালের অভিজাত বাঙালি পরিবারের সাজে ছিল সম্ভ্রান্ত মুসলমানি সাজ-পোশাকের প্রভাব, আবার সে প্রভাব কাটিয়ে দেখা গেল ইংরেজি কেতায় অভ্যস্ত ইঙ্গবঙ্গ সমাজের বিলিতি সাজ। সে বিদেশি সাজের মোহ কাটিয়ে আবার আপাদমস্তক স্বদেশি সাজ পোশাকে সেজে ওঠা বাঙালি পুরুষের সাজ পরিবর্তনের মনোরম ক্রমিক বর্ণনা পাওয়া যায় অবনীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণে। স্মৃতিচারণ করেছেন পরিবারের আরও অনেকেই। অফুরন্ত সব গল্প।
অবনীন্দ্রনাথ শুনিয়েছেন, তাঁদের পূর্ব পুরুষদের কথা, রবীন্দ্রনাথের কথা, আবার বিশেষ কোনও সাজের প্রসঙ্গে নিজের কথাও বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন নিজের ছোটবেলার সাজের কথা। তাঁর কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন অনেকেই। পরিবারের মেয়ে বা বউরাও লিখেছেন পুরুষদের সাজ-সজ্জার কথা।
দেবেন্দ্রনাথের এক বিশেষ উৎসবের সাজের গল্প বলে অবনীন্দ্রনাথ পাঠকদের আবিষ্ট করে রাখেন। রীতিমতো কৌতূহল জাগানো ঘটনা। দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর বিরাট পৈতৃক ঋণভার মাথায় নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইয়েরা ব্যয় সঙ্কোচের কৃচ্ছ্রসাধন করে চলেছেন। সেই সময় শোভাবাজার রাজবাড়ির মস্ত জলসায় দেবেন্দ্রনাথের আমন্ত্রণ এল। ব্যয় সংক্ষেপের সেই সংকট সময়ে দেবেন্দ্রনাথ কী সাজ-পোশাকে জলসায় আসেন— তা নিয়ে ধনী বাঙালি সমাজে কৌতূহলের সীমা নেই। দেবেন্দ্রনাথও জানতেন সে কথা। তখন তাঁর নির্দেশমতো প্রিয় জহুরি ‘একজোড়া মখমলের জুতো, ছোট ছোট দানা দানা মুক্তো বসিয়ে তৈরি করে এনে দিল।’ জলসার দিন দেবেন্দ্রনাথ পরলেন— ‘সাদা আচকান জোড়া...মাথার পাগড়িটি অবধি সাদা। কোথাও জরি কিংখাবের নামগন্ধ নেই...পায়ে কেবল সেই মুক্তো বসানো মখমলের জুতো জোড়াটি।’ এ সাজ দেখে রাজবাড়ির কর্তা, সভার ছোটদের দেখিয়ে বলেছিলেন—‘দেখ, একেই বলে বড়লোক। আমরা যা গলার মাথায় ঝুলিয়েছি, ইনি তা পায়ে রেখেছেন!’
অবনীন্দ্রনাথ নিজে বৃদ্ধ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখে ছিলেন তাঁর শৈশবে বাড়ির কোনও ছেলের বিয়েতে বরকে যাত্রা করিয়ে দেবেন্দ্রনাথ এগিয়ে দিয়েছিলেন সদর ফটক অবধি। ‘গায়ে লাল জরির জামেওয়ার, পরনে গরদের ধুতি।’ দেবেন্দ্রনাথ সাদা রঙের সাজ পছন্দ করতেন। বড়ছেলে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বর্ণনা দিয়ে কবিতায় লিখেছিলেন—‘শুভ্রমূর্তি কান্তিমান/শুভ্রবেশ পরিধান/উন্নত শরীর সুগঠন।’ শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ কথা শিল্পীও বটে। তিনি বলেছেন পূর্বপুরুষ ছোট ঠাকুরদা নগেন্দ্রনাথ ঠাকুরে কথা। দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিলেতযাত্রার সঙ্গী ছিলেন নগেন্দ্রনাথ, ছিলেন বিলিতি শিক্ষা ও কেতায় দুরস্ত। তিনি বিলেত থেকে ফেরার সময় কৌতূহলী বন্ধুরা জাহাজঘাটায় গেলেন, কী সাজে নগেন্দ্রনাথ জাহাজ থেকে নামেন, দেখবার জন্য। অবনীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন ‘ধুতি পাঞ্জাবি চাদর গায়ে, পায়ে জরির লপেটা। ছোট দাদামশায় জাহাজ থেকে নামলেন। সবাই তো অবাক।’
অবনীন্দ্রনাথ আরও শুনিয়েছেন জ্ঞাতি-আত্মীয় পরিবারের কর্তাদের সাজ-সজ্জার শৌখিনতার গল্প। ‘উপেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মহাশৌখিন। তাঁর শখ ছিল কাপড়চোপড় সাজগোজে। ...ছয় ঋতুতে ছয় রঙের সাজ ছিল তাঁর। আমরা ছোটবেলায়...দেখেছি—আশি বছরের বুড়ো তখন তিনি, বসন্তকালে হলদে চাপকান জরির টুপি মাথায়...বের হতেন বিকেলে হওয়া খেতে।’ এ তথ্য জানিয়ে অবনীন্দ্রনাথ কৌতুক করে জানিয়েছেন অন্তরঙ্গ একটি কথা। ‘তাঁর গিন্নি সাজ ‘অ্যাপ্রুভ’ করে দিলে তবে তিনি বেড়াতে বের হতেন। তিনি ‘অ্যাপ্রুভ’ না করলে সাজ বদল হয়ে যেত।’
ইঙ্গবঙ্গ সমাজের মতো পুরোদস্তুর বিলিতি সাজে জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবার বিশেষ অভ্যস্ত ছিলেন না, দেখতে বা পরতে। যদিও প্রথম ভারতীয় সিভিলিয়ান সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্মসূত্রে যে সাজ পরতেন, বিলেত গেলেও তাঁকে সাহেবি পোশাক পরতে হতো। প্রথমবার বিলেতযাত্রায় রবীন্দ্রনাথকেও সাজতে হয়েছিল বিদেশি সাজে। তবে সাধারণভাবে পরিবারে বিলিতি সাজের চল ছিল না। দু’একটি ব্যতিক্রম বেশ কৌতুকজনক হয়ে উঠত সে কথাও জানতে পারা যায় অবনীন্দ্রনাথের কথায়। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক ছেলে অরুণেন্দ্রনাথ আসামে চা বাগানে ম্যানেজার ছিলেন। ‘অরুদা...একেবারে পুরোদস্তুর সাহেব, কোট, প্যান্ট, টাই...। এমন সাজে তিনি একদিন বেরচ্ছেন—‘উপরের বারান্দা থেকে বড়ো জ্যাঠামশায়ের (দ্বিজেন্দ্রনাথ) চোখে পড়ে গেলেন। অমনি শুরু হল হাঁকডাক। এই অভব্য বেশে তুমি কোথায় বেরচ্ছ?’ স্যুটের সাজ ৫নং বাড়িতে কেমন ছিল, তা জানা যায় গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে পূর্ণিমার লেখায়, ‘বাবা যখন ‘স্যুট’ পরতেন তখন গলাবন্ধ কোটপ্যান্ট ও পাগড়ি ছিল—তাই পরতেন।...তাঁকে ‘হ্যাট’ পরতে কখনও দেখিনি।’ পূর্ণিমা আরও লিখেছেন সাজ পোশাক নিয়ে গগনেন্দ্রনাথের অভিনব নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা।—‘লামাদের কাপড় দেখে নতুন রকমের গায়ের জোব্বা তৈরি করালেন। সারা পরিবারের মধ্যে তার চলন হয়ে গেল।’
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও ছিল সর্বদা নিত্যনতুন উদ্ভাবনী চিন্তা। যার প্রভাব পড়েছিল তাঁর সাজসজ্জার পরিকল্পনায়। তাঁর পোশাক হয়ে উঠেছিল যেমন অভিনব তেমনই বিচিত্র। তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছেন। ‘তাঁর (দ্বিজেন্দ্রনাথ) তো সব বিষয়েই মৌলিকত্ব। আচকানের বোতাম লাগানোর ‘হ্যাঙ্গাম’ এড়াবার জন্য ডবল জোব্বা পরতেন। একটার পিঠ সামনে। একটার পিঠ পিছনে। আর পায়ে বাত ছিল বলে একরকমের ফ্লানেলের মোজা উদ্ভাবন করেছিলেন যেটা একাধারে মোজা ও জুতোর কাজ করত, হাঁটু পর্যন্ত ফিতে দিয়ে বাঁধা থাকত, কতকটা ভুটিয়াদের বনাতের জুতোর মতো।’
রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন তাঁর নতুন দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। এ তথ্য যেমনি বিচিত্র তেমনি কৌতূহলোদ্দীপক। ‘ভারতবর্ষের একটা সর্বজনীন পরিচ্ছদ কী হইতে পারে এ বিষয়ে জ্যোতিদাদা তাহার নানা প্রকার নমুনা উপস্থিত করিতে আরম্ভ করেন। ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে, অথচ পায়জামা বিজাতীয়, এইজন্য তিনি এমন একটা আপোষ করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ণ হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না।’ সেই সাজের একটি বিবরণও দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। ‘তিনি (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ) পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন। সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশাল করিয়া এমন একটা পদার্থ তৈরি হইল যেটাকে অত্যন্ত উৎসাহী লোকেও শিরোভূষণ বলিয়া গণ্য করিতে পারে না।... জ্যোতিদাদা এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি, সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত। তিনি ভ্রুক্ষেপ মাত্র করিতেন না।’—এই বিস্তৃত বিবরণ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছেন তা ভাববার মতো। তিনি লিখেছেন ‘দেশের মঙ্গলের জন্য অকাতরে প্রাণ দিতে পারে, এমন বীরপুরুষ অনেক থাকিতে পারে, কিন্তু দেশের মঙ্গলের জন্য সর্বজনীন পোশাক পরিয়া গাড়ি করিয়া কলিকাতার রাস্তা দিয়া যাইতে পারে—এমন লোক নিশ্চয় বিরল।’
ঠাকুর পরিবারে পুরুষদের বিয়ের সাজ কেমন ছিল, তারও ছবি ফুটেছে—হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায়। পূর্ণিমা দেবীর স্মৃতিচারণে নিজের বিয়ের সাজের বিবরণ দিয়েছেন হেমেন্দ্রনাথ নিজেই। ‘বেনারসি জোড়, গলায় মুক্তোর মালা, হিরের কণ্ঠা, হাতে বালা, আঙুলে জড়োয়া আংটি’ পরে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন তিনি। গগনেন্দ্রনাথের বড় ছেলে গেহেন্দ্রের বিয়ের সাজ ছিল— ‘বেনারসি জোড়, পাঞ্জাবি পরা, কপালে চন্দন, গলায় ফুলের মালা, মাথায় টোপর, গলায় হিরের কণ্ঠা, হাতে হিরের আংটি।’ এই হিরের কণ্ঠাটি একটি পারিবারিক গয়না। দ্বারকানাথ ঠাকুরের আমল থেকে বাড়ির ছেলেদের বিয়ের সাজের অঙ্গ।
অবনীন্দ্রনাথ পরিবারের পুরুষদের সাজ-পোশাক নিয়ে অনেক গল্প করেছেন, নিজের সম্বন্ধেও বলেছেন দু’চার কথা। ছোটবেলায় পোশাকি সাজ ছিল— ‘হালকা নীল মখমলের কোট প্যান্ট।’ পুজোর সময় পেতেন ‘নতুন কাপড়, সিল্কের রুমাল...আর বরাদ্দ ছিল ছোট ছোট এক-এক শিশি আতর।’ চীনেম্যান আসত জুতোর মাপ নিতে। দরাজ আসত, আর আসত বড় বাজারের পাঞ্জাবি শালওয়ালা— ‘নানারকম জরির ফুল দেওয়া ছিট আর কিংখাবের বস্তা ফুলে।’ আরও যখন বয়স বাড়ল, তখন ‘শিমলের কোঁচানো ধুতি পরে বেড়াতে যেতে হল, আতর ল্যাভেন্ডার গোলাপও মাখতে হল...ড্রেস স্যুট-বুট এঁটে থিয়েটারে...ডিনারে যেতে হল, এক কথায় বাড়ির ছোট বাবু সাজতে হল।’
ভালো অভিনেতা ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। বাড়িতেই অভিনীত হতো জ্যোতিরিন্দ্রনাথ কি রবীন্দ্রনাথের নাটক। একবার জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘অলীক বাবু’ নাটকে নায়িকার পাণিপ্রার্থী বখাটে বুড়ো ব্রজদুর্লভের চরিত্রে কেমন সাজ করেছিলেন তাই শুনিয়েছেন। ‘গায়ে দিয়েছিলাম নীল গরদের জামা, আমার ফুলশয্যার সিল্কের জামা ছিল সেটা...সোনার গার্ড চেন বুকে, ধুতির কোঁচাটি বুকপকেটে গোঁজা,...হাতে শিঙের ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে স্টেজে ঢুকলুম।’
রবীন্দ্রনাথের কথা লিখেছেন অনেকেই, আত্মীয়-অনাত্মীয়-গুণমুগ্ধরা সশ্রদ্ধ স্মৃতিচারণ করেছেন। নিজের ছোট বেলার সাজের কথা রবীন্দ্রনাথ নিজেই লিখেছেন। ‘আমাদের শিশুকালে ভোগবিলাসের আয়োজন ছিল না বলিলেই হয়।’—এর একটি কারণ অবশ্য দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিশাল ঋণভার থেকে মুক্ত হতে গিয়ে ঠাকুর পরিবারের অনেক সম্পত্তিই তখন হাতছাড়া। তবে অর্থকৌলীন্যের গৌরব না থাকলেও আভিজাত্যের গৌরব বজায় ছিল পুরো মাত্রায়। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন— ‘বয়স দশের কোটা পার হইবার পূর্বে কোনওদিন কোনও কারণেই মোজা পরি নাই। শীতের দিনে একটা সাদা জামার উপরে আর একটা সাদা জামাই যথেষ্ট ছিল।’ এ তথ্য জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ কৌতুক করে বলেছেন আমাদের চটি-জুতা একজোড়া থাকিত। কিন্তু পা দুটা যেখানে থাকিত সেখানে নয়।’ তবে কৈশোরের প্রথমেই দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে হিমালয় যাত্রার সময়, পরিবারের উপযুক্ত সাজ তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য। ‘আমার বয়সে এই প্রথম আমার জন্য পোশাক তৈরি হইয়াছে। কী রঙের কী রূপ কাপড় হইবে—পিতা স্বয়ং আদেশ করিয়া দিয়াছেন। মাথার জন্য একটা জরির কাজ করা গোল মখমলের টুপি হইয়াছিল।’
বিয়ের সময় ৫নং বাড়ির অন্দরমহলে আইবুড়ো ভাতের নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে সাজের মনোরম বিবরণ দিয়েছিন অবনীন্দ্রনাথ— ‘রবিকাকা খেতে বসেছেন।...সামনে আইবুড়ো ভাত সাজানো,...রবিকা দৌড়দার শাল গায়ে, লাল কী সবুজ রঙের মনে নেই, তবে খুব জমকালো রঙের...দেখাচ্ছে যেন দিল্লির বাদশা!’ বিয়ের দিনেও এই পারিবারিক দৌড়দার শালটি গায়ে ছিল তাঁর।
পরিণত বয়সের সাজের দুটি ছবি এঁকেছেন রানীচন্দ আর রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সীতা দেবী। রানীচন্দ দেখেছেন শান্তিনিকেতনে নববর্ষ বা অন্য উৎসবে রবীন্দ্রনাথ উপাসনা করতেন— ‘গরদের ধুতি পাঞ্জাবি পরে, গলায় চাদর ঝুলিয়ে। এ সাজ ছাড়া মন্দিরে (শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ) আসেননি তিনি।’
পরিণত বয়সের আর একটি সাজের কথা লিখেছেন সীতা— ‘সাধারণত ধুতি পাঞ্জাবিই পরিয়াছেন, পাঞ্জাবির গলার বোতাম দু-তিনটি খোলা। মাথায় একটি কালো মখমলের টুপি।’ এরপর সীতা মন্তব্য করেছেন— ‘ধুতির সঙ্গে টুপি তখনকার দিনে কাহাকেও পরিতে দেখি নাই, কিন্তু তাঁহাকে ইহাতেও আশ্চর্য সুন্দর দেখাইতেছিল।’
04th  May, 2019
 ফিটনেস ফ্যাশন

 জিমে ঘাম ঝরানো হোক বা পার্কে ফ্রিহ্যান্ড পোশাক হওয়া চাই কেতাদুরস্ত। খবরে সোমা লাহিড়ী। বিশদ

15th  June, 2019
চরিত্র যেমন সাজ তেমন 

এই মাসে পরিচালক রানা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তুষাগ্নি মুক্তি পাবে। ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে স্বয়ং পরিচালক। খবরে চৈতালি দত্ত। 
বিশদ

08th  June, 2019
আজ জামাই সাজ 

ট্র্যাডিশনাল ধুতি-পাঞ্জাবি পরবেন, নাকি ক্যাজুয়াল কোনও পোশাক? চারটি সাজের খোঁজ দিয়েছেন সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

08th  June, 2019
চরিত্র যেমন, সাজ তেমন

৫ জুন মুক্তি পাবে পরিচালক রাজা চন্দের ছবি কিডন্যাপ। সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে দেব ও রুক্মিণী মৈত্রকে। এঁদের পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন স্টাইলিস্ট নেহা গান্ধী। খবরে চৈতালি দত্ত।
বিশদ

01st  June, 2019
 এই সাজ তোমার আমার

বাঙালির একান্ত নিজস্ব যে কয়েকটি অনুষ্ঠান আছে, নিঃসন্দেহে তার মধ্যে জামাইষষ্ঠী এক নম্বরে। জ্যৈষ্ঠের তেতে ওঠা গরমেও ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া আর সাজগোজ নিয়ে জমজমাট ঘরোয়া অনুষ্ঠান। শাশুড়ি মাকে যেমন জামাইবাবাজির জন্য পছন্দমতো পোশাক-আশাক কিনতে হয়, তেমনই জামাইও তাঁর শশ্রূমাতার জন্য একটা সুন্দর শাড়ি নিয়ে যান।
বিশদ

01st  June, 2019
 স্টাইলিশ সামার ট্রিপ

 গরমের ছুটি চলছে। হাতছানি দিচ্ছে সিমলা, উটি, দার্জিলিং। ডাকছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া। বাবা-মা’র সঙ্গে ছোটরাও রেডি বেড়াতে যাওয়ার জন্য। বেড়াতে যাওয়ার পোশাকও হওয়া চাই স্টাইলিশ। আলোচনা করেছেন সোমা লাহিড়ী। বিশদ

25th  May, 2019
পুরো মাখন

আমার ছোট্ট মেয়ে যখন খাওয়া নিয়ে বায়না করত তখন ভাতে সামান্য মাখন ছড়িয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! এক থালা ভাত নিমেষে উধাও। শুধু কি তাই? ডালটা বড্ড একঘেয়ে লাগছে? গরম করার সময় সামান্য মাখন ছড়িয়ে দিন না। দেখবেন চোখের পলকে স্বাদটাই বদলে যাবে। এমনই জাদু মাখনের। এখন তো আবার ডাক্তাররাও মাখনের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2019
পিকাডিলি স্কোয়্যার রেস্তরাঁয়
সামার কুল রেসিপি

জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ তখনই একগুচ্ছ সামার কুল রেসিপি নিয়ে হাজির পিকাডিলি স্কোয়্যার রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁর কর্ণধার পূজা বৈদ্যর মতে গরমে যেমন হালকা খাবার খাওয়া দরকার, তেমনই তা সুস্বাদুও করা প্রয়োজন। তাই তো নতুন ধরনের লাইট অ্যান্ড ব্রাইট রেসিপি নিয়ে তিনি তাঁর রেস্তরাঁয় শুরু করেছেন সামার কুল মেনু। এই মেনু পাওয়া যাবে জুন মাস জুড়ে। তবে তার আগেই দুটি সামার কুল রেসিপি অন্দরমহলের পাঠকদের উপহার দিলেন পিকাডিলি স্কোয়্যার রেস্তরাঁর কর্ণধার পূজা। রেসিপি সংকলনে কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

25th  May, 2019
চরিত্র যেমন সাজ তেমন 

গতকাল মুক্তি পেয়েছে সুজিত পালের ছবি অতিথি। ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে পরিচালক স্বয়ং। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পোশাকের দায়িত্বে সোমা দাস। খবরে চৈতালি দত্ত। 
বিশদ

18th  May, 2019
ফ্যাশনে অ্যাভেঞ্জার্স 

হলিউডের সায়েন্স ফিকশন মুভি ‘অ্যাভেঞ্জার্স দ্য এন্ড গেম’-এর সুপারহিরোরা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টিনএজারদের টি-শার্টে। খবরে সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

18th  May, 2019
চরিত্র যেমন সাজ তেমন

আগামী ২৪ মে মুক্তি পাবে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন। এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন কসটিউম ডিজাইনার অভিষেক রায়। খবরে চৈতালি দত্ত।
বিশদ

11th  May, 2019
বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন

 গনগনে রোদ্দুর যেন দগ্ধ করছে শরীর। এমন বৃষ্টিছাড়া দিনে সুতি ছাড়া অন্য কোনও শাড়ি পরতে মন চায় না। এমনই চারটি সুতির শাড়িতে সেজেছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া আর্থ অভিনেত্রী রেশমী ঘোষ। তাঁর সাজ কথায় সোমা লাহিড়ী।
বিশদ

11th  May, 2019
ঝলমলে ত্বকের জন্য
হাত বাড়ান লেবুতে

নিয়মিত নিজের যত্ন নেওয়ার থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সবারই মন চায় নিজেকে নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে মেলে ধরতে। কিন্তু দৈনন্দিন ঘর সংসার বা অফিসের কাজ সামলে দিনের শেষে ক্লান্ত বোধ হয়। এমনকী সময় করে পার্লারে গিয়ে রিল্যাক্স করার মতো সুযোগটারও খুব অভাব।
বিশদ

11th  May, 2019
 চরিত্র যেমন সাজ তেমন

১০ মে মুক্তি পাবে পরিচালক নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি কণ্ঠ। ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন দুই কস্টিউম ডিজাইনার ও স্টাইলিস্ট অভিষেক রায়, অনুপম চট্টোপাধ্যায়। খবরে চৈতালি দত্ত। বিশদ

04th  May, 2019
একনজরে
 রিও ডি জেনেইরো, ১৭ জুন: কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে বলিভিয়ার চ্যালেঞ্জ সহজেই অতিক্রম করেছে ব্রাজিল। বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) গ্রুপ-এ’র দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি ...

  চেন্নাই, ১৭ জুন: তামিলনাড়ু পুলিসের এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে তিন আইএস সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করল বিশেষ তদন্তকারী শাখা (এনআইএ)। ওই তিনজন কোয়েম্বাটোরের বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে আত্মঘাতী হামলার ছক করেছিল বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের নাম মহম্মদ হুসেন, শাহজাহান এবং শেখ সইফুল্লা। ...

  মুম্বই, ১৭ জুন (পিটিআই): ৬৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিড়লা সূর্য সংস্থার ডিরেক্টর যশোবর্ধন বিড়লাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করল ইউকো ব্যাঙ্ক। রবিবার এ বিষয়ে জনস্বার্থে নোটিস জারি করেছে তারা। ...

 সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ কমছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন। গতবার যেখানে ৩১ হাজারের বেশি আসন ছিল, এবার তা আরও কমে হয়েছে ২৯ হাজার ৬৫৯টি আসন। প্রাথমিক হিসেবে এই তথ্য মিলেছে। যদিও এখনও দু’টি কলেজ এবং কয়েকটি বিষয়ের আসন যুক্ত হওয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৯ টাকা ৭০.৬৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৩৪ টাকা ৮৯.৫৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৯ টাকা ৭৯.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২৩/৫৮ দিবা ২/৩১। মূলা ১৭/১৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৪/৫৬/০, অ ৬/১৮/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৭ মধ্যে পুনঃ ১/১৮ গতে ২/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
২ আষাঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২২/২২/৩৮ দিবা ১/৫২/৩৩। মূলানক্ষত্র ১৭/২৭/২৯ দিবা ১১/৫৪/৩০, সূ উ ৪/৫৫/৩০, অ ৬/২১/২৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/১৫ গতে ৮/১৬/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৯/১৩ গতে ২/৫৯/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪০/৪৩ গতে ২/৫৯/৫৯ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৪ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। বৃষ: কর্মসূত্রে সন্তানের দূরে যাবার সম্ভাবনা। মিথুন: কাজের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু২০০৫- ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:48:34 PM

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চালু কলকাতা পুলিসের হেল্প লাইন 
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যার ...বিশদ

09:48:24 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তান ৮৬/২ (২০ ওভার) 

08:17:00 PM

দার্জিলিং পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করল রাজ্য সরকার 

08:08:39 PM