১. যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক তাঁরা ৬ চামচ কলার পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ মধু ও একটু ময়দা মিশিয়ে মুখ, গলা, ঘাড় ও হাতে লাগাতে পারেন।২. যাঁদের খুব শুষ্ক ত্বক তাঁরা ৬-৭ চামচ কলার পেস্ট, ২ চামচ দুধের সর ও একটু ময়দা মিশিয়ে লাগাবেন। চল্লিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল হবে।
অঙ্কিত আদিত্য পরিচালিত ছবি তাই কারি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন জয়ন্তী সেন ও সন্দীপ জয়সওয়াল। খবরে চৈতালি দত্ত।
বসন্ত মানেই রং আর রং। লাল নীল হলুদ সবুজ গোলাপি বেগুনি মিলেমিশে একাকার। ডিজাইনারদের বসন্ত সম্ভারে তেমনই রং খুঁজে পেলেন সোমা লাহিড়ী।
শ্যাওলারঙা মেহেন্দির ভিজে সুগন্ধ প্রকৃতই বিয়ের বার্তা বয়ে আনে। খানিকটা প্রজাপতির মতোই রূপকধর্মী এই মেহেন্দিও। আইবুড়ো ভাত, আশীর্বাদ এই শব্দগুলোর সঙ্গে সঙ্গে মেহেন্দি, সঙ্গীত এই শব্দগুলোর এখন অবাধ প্রবেশ বাঙালি বিয়ের আসরে। বেশ কয়েক বছর ধরেই মেহেন্দি অবাঙালি গণ্ডি ছাড়িয়ে বাঙালি চত্বরে প্রবেশ করেছে এবং নিঃসন্দেহে বেশ পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে।
তিন অভিনেত্রী আজ সেজেছেন তাঁদের পছন্দের বসন্ত সাজে। শাড়ি, গয়না, মেকআপ আর হেয়ারস্টাইলে বসন্তের পদধ্বনি ধ্বনিত। বর্ণনায় সোমা লাহিড়ী।
ওয়ানস আপন আ টাইম ইন অ্যাকোয়া নামে এক ফ্যাশন শো হয়ে গেল পার্ক হোটেলে। খবরে চৈতালি দত্ত।
সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
শতাব্দীর প্রাচীন কালীঘাট মন্দিরের অজানা ইতিহাসকে নিয়ে ধারাবাহিক মহাতীর্থ কালীঘাট সান বাংলা চ্যানেলে প্রতিদিন সন্ধে ৬টায় সম্প্রচারিত হচ্ছে। বাংলা টকিজ প্রযোজিত এই ধারাবাহিকের কাহিনী ও ভাবনা সৌম্য পাকড়াশী ও সৌভিক চক্রবর্তীর। এই ধারাবাহিকে কালীভক্ত ছোট্ট উমা (সৃজা ভট্টাচার্য) থেকে শুরু করে জমিদার অনন্ত গাঙ্গুলি (অভিষেক চট্টোপাধ্যায়), জমিদারের বড় গিন্নি সারদা নন্দিনী (পিয়ালি মিত্র) এবং ছোট গিন্নি ইন্দুবালা (মেঘনা হালদার) ছাড়াও পরিবারের অন্যান্যদের গয়নার ডিজাইন ও ভাবনার দায়িত্বে আছেন স্টাইলিস্ট সন্দীপ জয়সওয়াল। সন্দীপ দশ বছর ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ করলেও এই ধারাবাহিকে গয়নার ডিজাইনের ভাবনা ও পরিকল্পনার দায়িত্ব পেয়ে প্রযোজকের কাছে খানিকটা সময় চান। কারণ সেই সময়ের জমিদার পরিবারের গয়নার ডিজাইন নিয়ে কাজ করার আগে গবেষণার প্রয়োজন ছিল। তাই আমি প্রথম শান্তিপুরে ‘ভাঙা রাসের মেলা’-তে যাই। এই মেলা প্রতি বছর নভেম্বরে কার্তিক পূর্ণিমার চার-পাঁচ দিন পর হয়। যেখানে শতাব্দী ধরে চলে আসা বড় গোস্বামী ও ছোট গোস্বামীর লড়াই হয়। এঁরা শান্তিপুরের জমিদার। বংশানুক্রমে এখনও এই প্রজন্মের সদস্যরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বড় গোস্বামী ও ছোট গোস্বামী শান্তিপুরের দশ বা কুড়িজন সুন্দরী মেয়েকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী গয়না পরিয়ে পথ মিছিল করেন। তাঁদের সংগ্রহের এই গয়না এখন অ্যান্টিকের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কোনও রেপলিকা নেই। অপূর্ব সব ভিনটেজ গয়নার ডিজাইন। আর এই মেয়েদের পড়াশোনা, ভরণপোষণ সব দায়িত্ব ওই গোস্বামীদের। যাই হোক, এরপর গোস্বামীদের বর্তমান প্রজন্মের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে গবেষণার জন্য যে এসেছি সেই কথা তাঁদের জানাই। প্রথম ওনারা কিছু বইয়ের পাতায় ডিজাইন দেখান। কিন্তু পাতা মুড়লেই তা খণ্ড হয়ে যায় এতটাই প্রাচীন। কিন্তু বইয়ের পাতায় গয়নার ডিজাইন সবই আঁকা। ওঁরাই আমাকে কলকাতার স্যাঁকরা পট্টি তারক প্রামাণিক রোডের একটা জায়গার কথা বলেন। যেখানে স্বর্ণকাররা সময়ের সঙ্গে নিজেদের পাল্টাতে পারেননি। কিন্তু ওঁরা খুব ভালো গয়নার ছাঁচ তৈরি করতে পারেন, ওঁরা এখন সোনার, রুপোর গয়নার থেকে বেরিয়ে এসে কপারের জিনিস তৈরি করেন। ওঁরা আমাকে ১১০০ শতাব্দীর ম্যানুসস্ক্রিপ্ট দেখালেন যেখানে গয়নার ডিজাইন রয়েছে— বলছিলেন সন্দীপ।
এছাড়াও কি আর অন্য কোনওভাবে গবেষণা করেছেন জিজ্ঞাসা করতেই সন্দীপের উত্তর, ‘অবশ্যই। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির গলিতে রয়েছে দেব জমিদারদের বাড়ি। সেখানে গিয়ে এই পরিবারের রানা দেবের সঙ্গে কথা বলি এবং আমার উদ্দেশ্যের কথা জানাই। আমি এঁদের কাউকেই চিনতাম না। এরপর উনি আমাকে পারিবারিক গয়না দেখান। এঁদের গয়নার ডিজাইন সেই সময়ের নিরিখে কিছুটা আধুনিক এবং স্নিক। ওঁর থেকে এটাও জানতে পারি যে, সেই সময়ে জমিদার পরিবারের বিধবা বয়োজ্যেষ্ঠারা ইমপোর্টেড পিওর রেশম সিল্ক শাড়ি যা বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা ইনার এবং পেটিকোট ছাড়া পরতেন। কিন্তু তার সঙ্গে তাঁরা গয়না ব্যবহার করতেন। এছাড়াও কলেজ স্ট্রিটের দত্ত জমিদার বাড়ির সেই চটক না থাকলেও কৌলীন্য আজও আছে। এই পরিবারের বর্ষীয়ান সুব্রত দত্ত ওঁর ঠাকুরমার একটি গয়না দেখান। সেই গয়নার ডিজাইনের রেপলিকা দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকের বড় গিন্নির কানে ও গলার হারে। আমি এক সময়ের এই দুই জমিদার বাড়ির অ্যালবাম থেকেও গয়নার ডিজাইন সংগ্রহ করেছি। বইয়ে পড়ার মতো কোনও রেফারেন্স ছিল না। তবে দত্ত জমিদার পরিবারের গয়না খুবই ভারী এবং সোনার প্রভাব বেশি। এছাড়াও সেন জমিদার বাড়ির গয়নাও দেখেছি। এইসব গয়নার ডিজাইনের সঙ্গে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনাকে সংযোগ করে ধারাবাহিকের গয়নার ডিজাইন করেছি। অনির্বাণ এই গয়না আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি করেছেন।’
গয়নার মেটিরিয়াল কীসের প্রশ্ন করতেই সন্দীপের থেকে জানা গেল যে, ধারাবাহিকের জন্য তৈরি করা গয়না কপারের। কিছু ডিজাইনের সূক্ষ্মতা আনতে এটিকে মেটিরিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কপারের এই গয়নার ওপর রয়েছে দেড় গ্রামের গোল্ড প্লেটিং। এই গয়না তৈরি হয়েছে গরানহাটায় যা একটু খরচসাপেক্ষ। প্রতিটি গয়না হাতে তৈরি।
‘সেই সময় গলায় তুলসী মালা পরার চলন ছিল। যেহেতু জমিদার তাই তিনি নিজের সম্ভ্রম দেখাতে এবং সেটা সিম্বলিক করার জন্য পাঁচ-ছ লাইনের তুলসীর মালার সঙ্গে হীরের লকেট বা ব্রোচ ব্যবহার করতেন। একটা বিশেষ দিনে এই পিওর তুলসীর মালা গাঁথা হতো। আমার মনে হয়েছে কোথাও একটা মোগল ঘরানার প্রভাব ছিল। তখনকার দিনে গলার হারের লকেট মহিলাদের বুকের মাঝে শোভা পেত। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে লকেট শোভা পেত গলার হারের কর্নারে। যেটা এখন প্রচণ্ড প্রচলন হয়েছে। ধারাবাহিকটিতে জমিদার অনন্ত গাঙ্গুলি অর্থাৎ অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের গলার হার হাতে তৈরি। তুলসী কাঠের মালার মধ্যে দু’পাশে হীরের পরিবর্তে দুটো স্টোনের পিস বসানো হয়েছে। যাতে বোঝা যায় তিনি কত সম্ভ্রান্ত জমিদার’— বললেন সন্দীপ।
শতাব্দীপ্রাচীন ময়ূর নেকলেস, ঠোকাই মূর্তি মুকুট, প্রজাপতি পুষ্প ঠোকাই নকশা টায়রা, মৎস্যমুখ ঠোকাই নকশা সীতাহার, তিন লহরী ঠোকাই নকশা গোগো সীতাহার ইত্যাদি রকমারি ডিজাইনের গয়না ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে।
