সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ছবির গল্প সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই পরিচালক অঙ্কিত আদিত্য জানান যে, তাইল্যান্ডের বাসিন্দা তিন বাঙালি বন্ধুর গল্প নিয়ে এই ছবির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। অয়ন, সাম ও নীতিন এঁরা তিনজন তাইল্যান্ডে থাকে। সামের সেখানে একটা রিয়্যাল এস্টেট এজেন্সি রয়েছে। অয়ন একজন শেফ। কিন্তু সে স্বপ্ন দেখে যে বিচের ধারে তার নিজস্ব ক্ষুদ্র একটা খাবারের জায়গা হবে যাকে শ্যাক বলে। নীতিন কী কাজ করে সেটা কেউ বুঝতে পারে না। কিন্তু এরা তিনজন প্রাণের পন্ধু। সাম খুব ভদ্র এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবনযাপন করে। তার ইচ্ছে, বহু বছরের বন্ধু তমালিকার সঙ্গে বিয়ের পর পাটায়াতে স্থায়ীভাবে সে বসবাস করবে। এদিকে বিয়ের আগে তমালিকার পরিবার এই প্রথম পাটায়াতে ভ্রমণে গিয়েছে। তমালিকার পরিবার ভীষণ রক্ষণশীল, যারা নিজস্ব সভ্যতা নিয়ে গর্বিত। কিন্তু সেখানে সামের দুই বন্ধু অয়ন এবং নীতিনের কারণে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। কীভাবে সেই সমস্যা সমাধান হবে এবং আদৌ সাম তমালিকরা কী পরিণতি হয় তা জানতে ছবি দেখতে হবে বলে জানালেন পরিচালক।
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—হিরণ (সাম), সোহম চক্রবর্তী (অয়ন), রুদ্রনীল ঘোষ (নীতিন), তৃণা সাহা (তমালিকা) ডিজে নায়রার চরিত্রে দেখা যাবে র্যাচেল হোয়াইটকে। এবং মায়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে ম্যাকরো নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে। এছাড়াও অন্য শিল্পীরা হলেন আয়ুষী, পৌলমী, সায়ন প্রমুখ।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রদের পোশাক এবং স্টাইলিং সর্ম্পকে কসটিউম ডিজাইনার স্টাইলিস্ট জয়ন্তী সেন ও সন্দীপ জয়সওয়াল সমস্বরে বলেন যে যেহেতু ছবির ব্যাকড্রপ তাইল্যান্ড তাই প্রতিটি চরিত্রের পোশাকে তার ছাপ যেন থাকে সেটা ছবি শুরুর আগে পরিচালক তাঁদের বলে দেন। পুরো ছবির প্রতিটি চরিত্রের পোশাক প্যালেট মিউটেড, আর্দি এবং প্যাস্টেল শেড রাখা হয়েছে। এমন কালার পোশাকে রাখা হয়েছে যা চোখের জন্য সুদিং হয়। তবে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকমের যে কালার প্যালেট ব্যবহার করা হয়েছে তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগ কটন ফ্যাব্রিক পোশাক ব্যবহৃত হয়েছে। সাম অর্থাৎ হিরণকে বেশিরভাগ সময় সেমি ফর্ম্যাল ও ফর্ম্যালে রাখা হয়েছে। কাজের সময় কর্পোরেট লুকে দেখা যাবে। কিছু জায়গায় লিনেন প্যান্ট ও শার্টে সাম ধরা দেবে। অ্যাকসেসারিজ হিসেবে সে ঘড়ি, চশমা, সানগ্লাসও ব্যবহার করেছে। অয়ন ওরফে সোহমকে রাউন্ড বা ভি নেক লাইনের টিশার্টের ওপরে শার্ট সঙ্গে লিনেন বা কালারফুল প্যান্ট কিংবা জিনস পরিহিত একেবারে ক্যাজুয়াল লুকে দেখা যাবে।
নীতিন অর্থাৎ রুদ্রনীল একটু ভবঘুরে এবং ফ্লামবয়ান্ট চরিত্রের, থ্রি কোয়ার্টাস প্যান্ট সঙ্গে টিশার্ট বা স্যান্ডো গেঞ্জিতে ধরা দেবে। অ্যাকসেসারিজের ক্ষেত্রে তিনি লাল রঙের টি শার্ট
বা শার্টের সঙ্গে রং মিলিয়ে ঘড়ি, মোজা পরেছেন। এমনকী চুলে ব্লন্ড কালারের হাইলাইট করেছেন। এ ধরনের লুকে রুদ্রনীলকে আগে কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। তবে ম্যাকরো ওরফে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে ওয়ার্ম টোন অর্থাৎ হোয়াইট, ব্রাউন, গ্রে, ব্ল্যাক ইত্যাদি রঙের থ্রি পিস স্যুটে দেখা যাবে। ছবির একটি দৃশ্যে গাউনও পরেছেন। অ্যাকসেসারিজের ক্ষেত্রে একটি দৃশ্যে শুধু আঙ্গুলে আংটি রয়েছে। এমন কথা বললেন জয়ন্তী, সন্দীপ।
তবে র্যাচেল হোয়াইটকে ক্রপ টপ, হট প্যান্ট, জামস্যুট, লঙ ড্রেস ইত্যাদি ওয়েস্টার্ন আউটফিটে দেখা যাবে। তমালিকা ওরফে তৃণা সাহা ফিউশন এবং ভারতীয় পোশাক পরেছে। যেমন জিনসের সঙ্গে কুর্তি ও পায়ে বুটসে তাঁকে দেখা যাবে। আবার কখনও তিনি শার্টের সঙ্গে সিগারেট প্যান্ট কিংবা টপের সঙ্গে পালাজো পরেছেন। বিদ্যা সিনহা মিমকে অফ শোল্ডার ড্রেস, ফ্লোরাল ড্রেস, জ্যাকেট ইত্যাদি পাশ্চাত্য পোশাকে দেখা যাবে বলে শোনা গেল জয়ন্তী ও সন্দীপের কাছে।
কাহিনী লিখেছেন অঙ্কিত আদিত্য, শরকত জুনেহা (মুম্বই)। ক্যামেরায় গোপী ভগত। সম্পাদনা মহম্মদ কালাম। সুরকার অম্লান চক্রবর্তী। প্রযোজনা করেছে গ্রীনটাচ এন্টারটেইনমেন্ট, আদিত্য প্রোডাকশনস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট। প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে, অনির্বান আদিত্য। ছবির সম্পূর্ণ শ্যুটিং হয়েছে তাইল্যান্ডের বিভিন্ন লোকেশনে যা আগে বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি।