Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার আপাতত আর আসবে না। কংগ্রেস যেমন একক গরিষ্ঠতা পাবে না। সেই শক্তি নেই। এবং হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ঠিক তেমনই বিজেপিও আর একক গরিষ্ঠতা পাবে না। মনে করা হচ্ছিল ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি নামক এক ঝড় এসে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা জোট রাজনীতিকে উড়িয়ে দিয়েছে। সম্ভবত আবার তিনি কায়েম করলেন একক গরিষ্ঠতার সরকার গঠনের সেই পুরাতন রীতি। কিন্তু মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেল সেই প্রবণতা ছিল ব্যতিক্রম। আবার ভারত সরকার চালাচ্ছে বহুদলীয় জোট। অর্থাৎ এখন মোদি যে সরকার চালাচ্ছেন, সেটা ফিরে গিয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ির প্রথম এনডিএ জোটের আমলে কিংবা ডক্টর মনমোহন সিং-এর ইউপিএ জোটের মডেলে।  এই ফর্মুলাই স্থায়ী হয়ে গেল। কোনও সম্ভাবনা থাকছে না যে, বিজেপি আবার এককভাবে ২০২৯-এ অথবা ২০৩৪ সালে একক গরিষ্ঠতা কিংবা ৩০০ আসন পার করে দেবে। সেরকম আর হবে না। জোট করেই সরকার গড়তে হবে বিজেপিকে কিংবা কংগ্রেসকে। ২০২৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও কমে যাবে। হয়তো ২০০ আসনেরও নীচে। কেন? কারণ আগামী পাঁচ বছর ধরে একঝাঁক রাজ্যে বিজেপি সরকার চলবে। আবার একইসঙ্গে কেন্দ্রেও থাকছে এনডিএ জোটের সরকার। অর্থাৎ যৌথ অ্যান্টি ইনকামবেন্সির ধাক্কা আসবে ২০২৯ সালে। সরকার বিরোধী হাওয়ায় আরও আসন কমবে। অন্যতম কারণ হল, আগামী চার বছরে বর্তমান মোদি সরকার কিংবা বিজেপি এমন কোনও চমকপ্রদ কর্মসূচি আর নিতে পারবে না যা ভোট বাড়াতে সাহায্য করবে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বহু প্রতীক্ষিত, বহু প্রত্যাশিত রামমন্দিরই বিজেপিকে একক গরিষ্ঠতা দিতে পারল না যেখানে, সেখানে এর থেকে বড় ইস্যু আর কী হতে পারে? যুদ্ধ ছাড়া! তার সঙ্গে যুক্ত হবে মোদি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন না। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মতো ম্যাজিক আর কারও নেই। অতএব সহজ বোধগম্য হল, বিজেপি সর্বোচ্চ একক আসন ২০১৯ সালে পেয়ে ফেলেছে। ৩০৩। এবার ক্রমেই আসন কমার পালা। 
দ্বিতীয় কোন পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে ভারতের রাজনীতিতে? নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ। কেন্দ্রে যেমন বিজেপি জোট এবং কংগ্রেস 
জোটের মধ্যেই লড়াই হবে, ঠিক সেভাবেই রাজ্যে রাজ্যে সরাসরি দুই দল কিংবা দুই জোটের মধ্যে এবার থেকে ভোটযুদ্ধ হওয়া স্থায়ী হয়ে গেল। সেই প্রমাণ রাজ্যে রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ যে সব রাজ্যে তিন অথবা চারটি দল পৃথক অস্তিত্ব নিয়ে ভোটের রাজনীতিতে বিদ্যমান ছিল এতকাল এবং সবার মধ্যেই ভোট বিভাজন হয়েছে, সেই প্রবণতা ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন দেখা যায় ভোটার দ্বিমুখী হয়ে গিয়েছে। কোনও তৃতীয় পক্ষ সেভাবে দাগ কাটছে না। ভোটে থাবাও বসাতে ব্যর্থ। 
বাংলায় যেমন তৃণমূল বনাম বিজেপি যুযুধান দুই পক্ষ। সিপিএম আর কখনও তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভোটের ময়দানে গুরুত্ব পাবে না। কংগ্রেসও তাই। ঠিক যেমন উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী যুগ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। মায়াবতীর দলিত ভোটব্যাঙ্কের কিয়দংশ চন্দ্রশেখর আজাদের পার্টি পেলেও ত্রিমুখী লড়াই আর হবে না। ওই রাজ্যে লড়াই প্রধানত অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের। যে রাজ্যগুলিতে সরাসরি দুটিই দল, সেই মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, হরিয়ানায় কংগ্রেস বনাম বিজেপিরই লড়াই হতে থাকবে। 
সদ্য সমাপ্ত জম্মু কাশ্মীরের ভোটে এই প্রবণতাকেই লক্ষ করা গেল। একদিকে বিজেপি জোট এবং অন্যদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের জোট। মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রায় মুছে গিয়েছে। দিল্লিতে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এবারও মূল ভোটের লড়াই বিজেপি বনাম আম আদমি পার্টির। ঠিক সেভাবেই দেখা গিয়েছে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে এখন ভোটের লড়াই হয়। সেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ শিরোমণি আকালি দলের ভোটব্যাঙ্ক সরে গিয়েছে আম আদমি পার্টির দিকে। আবার আশ্চর্য হল, মোদি ১০ বছর দিল্লিতে রাজত্ব করার পরও পাঞ্জাবে বিজেপি এখনও নগণ্য দল। 
লোকসভা ভোটের ফলাফলেই লক্ষ করা গেল, কর্ণাটকে কংগ্রেস বনাম বিজেপি প্রধান দুই দল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই যোগ 
দিয়েছে বিজেপি জোটে। তাদের হাল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, তারা এই জোটে না থাকলেও বিজেপির 
বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। কারণ লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে দেবেগৌড়ার দলের আর গুরুত্ব নেই। 
তামিলনাড়ুতে যেই দেখা গিয়েছে জয়ললিতার রেখে যাওয়া এআইএডিএমকে সম্পূর্ণ নেতাহীন হয়ে কার্যত পালছেঁড়া নৌকার মতো হয়ে গিয়েছে, সেই সময় বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে তামিলনাড়ুতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছিল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের তামিল, তেলুগু, মালয়ালি ভাষার তিন রাজ্য এখনও উত্তর ভারতীয়, মূলত হিন্দিভাষী এবং উচ্চবর্ণ চালিত বিজেপিকে প্রধানতম দল হিসেবে আনবে না। তাই জয়ললিতার দল যখনই দুর্বল হওয়ার প্রবণতা দেখাতে শুরু করেছে, তখনই আত্মপ্রকাশ ঘটল এক নতুন সুপারস্টারের রাজনৈতিক দল। তামিলনাড়ুতে ২০২৬ সালে ডিএমকের সঙ্গে সুপারস্টার বিজয়ের দলের লড়াই হবে আকর্ষণীয়। দুর্বল হয়ে যাবে এআইএডিএমকে। কারণ তাদের কাছে গ্ল্যামার নেই। অর্থাৎ তামিল রাজনীতি হবে পিতা স্ট্যালিন ও পুত্র উদয়াদিত্য স্ট‌্যালিনের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক  স্টার বিজয়ের লড়াই। 
দেবেগৌড়া ও তাঁর দল ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন। নবীন পট্টনায়ক প্রায় রাজনৈতিক মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন পরাস্ত হয়ে। নীতীশকুমারের আর মাত্র কিছুমাস রাজনৈতিক পদাধিকার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর হতে পারবেন না। লালুপ্বসাদ যাদব অসুস্থ এবং প্রায় অবসরপ্রাপ্ত। মুলায়ম সিং যাদব নেই। এই নামগুলি উচ্চারণ করার কারণ কী? কারণ হল, ১৯৭৭ ও তৎপরবর্তীকালে জনতা পার্টি থেকে যে নেতাদের উত্থান হয়েছিল, তাঁরা সকলেই অস্তমিত অথবা অস্তগামী। তাঁদের মধ্যে কারও কারও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী আছে। যেমন অখিলেশ যাদব ও তেজস্বী যাদব। আবার কারও কারও নেই। যেমন নবীন পট্টনায়ক কিংবা নীতীশ কুমার।  
কংগ্রেসের প্রধান সঙ্কট হল, রাজ্যে রাজ্যে শক্তিশালী নেতানেত্রী তৈরি করতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। আসলে চাননি। কারণ তাঁদের আশঙ্কা রাজ্যস্তরে শক্তিশালী নেতৃত্ব তাঁদের অন্ধ অনুগামী হবে না। স্বাধীনভাবে চলবে। যা গান্ধী পরিবারের পছন্দ নয়। আর তার পরিণতিও কংগ্রেস বুঝেছে। এই অতিরিক্ত গান্ধী পরিবার নির্ভর দল করে পুত্রকন্যাকে নিষ্কণ্টক করতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন হারিয়ে বসে আছেন। প্রমাণিত হচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে রাহুল গান্ধী একা কোনও ভোট জিতিয়ে দেবেন সেই ক্যারিশমা নেই তাঁর। বস্তুত সেই স্পার্ক তৈরিই হয়নি এখনও। অথচ তাঁর মধ্যে গুণ রয়েছে। সবথেকে বড় গুণ হল, তিনি এত পরাজয় এবং ব্যর্থতা সত্ত্বেও ময়দান ছেড়ে পালাননি। রয়ে গিয়েছেন। চেষ্টা করছেন।
প্রশ্ন হল, ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী?  ইন্ডিয়া জোট পূর্ণাঙ্গ কোনও জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি। বস্তুত যে রা঩জ্যে যে জোটশরিক শক্তিশালী, সেখানে সেই দল চালিকাশক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস যেখানে একক শক্তিশালী সেখানে কংগ্রেস লড়ছে। যেখানে অন্য আঞ্চলিক দল, তারা সেখানে লড়াই করছে। কংগ্রেসের সমস্যা একটাই। তৃণমূল পারছে, সমাজবাদী পার্টি পারছে, আম আদমি পার্টি পারছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স পারছে, ডিএমকে পারছে। একমাত্র কংগ্রেসের সঙ্গে যেখানে বিজেপির সরাসরি লড়াই হচ্ছে, সেখানে বিজেপি জয়ী হচ্ছে। কংগ্রেস পারছে না। ইন্ডিয়া জোট থাকবে জাতীয় প্ল্যাটফর্মে। সেটা নিয়ে কংগ্রেসকে চিন্তা করতে হবে না। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগে চেষ্টা করুন এমন রণকৌশল তৈরি করতে  যাতে তাঁদের দল বিজেপিকে ওয়ান টু ওয়ান লড়াইয়ে বেশি করে হারাতে পারে। তাহলেই বিরোধী জোট চলে আসবে চালকের আসনে। নচেৎ নয়! 
17th  January, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
একনজরে
ভালোবাসার দিন। কিন্তু গোলাপ-পারফিউম- চকোলেট নয়, শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল একরাশ ক্ষোভ এবং বিরক্তি। আসলে আইএসএলে বছরের পর বছর ব্যর্থতা মেনে নিতে ...

সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক প্রযুক্তি। এই দুই দেশের মধ্যে যে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি। ...

শুক্রবার সকালে মালদহের গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীডাঙ্গা এলাকায় তালপুকুরে পাঁচ বিঘার বেশি আয়তনের একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিদেশ সফর সেরে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

14-02-2025 - 11:42:00 PM

ট্রাকের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশে অশান্তি

14-02-2025 - 11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারাল বেঙ্গালুরু

14-02-2025 - 10:56:00 PM

নতুন আয়কর বিল খতিয়ে দেখতে সিলেক্ট কমিটি গঠন করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, তাতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র

14-02-2025 - 10:38:00 PM

মিউনিখে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের সঙ্গে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

14-02-2025 - 10:31:00 PM

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত নম্বর আমাকে দিয়েছেন, এমনটাই জানালেন জেলেনস্কি

14-02-2025 - 10:24:00 PM