Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ ইয়েলৎসিন এমন সময় এই ভাষণ দেন, যখন তাঁর শাসনে রাশিয়ায় দুর্নীতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা চরম আকারে পৌঁছেছিল। তাঁর শাসনকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিল দেশবাসী। গোটা দেশ অনিশ্চয়তার পথে হাঁটছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ইয়েলৎসিন। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রাশিয়ার যাত্রা তাঁর সময়ে জনগণকে দুঃসহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করেছিল।
বিংশ শতকের শেষ দিনে ভ্লাদিমির পুতিন যখন রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন কেজিবির প্রাক্তন এই গুপ্তচর ছিলেন অনেকের কাছেই রহস্যের চাদরে মোড়া। আজও তাঁকে ঘিরে রহস্যের অন্ত নেই। পুতিন হচ্ছেন রাশিয়ার সেই নেতা, যিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে চান। পশ্চিম বিশ্বের রক্তচক্ষু অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার সীমানার সম্প্রসারণ চান। বাল্যকালও যার কেটেছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেখান থেকে উঠে এসে একদিন ক্রেমলিনের শীর্ষ পদে বসা— বিস্ময়কর বলতেই হয়। অন্তত দিনটি তেমনই ছিল রুশ নাগরিকদের কাছে।
ইয়েলৎসিনের ঘোষণার পর তাঁর উত্তরসূরি ‘নতুন শতকের নতুন মুখ’ ভ্লাদিমির পুতিন প্রথম টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকছেন জানিয়ে দেশবাসীকে বলেন, ‘ক্ষমতার কোনও শূন্যতা তৈরি হবে না।’ এই আশ্বাসের সঙ্গে দেন হুঁশিয়ারিও। বলেন, ‘রাশিয়ার সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের যেকোনও প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ মদ্যপ ও উচ্ছৃঙ্খল ইয়েলৎসিনের আচরণে অতিষ্ঠ ছিলেন রুশ নাগরিক। তাই পুতিনের চৌকস চেহারা ও সংযত কথাবার্তা অচিরেই মানুষকে আকৃষ্ট করতে শুরু করে। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে তাঁর।
তখন পুতিনের মুখে কখনও লেনিন-নিন্দা, কখনও সোভিয়েত-বন্দনা কেন? আসলে, সোভিয়েত রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ছিল দু’টি: সমাজতন্ত্র এবং বিশ্বশক্তি। সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ১৯৯০-এর দশকেই, যুগোপযোগী পুতিন যথাসময়ে তা ছেঁটেও ফেলেছেন। আগস্ট অভ্যুত্থানে যখন কমিউনিস্ট পার্টির কট্টরপন্থীরা শেষবারের মতো ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা করলেন, পুতিন তখন লিখলেন পদত্যাগপত্র— ‘অভ্যুত্থান শুরু হতে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, আমি কোন পক্ষে।’ বললেন, কেজিবি-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদটি ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। কারণ জীবনের সেরা সময় তিনি কাটিয়েছেন পার্টির শাখাতেই। অতঃপর পার্টিবিরোধী রাজনীতিক তথা লেনিনগ্রাদের মেয়র আনাতোলি সবচাক-এর ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে প্রবেশ, এবং প্রশাসনিক সিঁড়িতে আরোহণ। আবার সবচাকের দিন ফুরোতেই শহর পাল্টে পুতিনের মস্কো গমন। সরাসরি প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে প্রবেশ। গুপ্তচরবৃত্তি ছাড়ার সাত বছরের মধ্যেই, ১৯৯৮ সালে কেজিবি-র উত্তরসূরি এফএসবি-র অধিকর্তা পদে অধিষ্ঠান। কিছু দিনের মধ্যেই ইয়েলৎসিনের উত্তরাধিকারের দাবিদারও হয়ে ওঠা। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদ। তারপরেই সোভিয়েতের অন্য দিকটিকে সযত্নে লালন-পালনের সূত্রপাত। লক্ষ্য, আবারও বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠা।
প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে, ১৯৯৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হন ভ্লাদিমির পুতিন। তখনও ছিলেন রহস্যাবৃত। সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির তুলনামূলক স্বল্প-পরিচিত এক পদ থেকে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। পুতিন, চেচনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন। ওই বছরের শেষ দিনে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ে ইয়েলৎসিনের চেয়ে মানুষের আস্থা তাঁর উপরই বেশি ছিল। ২০০০ সালের মার্চে পুতিনের অধীনে রাশিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। দায়িত্ব নেওয়ার পরে আরও স্পষ্ট হতে থাকে, ৪৭ বছরের পুতিন কথাবার্তা ও চলনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন।
গণতান্ত্রিক রাশিয়ায় পশ্চিমের মতোই পর পর দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়া যেত না। ২০০৮-এ তাই পুতিন পদ ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী হন, প্রেসিডেন্ট হন তাঁরই ঘনিষ্ঠ দিমিত্রি মেদভেদেভ। সংবিধান মোতাবেক ২০১২-য় প্রেসিডেন্ট পদে ফেরেন পুতিন। আর, তারপরেই খেলা শুরু। একে একে যাবতীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর তাঁর রাজনৈতিক একাধিপত্য কায়েম হয়, সংবিধান সংশোধিত হয়ে যায়, সমস্ত নির্বাচনেই অবাধে জালিয়াতি হতে থাকে, প্রেসিডেন্ট পদের সময়সীমা তুলে দিয়ে আপাতত ২০৩৬ পর্যন্ত নিরঙ্কুশ পুতিন। দেশের ভিতরে প্রশ্নহীন নেতৃত্ব স্থাপনের পর পুরনো রুশ-সোভিয়েত প্রভাববৃত্তে হাত বাড়িয়েছেন একচ্ছত্র প্রেসিডেন্ট। গণতন্ত্রীকরণের তোড়ে যা খোয়া গিয়েছিল, বাহুবলের জোরে তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু। প্রথম উদ্যোগ ক্রিমিয়ার সংযুক্তিকরণ। তা সফল। কিন্তু সেখান থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের সূচনা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাত বছর পর ১৯৫২ সালে পুতিনের জন্ম। জন্মের আগে অবরুদ্ধ লেলিনগ্রাদে তাঁর বড় ভাই নিহত হন। সেই সময় তাঁর মা-বাবা কোনওমতে বেঁচে গিয়েছিলেন। জার পিটার দ্য গ্রেটের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট পিটার্সবার্গ (সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরে যার নামকরণ হয় লেনিনগ্রাদ) শহরে বেড়ে উঠেছিলেন পুতিন। বিপ্লবের আগে এই শহরের স্থাপত্য ও সংস্কৃতিতে ছিল পশ্চিমী প্রভাবের সুস্পষ্ট ছাপ, যেখানে রুশ সাম্রাজ্যের অতীত গর্বের নিদর্শনও ছিল ব্যাপক। জনাকীর্ণ একটি যৌথ ফ্ল্যাটে বেড়ে উঠেছিলেন পুতিন। সেখানে একাধিক পরিবারের জন্য ছিল একটিমাত্র বাথরুম ও রান্নাঘর। নিত্যসঙ্গী ছিল বড় বড় ইঁদুর ও আরশোলা। সেই স্মৃতিচারণা করে পুতিন তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ছোটবেলায় কীভাবে সিঁড়িতে ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে হতো তাঁকে। ‘একবার আমি একটি বড় ইঁদুরকে তাড়া করে একটি কোণায় আটকে ফেলি। আচমকা ইঁদুরটি আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি এতটুকু ভয় পায়নি। এরপর সেটি লাফিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পালায়।’
সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশচেভের নাতনি অধ্যাপক নিনা ক্রুশচেভার মতে, পুতিনের সেই কোণঠাসা করা ইঁদুরের উপাখ্যানের সুর সময়ের উপর নির্ভর করে কমবেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে বিবিসির পডকাস্টে নিনা বলেছিলেন, পুতিন তাঁর সাদামাটা বেড়ে ওঠা, গোটা জীবন তাঁকে কত ধরনের শত্রুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তা বোঝানোর জন্য সব সময় এই গল্প বলেন— কীভাবে তিনি একটি ছোট প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করে করে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশি-বিদেশি সব ধরনের শত্রুর মোকাবিলা করেছেন।
জুডোর ব্ল্যাকবেল্ট পাওয়া পুতিন প্রায়ই বলতেন, আইনভঙ্গকারীরা হল ‘ধেড়ে ইঁদুর। যাদের দমন করা উচিত।’ কিন্তু, বাস্তবে কেমন ছিলেন তিনি? ২০০১ সালে পুতিনের জুডো প্রশিক্ষক আনাতোলি রাখলিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছিলেন, পুতিন ছিল আমার সেরা ছাত্রদের একজন। ওঁর মধ্যে অলিম্পিক টিমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। জুডোর লড়াইয়ে সবসময়েই জেতার সংকল্প ছিল। যদি গায়ের জোরে না হয়— তাহলে বুদ্ধির কৌশলে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করত। জুডোর দ্বৈরথে সে প্রথমেই ডানে ও বাঁয়ে দু’দিক থেকে আক্রমণ করতে চাইছে এমন দক্ষতার সঙ্গে অঙ্গভঙ্গি করত। প্রতিপক্ষ যখনই ভেবে বসত, ডান দিক দিয়ে আক্রমণ আসবে, তখনই সে আচমকা বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ করত। পুতিন সবসময়েই প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিতে চাইত।
ছোটবেলা থেকেই কেজিবির এজেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল পুতিনের। পাদপ্রদীপের আলো থেকে দূরে তাঁর মতো নিভৃতে কাজ করতে চাওয়া ব্যক্তির জন্য এই পেশাই ছিল উপযুক্ত। পুতিন নিজেও বলেছেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালের সোভিয়েত গুপ্তচরবৃত্তির এক সিনেমা তাঁর মনে কেজিবি এজেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল। ‘দ্য শিল্ড অ্যান্ড দ্য সোর্ড’ নামে ওই চলচ্চিত্রের মূল কাহিনি আবর্তিত হয় নাৎসি জার্মানিতে কর্মরত এক সোভিয়েত ডাবল এজেন্টের চরিত্রকে কেন্দ্র করে। যিনি নাৎসিদের গোপন দলিলের তথ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে তুলে দিতেন।
গোয়েন্দা অফিসার হওয়ার ছোটবেলার সেই স্বপ্ন কখনও ভোলেননি পুতিন। তাঁর বয়স যখন মাত্র ১৬, তখন একদিন স্থানীয় কেজিবির সদর দপ্তরে গিয়ে চাকরি চেয়ে বসেন। অফিসাররা পুতিনকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে পরামর্শ দেন, আর বলেন সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে। ছয় বছর পরে কেজিবি তাঁকে নিয়োগ করে। এরপরের ১৬ বছর একজন গুপ্তচরের জীবন কাটান পুতিন। তাঁকে মোতায়েন করা হয়েছিল পূর্ব জার্মানিতে। যখন বার্লিন দেওয়ালের পতন হয়— তখন সেখানেই ছিলেন। এরপরে ফিরে আসতে হয় রাশিয়ায়। যেখানে তখন দ্রুত ভেঙে পড়ছিল পুরনো সব সোভিয়েত ব্যবস্থা। সোভিয়েত ভাঙনে এক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, রুশ রাষ্ট্রব্যবস্থা সর্বতোভাবে পশ্চিমমুখী হয়েছিল। দেশের ভিতরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মডেল স্থাপিত হয়, বিদেশনীতি স্থির হয় উদারবাদের নিরিখে। যে প্রতিবেশীরা এত দিন মস্কো থেকে চালিত হতো, তাদের সার্বভৌমত্ব স্বীকৃত হয়েছিল। যে যে অভিজ্ঞানে সোভিয়েত-সভ্যতার স্মরণ হয়, সবই দুর্বার গতিতে মুছে গিয়েছিল। পুতিন ক্ষমতায় এসেই এই চাকাটা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেন— সোভিয়েত নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনেন। তাঁর যুক্তি: ‘ইতিহাসের সমস্যার অধ্যায়ের কথা ধরলে, হ্যাঁ, তা আমাদের আছে। কিন্তু তা কোন রাষ্ট্রের নেই? এবং, অন্যদের চেয়ে তেমন অধ্যায় আমাদের কমই।... আমরা নিজেদের অপরাধবোধে ডুবে যেতে দিতে পারি না।’
বিবিসির রাশিয়াবিষয়ক সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ লিখছেন, ক্রেমলিন ত্যাগের সময় পুতিনকে একটি কথা বলেছিলেন ইয়েলৎসিন, ‘রাশিয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন।’ ইয়েলৎসিনের সেই কথা কি পুতিন রাখতে পেরেছেন? জবাবে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি শুধু রাশিয়ার প্রতি খেয়াল রাখিনি, দেশটিকে নরকের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছি।’
পছন্দ করুন, কিংবা না করুন— ২৫ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় ভ্লাদিমির পুতিন। সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্তালিনের পর এত লম্বা সময় ধরে কেউ রাশিয়াকে শাসন করেননি। তাঁর মূলমন্ত্র কী? পুতিন বলেন, জন্মস্থান লেনিনগ্রাদের ‘পথঘাট’ তাঁকে একটি বিষয় শিখিয়েছে। আর তা হল— লড়াই অনিবার্য হলে প্রথমেই আঘাত হানো!
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
১৯ জানুয়ারি হতে চলেছে ‘দ্য স্টেটসম্যান ভিন্টেজ অ্যান্ড ক্লাসিক কার র‌্যালি’। এবার এই র‌্যালি ৫৪ বছরে পা দিল। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন গাড়িগুলির ইতিহাস তুলে ...

গতবছর দেশজুড়ে গাড়ি বিক্রির হার ২০২৩ সালের তুলনায় সার্বিকভাবে ৯ শতাংশ বেড়েছে। এই সাফল্যে বড় ভূমিকা নিয়েছে দু’চাকার গাড়ি। এই দাবি করেছে গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ...

আরামবাগে মোবাইলের দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় জড়িত বসিরহাট গ্যাং। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এবং সূত্র মারফত পুলিস ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে ...

অসমের কয়লা খনি থেকে প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হল এক শ্রমিকের দেহ। মৃত শ্রমিক নেপালের উদয়াপুর জেলার বাসিন্দা। নাম গঙ্গা বাহাদুর শ্রেষ্ঠ । ভারতীয় সেনার ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ডিমা হাসাওয়ের  কয়লা খনি থেকে বুধবার শ্রমিকের দেহ উদ্ধার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম

08th  January, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৮ টাকা ৮৬.৭২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩২ টাকা ১০৯.০৫ টাকা
ইউরো ৮৭.১৯ টাকা ৯০.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৫ দিবা ১২/২৩। ভরণী নক্ষত্র ২১/২৫ দিবা ৩/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৪ গতে ১/২৩ মধ্যে।
২৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১১/৪৬। ভরণী নক্ষত্র দিবা ২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ২/২৫ গতে ৫/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৫ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: আগামী ১৮ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত, দুপুর আড়াইটার সময় শুনানি

05:42:00 PM

ধূপগুড়িতে রেলগেট ভেঙে উল্টে গেল পিকআপ ভ্যান, আটকে পড়ল রাজধানী
ধূপগুড়ির বটতলায় দুরন্ত গতিতে এসে রেলগেট ভেঙে দিল পিকআপ ভ্যান। ...বিশদ

05:30:00 PM

অসমের ডিমা হাসাওয়ের কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যৌথ অভিযান জাতীয়-রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর, রয়েছে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসও

05:23:00 PM

চেন্নাইয়ের রাজভবনে ‘পোঙ্গল’-এর অনুষ্ঠানে সামিল তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি

05:15:00 PM

২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চিকিৎসকদের কনভেনশন, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চিকিৎসকদের কনভেনশন। সেটিতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের ...বিশদ

05:05:55 PM

ময়নাগুড়িতে পুলিসের অভিযান, পোড়ানো হল গাঁজা গাছ
তিনদিন ধরে ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছ কেটে ...বিশদ

04:32:00 PM