পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে হেরে কংগ্রেস এমনিতেই প্রবল চাপে। হাত শিবিরের রক্তচাপ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বে বদলের দাবি উঠেছে। শারদ পাওয়ার ও লালুপ্রসাদ যাদব সহ বিরোধী শিবিরের একঝাঁক প্রবীণ নেতা মমতার হাতে ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। এই আবহেই দিল্লির ভোট ঘিরে কংগ্রেস কার্যত শরিকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ‘ইন্ডিয়া’র একের পর এক শরিক আপকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করছে। তৃণমূলও কেজরিওয়ালের দলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে আপ সুপ্রিমো লিখেছেন, ‘দিল্লির ভোটে আপকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদির কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ। দিদি আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো-মন্দ সব সময়ই আপনার সমর্থন ও আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে থেকেছে।’
এরইমধ্যে এদিন আপ ও বিজেপির সংঘাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিল্লির রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলো সংস্কারে বিপুল টাকা ব্যয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলোটিকে ‘শিশমহল’ বলে উল্লেখ করে খোঁচা দিয়েছেন। এব্যাপারে বিজেপির প্রচার ভোঁতা করতে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে বুধবার ওই বাংলোয় ঢোকার চেষ্টা করেন দুই আপ নেতা সঞ্জয় সিং ও সৌরভ ভরদ্বাজ। কিন্তু অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন দিল্লি পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে পাল্টা প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের দিকে এগতে শুরু করেন আপ নেতারা। দিল্লির শাসকদল ‘শিশমহলে’র পাল্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে ‘রাজমহল’ বলে সুর চড়িয়েছে। তাদের দাবি, মোদির আয়েশের জন্য ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে ওই বাসভবন বানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পৌঁছনোর আগেই পুলিস মাঝপথে আটকে দেয় আপের নেতাদের। ধরনায় বসে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন আপ নেতারা। এর মধ্যে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতাকর্মীরাও। তাঁরা পৌঁছে যান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আতিশীর বাসভবনের বাইরে। ছবি: পিটিআই