পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
কালিয়াচকের বাসিন্দা মৌ-পালক সাকিরুল শেখ,আসিদুল শেখ বলেন, হিলির লস্করপুরে গত বছর বাক্স বসিয়েছিলাম। এবারে তিওর কালীবাড়িতে ২০০ বাক্স বসিয়েছি। দিনে ৬০-১০০ কেজি মধু সংগ্রহ করি। তাতে ২০ হাজার টাকা উপার্জন হয়। আমরা পাঁচ জন মিলে কাজ করছি। সর্ষের জমির পাশে পর পর রাখা হয় কাঠের বক্স। বক্সের ভিতরে আছে ফ্রেম। বাক্সেই থাকে তাঁদের পালনকারী একটি স্ত্রী ও পুরুষ এবং অসংখ্য শ্রমিক মৌমাছি। সকালে খুলে দেওয়া হয় সেই বাক্স। আর সঙ্গে সঙ্গেই মৌমাছি ছড়িয়ে পড়ে সর্ষের জমিতে। মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে আবারও বাক্সে ফেরে। বাক্সের মধ্যে ফ্রেমে চাক বানিয়ে সেখানে মধু সঞ্চয় করে মৌমাছিরা। একটি করে ফ্রেমে অন্তত হাজারটি মৌমাছি থাকে। ফ্রেম থেকে মৌমাছি বের করে মধু ভর্তি ফ্রেম দেওয়া হচ্ছে রিফেন্ড মেশিনে। দুই থেকে তিনটি করে ফ্রেম ঢোকান হয় মেশিনে। হাত দিয়ে ঘোরালে মেশিনের নীচে পাইপ দিয়ে চলে আসছে মধু। সেই মধু বালতি ভর্তি করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানিতে। প্রতি কেজি মধু ৩০০ টাকা করে বিক্রি হয়।। যা কোম্পানিতে যাওয়ার পর নানা ভাবে পরিশোধন করে প্যাকেজিং করা হয়।
দুই মাস ধরে সর্ষে ফুলের জমির পাশে তাঁরা এভাবে মধু সংগ্রহ করছেন। ২০০টি ফ্রেম থেকে আবহাওয়া ভালো থাকলে দিনে গড়ে ৬০ থেকে ১০০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। সর্ষের মরশুম শেষ হলে তাঁরা লিচু বাগান থেকে মধু সংগ্রহ করেন। গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা তপন, হিলি, গঙ্গারামপুর সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সর্ষে জমি থেকে মধু সংগ্রহ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন। এতে তাঁদের ভাগ্য ফিরছে বলে দাবি। পাশাপাশি এই মধু সংগ্রহের কারণে সর্ষের ফলন ভালো হচ্ছে।
হিলি ব্লকের তিওর কালীবাড়ি এলাকায় চলছে মধু সংগ্রহ। নিজস্ব চিত্র