Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। কিংবা আচমকা মাটি ফুঁড়ে উদয় হওয়া সন্ন্যাসীর হর হর মহাদেও ডাক। এরই নাম পূর্ণকুম্ভ! অর্জুন, রামদয়াল, ফুলকুমারীরা এখানে এসে মিলেমিশে এক হয়ে যান। কেউ মধুবনী থেকে এসেছিলেন। কেউ বালিয়া। আবার কেউ রানাঘাট। তাঁরা কি ধর্ম করতে আসেন? নাকি পুণ্যের খোঁজে? উদ্দেশ্য নানারকম থাকতে পারে... কিন্তু লক্ষ্য যে এক—শান্তি। থিকথিকে ভিড়, আকাশ ঢেকে দেওয়া ধুলো, হাড় কাঁপানো উত্তরের হাওয়া, আর সন্ধ্যা গড়াতেই নিয়ন আলোয় ভেসে যাওয়া কুম্ভমেলা চত্বর। সবাইকেই মনে হয় এক নৌকার সওয়ারী। এখানে কোনও জাত নেই, বর্ণ নেই, ধনী নেই, গরিবও নেই। আখড়ার পাশ দিয়ে কোনও সকপালকে যেতে দেখে এগিয়ে আসছেন চতুবের্দী। দুটো হাত জড়িয়ে ধরে বলছেন, ‘সামান্য প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। দয়া করে সামান্য মুখে দিয়ে যান।’ হরিয়ানার ব্রাহ্মণের হাতে জল ঢেলে দিচ্ছেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের চামার। দলিতের পাশে পাত পেড়ে বসেছেন রাজপুত। ৪৫ দিনের এই মঞ্চ যেন এক লহমায় গোটা ভারতকে এক সুরে বেঁধে ফেলে। যে সংবিধান সব ধর্ম ও জাতের সমান অধিকারের কথা বলে, তা মর্যাদা পায় এই ধুলো মাখা পথে এসে। জাতপাতহীন যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন বি আর আম্বেদকর, তা সফল হয় এই ৪৫ দিনে। কারণ, ব্যক্তিস্বার্থ বা অহঙ্কারের সঙ্গে যে সত্যিই পুণ্যের কোনও সম্পর্ক নেই! অহঙ্কার থাকলে পুণ্যলাভ হবে না। আর তা ধনী থেকে জ্ঞানী, সকলেই জানেন। তাই কুম্ভে এসে অন্তত জাতের গুমর কেউ দেখান না। যে জাতপাতের নামে ছোট্ট ভীমকে স্কুলে নিতেই অস্বীকার করা হয়েছিল, শর্ত চাপানো হয়েছিল যে, পড়তে হলে বসতে হবে মাটিতে... উঁচু জাতের অন্য ছাত্রদের পায়ের কাছে, সেই জাত-রাজনীতিই যে কুম্ভমেলার ধুপধুনো, বহুদিন না কাচা জামাকাপড়, খিচুড়ি, বেল-তুলসীর গন্ধের মিশেলে হারিয়ে যায়। যে দেশে ছোট্ট ভীমকে মা বলেছিলেন, ‘তোমার লক্ষ্য পড়াশোনা। কোনও দিকে তাকাবে না। কারও কথায় কান দেবে না। শুধু পড়বে। না পড়লে বড় হতে পারবে না। আর বড় হলে তুমিই পারবে আমাদের কষ্ট দূর করতে’... সেই দেশের সংবিধানেই লেখা হয়, জাত, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা যাবে না। কার লেখনি ভারতকে জাতপাতের পাঁক থেকে বের করে বাস্তবের জমিতে দাঁড় করিয়ে দেয়? সেই ভীম। বি আর আম্বেদকর। বের করে আনতে চেয়েছিলেন ভারতকে জাতপাতের রাজনীতি থেকে। আর আজ তিনি নিজেই রাজনীতির মাধ্যম। সৌজন্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 
বি আর আম্বেদকরকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতি আগেও হয়েছে। কিন্তু সংসদ ভবনে এভাবে তাঁকে বিরোধী আক্রমণের ঘুঁটি বানানো হয়নি। অমিত শাহ সেটাই করেছেন। সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে আলোচনা। তারই জবাবি ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বদলে ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সরকার আম্বেদকরের কটা মূর্তি বসিয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দলিত সমাজকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন শাহ। পরে এর জন্য সাফাইও দিয়েছেন। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। এখানে প্রশ্ন উঠেছে দু’টি। প্রথমত, আম্বেদকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসলে শাহ কি আদানি ইস্যু এবং এক দেশ এক নির্বাচন তরজাকে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিলেন? সেটাই কি উদ্দেশ্য ছিল? আলপটকা মন্তব্য করার লোক তো তিনি নন। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, আম্বেদকর নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই এমন দু’টি জ্বলন্ত ইস্যু পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, নরেন্দ্র মোদি কেন জবাবি ভাষণের জন্য অমিত শাহকে ‘নির্বাচিত’ করলেন? সংবিধান নিয়ে ভাষণ দেওয়ার এত ভালো মঞ্চ তো মোদিজি পেতেন না! তাহলে তিনি কি উত্তরসূরির জায়গা বানাচ্ছেন? এই উত্তরসূরিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কিংবা নিরঞ্জনী, জুনা, নির্বাণীর মতো শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত দশনমী আখড়ার পরিচালক-সন্ন্যাসীরা মানবেন তো? মনে হতেই পারে, একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ধর্মীয় সংগঠনগুলির মানামানিতে কী আসে যায়? আলবাৎ আসে যায়। কারণ, দলটার নাম বিজেপি। আর ধর্ম বাদ রেখে এই দলে কিছুই হয় না। ভোটও না, উন্নয়নও নয়। সেক্ষেত্রে ২০২৫ তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর! কারণ, এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। এ বছর নরেন্দ্র মোদি ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন। এবং এ বছরই বসছে প্রয়াগের পূর্ণকুম্ভের আসর। এই মেলাকে উপলক্ষ করেই তো ১২ বছর আগে বসেছিল ধর্মমহাসম্মেলন। ঠিক হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য মুখ হতে পারেন একজনই—নরেন্দ্র মোদি। আবার পূর্ণকুম্ভ। আবার এলাহাবাদ। এবং আরও একবার ধর্মমহাসম্মেলন। তাহলে কি ব্র্যান্ড মোদির ক্ষেত্রেও ৭৫ বছরের সিলিং কার্যকর হতে চলেছে? উঠে আসবে নতুন নাম? সঙ্ঘের ইঙ্গিতে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে চলেছে? সত্যিই কি অমিত শাহ? কোনওভাবে নামটা যোগী আদিত্যনাথ নয় তো?
২০১৩ সালে পূর্ণকুম্ভের সময় যোগী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতার শিখরে থাকাকালীন তাঁর উত্থান। গত কয়েক বছরে ধর্ম এবং প্রশাসন, দুই ক্ষেত্রেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন যোগী। আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি, বুলডোজার নীতি, জাত-ধর্মের ভোটকে নিপুণ হাতে সামাল দেওয়া... সবই করেছেন যোগী। উপরন্তু তাঁর অ্যাডভান্টেজ হল, তিনি গোরক্ষনাথ মঠের মোহন্ত। অর্থাৎ, যোগী যত না জিরাফে আছেন, তার থেকে অনেক বেশি যাতায়াত তাঁর ধর্মে। এই সমীকরণ তাঁকে সঙ্ঘ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কাছে অনেক বেশি এগিয়ে রেখেছে। অমিত শাহকে স্বয়ং মোদি প্রজেক্ট করতে পারেন। কিন্তু দিল্লির দরবার জানে, শাহ যতটা ভালো সংগঠন ও প্রশাসক, রাজনীতির মুখ হিসেবে ততটাই কম গ্রহণযোগ্য। নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই তাঁর যাবতীয় আগ্রাসন। তার উপর শাহের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমাও আছে। গোধরার পরও নরেন্দ্র মোদির আসন টলে না যাওয়ার কারণ, তিনি ছিলেন সঙ্ঘের ব্লু আইড বয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি তাঁকে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারপরও মোদিজি বহাল তবিয়তে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন। অমিত শাহের রেকর্ড সে কথা বলে না। নরেন্দ্র মোদি যেখানে আলো ছড়িয়েছেন, সেখানেই শুধু ছটা দেখা গিয়েছে শাহের। উল্টে শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশের সমর্থন ছাড়াই কিন্তু যোগী নিজের একটা জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন। কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, বুলডোজার নীতিও শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়েছে। তা সত্ত্বেও পায়ের তলার জমি হারাননি যোগী। মোদির বিকল্প হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এখন ছুটে চলেছেন তিনি। ভাগ্যে তাঁর শিকে ছিঁড়বে... যদি পূর্ণকুম্ভের ধর্মমহাসম্মেলনে যোগী আদিত্যনাথ নামটি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রস্তাবিত হয়। বিরোধিতা? সে তো ১২ বছর আগে লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজরাও করেছিলেন। তাতে কি নরেন্দ্র মোদি এতটুকুও টেনশনে পড়েছেন। না, পড়েননি। কারণ, তাঁর পাশে ছিল সঙ্ঘ। হিন্দুত্ব। যোগী জানেন, একবার কুম্ভের মঞ্চ থেকে তাঁর নাম পাশ হয়ে যাওয়া মানে আর পিছন ফিরে দেখতে হবে না। ভোটের কথা তিনি ভাবছেন না। ২০২৯ পর্যন্ত সেক্ষেত্রে আর সঙ্ঘ অপেক্ষা করবে, এমন সম্ভাবনা কম। আঞ্চলিক দলগুলি এখন পুরোদমে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনপ্রিয়তা কমছে মোদিজির। শুধু জনমানসে নয়, সঙ্ঘের অন্দরেও। তার উপর আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এবারও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা বজায় থাকে, বিজেপিকে জাতীয় রাজনীতিতেও লাট খেতে হবে। নতুন মুখ এনে তাই সঙ্ঘ একটা চান্স নিতেই পারে। সেটা যোগী বা শাহ হতে পারেন। কিংবা তৃতীয় কেউ। এখানেও অবশ্য একটা প্রশ্ন আছে... মানুষ সেই চান্স নিতে দেবে তো?
রামদয়ালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নাসিক কুম্ভে। গোদাবরীতে ডুব দিয়ে ওঠার পর একপাশে হেলায় ফেলে রাখা পুঁটলি থেকেই গামছাটা বের করে মুছে নিয়েছিলেন। একটা ১০০ টাকার নোট, আর কয়েকটা ১০ টাকা পড়ে গিয়েছিল তখনই। তুলে দিতেই একগাল হাসি। হাত জোড় করে বলেছিলেন, ‘এই কটা টাকাই সম্বল বাবু। হারিয়ে গেলে আর ট্রেনের ভরসায় না... ঠাকুরের ভরসায় ফিরতে হতো।’ কোথায় উঠেছেন? সেখানে রেখে আসেননি কেন? রামদয়াল বলেছিলেন, ‘কোথাও উঠিনি তো বাবু! এই পথ, এই তপোবন থাকতে কোথাও থাকতে যাব কেন? রামজি টেনে এনেছেন। এসেছি। তিনিই রেখেছেন। তিনিই কোথাও না কোথাও খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যে পথ দেখাবেন, সেই পথেই ফিরে যাব।’ রামদয়ালের বিশ্বাস ছিল, তাঁর ‘সম্পত্তি’ কেউ নেবে না। তাই হেলায় পথের ধারে ফেলে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। অর্জুনের বিশ্বাস ছিল, কুম্ভের জল নিয়ে গিয়ে চির-অসুস্থ মেয়েটার মুখে একটু দিতে পারলে সব রোগ পালিয়ে যাবে। একটা আধলা না থাকা সত্ত্বেও ফুলকুমারীর বিশ্বাস, কৃষ্ণ নিয়ে এসেছেন। তিনিই বাড়ি ফেরাবেন। শিক্ষা নয়, ধন নয়, ধর্ম নয়, জাত নয়... এই ভারত তো বিশ্বাসের উপরই দাঁড়িয়ে আছে। তাই আজ তারা এখনও ভোট দেয়। গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস, এই মানুষটা প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের দুঃখ ঘুচবে। ঠিক যেভাবে নরেন্দ্র মোদির উপর বিশ্বাস ছিল ভারতের। কতদিন থাকবে এই বিশ্বাস? মোদির উপর, যোগীর উপর, শাহের উপর... গণতন্ত্রের উপর! 
হৃদকম্পন কি একটুও বাড়ছে না নরেন্দ্র মোদির?
07th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
একনজরে
ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে শান দিতে একদিনের কর্মশালা আয়োজন করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মঙ্গলবার এই কর্মশালায় ৬০টি স্কুলের মোট ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। এই কর্মশালায় পড়ুয়াদের ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার এবং বাক্য গঠনের শুদ্ধতার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ...

মালদহে শ্যুটআউটের পর পুলিস উত্তর দিনাজপুরের সঙ্গে বিহার সংযুক্তকারী ছোটবড় রাস্তার পৃথক ম্যাপিং করেছে। যেখানে গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি  জোরদার করা হয়েছে নাকা চেকিং। ...

বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইট ক্লোন করেছিল হুগলির খানাকুলের প্রতারক। সেই ওয়েবসাইট থেকেই সে জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করত। মঙ্গলবার বর্ধমান থানার পুলিস খানাকুল থেকে ভাস্কর সামন্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ...

লিবারেল পার্টির দলনেতা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। শাসক দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে উঠে এসেছে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতর নামও। তিনি পরিবহণ মন্ত্রী অনিতা আনন্দ। তামিল পরিবারে জন্ম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃতী প্রাক্তনীর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন।  ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৭ টাকা ৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭০ টাকা ১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৩ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী ২০/৮ দিবা ২/২৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৫/১৮ দিবা ৪/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৮/৩২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪০ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ৩/৪০ মধ্যে। বারবেলা ৯/২ গতে ১০/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ১/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/২ গতে ৪/৪২ মধ্যে।
২৩ পৌষ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ২/২। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে ও ১০/১ গতে ১১/২৮ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ২/১ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৭  গতে ১০/৩২ মধ্যে। কালবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ১/৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৫ গতে ৪/৪৫ মধ্যে। 
৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

07-01-2025 - 10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

07-01-2025 - 10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07-01-2025 - 08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

07-01-2025 - 08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

07-01-2025 - 08:24:00 PM