Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন গরিবি হটাতে। আর নরেন্দ্র মোদির সরকারের পরিকল্পনা, গরিব হটাও। সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠছে গরিব নিধন-যজ্ঞের অভিপ্রায়। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া, আবাস যোজনার টাকা আটকে দেওয়া সেই যজ্ঞেরই অঙ্গ।  
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জেলাশাসকের একটি ঘোষণায় বেশ আলোড়ন পড়েছে। খবরে প্রকাশ, ইন্দোর শহরকে ভিখারিমুক্ত করা হবে। উদ্দেশ্য, শহর পরিষ্কার রাখা এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হতে না দেওয়া। তারজন্য নেওয়া হয়েছে এক অভিনব সিদ্ধান্ত। কী সেই সিদ্ধান্ত? গরিব, নিরন্ন মানুষের উদর পূর্তির জন্য যিনি সাহায্য করবেন বা ভিক্ষে দেবেন তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে পুলিসি ব্যবস্থা। ইন্দোরের জেলাশাসক আশিস সিং সাফ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির পর কাউকে প্রকাশ্যে ভিক্ষা দিতে দেখা গেলে তার নামে করা হবে এফআইআর। তারপর হবে শাস্তির ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে।
শহরকে ভিখারিমুক্ত করার ‘পাইলট প্রজেক্ট’ চালু হচ্ছে ইন্দোরে। তারপর বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শহরগুলিতে হইহই করে চালু হয়ে যাবে। এর অর্থ, দীনজনে দয়া করা এখন আর মানবতা নয়, বরং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের চোখে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, রোগ নিরাময়ের বদলে কসমেটিক সার্জারি করে দগদগে ঘা আড়ালের চেষ্টা এই প্রথম নয়। বলা ভালো, এটাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্ট্র্যাটেজি। এর আগেও হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ভারত সফরে এসেছিলেন তখন তাঁর যাত্রাপথের দু’পাশের বস্তি, আবর্জনা আড়ালের এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। 
ভারতবর্ষকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বপ্ন ইন্দিরা গান্ধীর পর যদি কেউ দেখিয়ে থাকেন, তাঁর নাম মনমোহন সিং। কখনও অর্থমন্ত্রী, কখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর্থিক মন্দার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন সদ্য প্রয়াত মনমোহনজি। তিনিই চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। খাদ্যসুরক্ষা বিলও তাঁরই আমলে। করোনার থাবায় যখন বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা তখন একপ্রকার উপযাচক হয়েই দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তিনটি দাওয়াই তিনি বাতলে ছিলেন। তার প্রথমটাই ছিল, জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে এবং খরচের ক্ষমতা বাড়াতে আম জনতার হাতে দিতে হবে যথেষ্ট অর্থ। কিন্তু মোদিজি হাঁটলেন সম্পূর্ণ উল্টোপথে। দেশে মনরেগার বরাদ্দ কমিয়ে দিলেন। আর পরাজয়ের জ্বালা মেটাতে বাংলায় ১০০ দিনের কাজই বন্ধ করে দিলেন।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সেদিন মনমোহন সিংয়ের কথা মোদিজি শুনলে ক্ষুধার সূচকের নিরিখে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, এমনকী বাংলাদেশের চেয়েও ভারতবর্ষকে পিছিয়ে যেতে হতো না। এহেন দেশে পাঁচ বছরে নষ্ট হয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন রেশনের খাদ্যসামগ্রী। বাজারমূল্য ১৮২৩ কোটি টাকা। ফল কারা ভোগ করছেন? রেশন গ্রাহকরা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের খাতায় যারা আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষ। সংখ্যাটা ৮০ কোটি। তাঁদের জন্য বরাদ্দ রেশন মাঝপথে নষ্ট হচ্ছে অথবা চুরি যাচ্ছে। ফলে যতটা খাদ্যসামগ্রী গরিব মানুষের পাওয়ার কথা, সেটা পাচ্ছে না।
এটা হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে। কিন্তু, তা বন্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অব্যবস্থা হলে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, সরকার বিষয়টি বন্ধের ব্যাপারে আদৌ আগ্রহী নয়। কিন্তু চাইলে বন্ধ করা যায়। তার প্রমাণ আমাদের বাংলা।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে গোটা দেশে রেশন সামগ্রীর ২৮ শতাংশই হয় চুরি অথবা নষ্ট হয়েছে। তার বাজারমূল্য ৭০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ৬৫ ভাগই হয়েছে বিজেপি শাসিত পাঁচ রাজ্যে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে চুরি ও নষ্টের পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। অথচ ২০১১-’১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৯ শতাংশ। রাজ্য সরকার অনেক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন স্তরে ফাঁকফোকর মেরামত করেছে। এমনকী, করোনার সময় রেশন বণ্টন নিয়ে অভিযোগ ওঠায় খোদ খাদ্যসবিচকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 
গরিব ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাজের দৃষ্টান্ত বিরল। কিন্তু এই সরকারের পদক্ষেপে আম জনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি রয়েছে। করোনার সময় বন্ধ করে দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বহু ট্রেন এখনও চালু হয়নি। সেই দাবি জানালে খেতে হচ্ছে কেস। কিছু লাইনে লোকাল ট্রেনকে ‘স্পেশাল ট্রেন’ বলে চালানো হচ্ছে। যাচ্ছে লোকালের মতো, কিন্তু গুনতে হচ্ছে এক্সপ্রেসের ভাড়া। ট্রেনের টিকিটে প্রবীণদের ছাড়ের যে সুবিধা যুগ যুগ ধরে চলে আসছিল, সেটাও মোদিজি বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক আগেই। স্বাস্থ্য ও বিমার মতো দু’টি জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার উপরেও চাপানো হয়েছে জিএসটির বোঝা। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খরচ।
সবচেয়ে বড় কথা, চাকরির আবেদন জানাতে গেলেও বেকারদের দিতে হচ্ছে জিএসটি। বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি। দশ লক্ষ চাকরি দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলেও চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্রের উপরেও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮ শতাংশ জিএসটি। তাতে খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে চাকরির আবেদন করার আগে দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাঁচবার ভাবতে হচ্ছে। বেকার যুবক-যুবতীদের পকেট কাটতেও কেন্দ্রীয় সরকারের হাত কাঁপছে না। এতে কী প্রমাণ হয়? সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়া নয়, তাদের বঞ্চিত করাই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য।
এসব দেখে এখন অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা আসলে গরিব মারার কল। যেকোনও অজুহাতে টাকা আটকে দিয়ে গরিব মানুষকে বিপন্ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। তা না হলে এতদিনে আদালতের পরামর্শ মেনে চাল থেকে কাঁকর বাছার কাজটা সেরে ফেলত। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এব্যাপারে বিজেপি সদর্থক পদক্ষেপ করত। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেক বিজেপি প্রার্থীই প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। ভোট চাইতে গিয়ে ক্ষোভের ও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন নেতৃত্বের দেখা দরকার।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ তো আছেই। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়াতেও মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বাংলায় এমপির সংখ্যা একধাক্কায় ৩৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু, তাতেও হেলদোল নেই। কারণ মোদি-অমিত শাহ জুটি বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই। তাঁদের হিসেবে বাংলা আপাতত ‘খরচের খাতায়’। তাই ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে, চাষির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের ফটোসেশন সেরে যেটুকু পাওয়া যায়, সেটাই বিজেপির লাভ। 
এ রাজ্যে প্রথম হওয়ার দৌড়ে নেই বিজেপি। আবার সিপিএমের যা হাল তাতে প্রধান বিরোধীর জায়গাটাও বিজেপির আপাতত পাকা। অতএব বিজেপির যেমন নতুন কিছু পাওয়ার আশা নেই, তেমনই নেই হারানোর ভয়। তাই অনেকে মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট ঘাড়ধাক্কা না দিলে গরিব নিধনযজ্ঞে বিজেপির ঘৃতাহুতি চলতেই থাকবে। 
মনমোহন সিংয়ের পর দেশের হাল ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু ফারাক বিস্তর। মনমোহন সিং বলতেন কম, কাজ করতেন বেশি। বিজেপির চোখে ছিলেন ‘মৌন প্রধানমন্ত্রী’। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ‘সবাক প্রধানমন্ত্রী’। কথা বেশি, কাজ কম। মনমোহনজি আগে অর্থনীতিবিদ, তারপর প্রধানমন্ত্রী। তাই গরিবের অন্নের সংস্থানই ছিল তাঁর লক্ষ্য। চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজ। আর মোদিজি আগে রাজনীতিবিদ, তারপর প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক স্বার্থই তাঁর কাছে শেষকথা। তাই অনায়াসেই বন্ধ করে দিতে পারেন ১০০দিনের কাজও। 
দু’জনই দেশের প্রধানমন্ত্রী। একজন গরিবের মুখে অন্ন জোগানোর দিশা দেখান, অন্যজন তা বন্ধের অজুহাত খোঁজেন। তাই মোদিজি তিনবার নয়, তিরিশবার প্রধানমন্ত্রী হলেও মনমোহনকে ছুঁতে পারবেন না কোনওদিনই।
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
১৭ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। আর ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অবস্থায় পুলিসের উপর প্রবল চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হল। ...

২০১০ সাল। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ সময়। ইউপিএ-২ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের গণহত্যা নিয়ে তখন গোটা বাংলা উত্তাল। ...

তাঁকে ঘিরে ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাস ঝলসে উঠবে, আশপাশের হাজারো মানুষ হাত মেলাতে চাইবে তাঁর সঙ্গে, দু’দিক থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি—এসব একেবারেই পছন্দ ছিল না ডঃ ...

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়েছিল মুম্বই। সেই হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী আবদুল রহমান মাক্কির মৃত্যু হয়েছে। এই মাক্কি ছিল লস্কর-ই-তোইবার সেকেন্ড ইন কমান্ড। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৬: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যাডিলেড প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫:মুম্বইয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়
১৯১০: ভারতে প্রথম বিমান উড্ডয়ন প্রদর্শিত হয়
১৯১১: স্বাধীনতা পেল মঙ্গোলিয়া
১৯১৭: চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম 
১৯৯৮: যাত্রাপালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯২১: কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধন
১৯৩৭: শিল্পপতি রতন টাটার জন্ম
১৯৫৪:  থিয়েটার অভিনেতা তথা পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্য অভিনেতা রবীন মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৪:  ত্রিশতম সেঞ্চুরিটি করে টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্কার, ব্রাডম্যানের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন
২০২০:মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৫৩/৫ রাত্রি ৩/৩৩। অনুরাধা নক্ষত্র ৩৯/৪৫ রাত্রি ১০/১৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। 
১২ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৫৫। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৫০ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/১৮ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২২ মধ্যে। 
২৫ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১ - হায়দরাবাদ ১ (৯০ মিনিট) 

06:49:00 PM

মেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হল মোষের দৌড় প্রতিযোগিতা

06:39:00 PM

বর্ষবরণে রাস্তায় কলকাতা পুলিসের বিশেষ নজরদারি, মহিলাদের সঙ্গে অভব্যতা হলেই কড়া ব্যবস্থা

06:29:30 PM

পাকিস্তানের কাবুলে এয়ারপোর্ট রোডে ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, জখম কমপক্ষে ৪ সাধারণ নাগরিক

06:25:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১ - হায়দরাবাদ ০ (৬৪ মিনিট) 

06:22:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে জামা মসজিদের কাছেই জোরকদমে চলছে পুলিস পোস্ট তৈরির কাজ

06:12:00 PM