Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। আর এই ভ্যানগুলি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পয়েন্টে অস্ত্র বোঝাই ট্রাককে এসকর্ট করার জন্য।
কিন্তু সেদিনের ব্যাপারটি আলাদা। স্থানীয়দের জানার কথাও নয়। সেদিন তারা অস্ত্রের চালান পার করতে যায়নি। ইরাক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নেতাকে পাঠানো হয়েছে সিরিয়াতে। তারা এসেছে সেই নেতাকে রিসিভ করে সিরিয়ার কোনও ক্যাম্পে নিয়ে যেতে। ঘণ্টাখানেক পর একটি গাড়ির কনভয় এসে দাঁড়ায় সেখানে। গাড়ি থেকে যিনি নামলেন, নাম আবু মহম্মদ আল জোলানি। পরিচয়? আসল নাম আহমেদ হুসেইন আল-শারা। ২০০৬ সালে জোলানি মার্কিন সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ বছর কুখ্যাত বাকু কারাগারে বন্দি ছিলেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় জোলানি ছাড়া পান। কেন তাঁকে সেই সময় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, আজও তা অজানা। জোলানি ছিলেন মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত ইরাকের আল-কায়েদা প্রধান জারকাবির বিশ্বস্ত সহচর। জোলানি মসুল থেকে সিরিয়াতে গিয়েছেন বাগদাদির নির্দেশে। সিরিয়ায় ‘জিহাদ’-এর ভিত্তি মজবুত করতে হবে তাঁকেই। সেটা ২০১১ সালের আগস্ট মাসের কথা। আবু বকর আল-বাগদাদি তখন ইরাকের আল-কায়েদা প্রধান।
সেই সময় সিরিয়াতে আসাদ-বিরোধী যুদ্ধ চরমে। আর যুদ্ধের প্রয়োজনে সেখানে গড়ে উঠেছে অস্ত্রের বিশাল বাজার। মূলত অস্ত্র পাচারের রুটগুলি সুরক্ষিত করতে জোলানিকে সিরিয়া পাঠিয়েছিলেন বাগদাদি। আর তার জন্য যা প্রয়োজন, সমস্ত রকম সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় জঙ্গি প্রধানদের। পৌঁছানোর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় সিরিয়াতে জোলানির নেতৃত্বে ‘জাবহাত-আল-নুসরা’ নামে একটি নতুন জঙ্গিদলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর তারপরই ২০১২-র মে মাসে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জোলানিকে চিহ্নিত করে ‘ভয়ঙ্কর’ ব্যক্তি হিসেবে। জাবহাত আল-নুসরা বা পরবর্তীতে ‘আল-নুসরা ফ্রন্ট’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া সশস্ত্র এই জঙ্গি সংগঠনটি আসাদ বিরোধী সামরিক জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী শরিক। নুসরা-ফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই বাগদাদির সঙ্গে জোলানির বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ শুরু হয়। ‘ট্র্যাডিশনাল’ আল-কায়েদার ধ্যান ধারণার বাইরে এসে বাগদাদি যে মাঝে মাঝেই ইউ টার্ন নিচ্ছিলেন, তা পোড়খাওয়া এই জঙ্গিনেতার দৃষ্টি এড়ায়নি। ঠিক সেই মাসের শেষ দিকে বাগদাদি ঘোষণা করেন, ইরাকে আল-কায়েদা বিলুপ্ত করে নতুন একটি সামরিক জোট গঠন হয়েছে। এবং এখন থেকে ইরাকের ‘জিহাদ’ পরিচালিত হবে সুন্নি জঙ্গিদের নতুন জোট ইসলামিক স্টেটের-এর ব্যানারে। জোর ধাক্কা লাগে আল-কায়েদার সংগঠনে।
২০১৩ সালের মে মাসে এক বিবৃতিতে আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরি বাগদাদিকে সিরিয়ায় নিজেদের সংগঠন ভেঙে দিয়ে ইরাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, জাবহাত আল-নুসরা বা নুসরা ফ্রন্টই সিরিয়ায় আল-কায়েদার স্বীকৃত একমাত্র অঙ্গসংগঠন। কিন্তু বাগদাদির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই রাক্কার মতো সিরিয়ার পূর্বের বিস্তৃত অংশের দখল চলে আসে আইএসের হাতে। এমনকী আসাদ বিরোধী অন্য উগ্রগোষ্ঠীগুলির থেকেও এলাকা দখল করে নেয় আইএস। আর এখানেই ‘মাদার’ সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে আইএস-এর তীব্র বিরোধের সূচনা। কারণ, লক্ষ্যের অমিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় বাগদাদির। শুরু হয় সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যেও সাম্রাজ্য-দখলের তীব্র লড়াই! ভাঙনের মুখে পড়ে জোলানির ‘আল-নুসরা ফ্রন্ট’।
সিরিয়াতে আল-নুসরার মূল শত্রু বাশার আল-আসাদের সরকার। সেই হিসেবে আমেরিকা-সৌদির মিত্র ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ বলে পরিচিত সামরিক জোট তাদের মিত্র। সরাসরি তাদের জোটে না থাকলেও যুদ্ধের মাঠে তাদের বোঝাপড়া বেশ ভালোই। সেই কারণে আল-নুসরাকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার পর রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (যারা আসাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এসেছিল)। অন্যদিকে আইএস। এরা সবাই আসাদ সরকারের উৎখাত চাইলেও জমি দখলের প্রশ্নে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিরুদ্ধেও আইএস যুদ্ধ করে চলে সমান তালে। আর আল-নুসরার সঙ্গে জন্মের সময় থেকে বৈরিতা তো আছেই।
একটা পর্যায়ে আল জাজিরাকে দেওয়া টিভি সাক্ষাৎকারে জোলানি কবুল করেন, আমেরিকা বা পশ্চিমী বিশ্বে হামলা করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। এবং তাঁদের দুই শত্রু। বাশার আল-আসাদ এবং আইএস। কিন্তু জাওয়াহিরির আনুগত্য ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন জোলানি। এই কারণে তাঁদের পক্ষে প্রকাশ্যে আমেরিকার গুড বুকে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই একসময় আমেরিকা সহ বিদেশি শক্তিগুলির কাছ থেকে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার আশায় নুসরা ফ্রন্টও (জাবহাত আল-নুসরা) ২০১৬-র ২৯ জুলাই আল-কায়েদা থেকে পৃথক হওয়ার ঘোষণা করে। নুসরা ফ্রন্টের নেতা আবু মহম্মদ আল-জোলানি জানিয়ে দেন, নতুন দলের নাম হবে জাবহাত ফাতেহ আল-শাম (যার অর্থ, সিরিয়া জয় করার জন্য ফ্রন্ট)। এটাই ছিল জোলানির ইউ টার্ন! পশ্চিমী দুনিয়াও আড়ালে জোলানিকে কাছে টানতে সময় নষ্ট করেনি। সেই সময় মাঝে মাঝেই খবরে প্রকাশ হতো, আমেরিকা ‘আসাদ বিরোধী’ গ্রুপগুলিকে আকাশ থেকে টাকা আর অস্ত্র সাহায্য করছে। আসলে কয়েক হাত ঘুরে হলেও সেইসব টাকা আর অস্ত্র যেত এই জোলানির হাতেই। রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিককর্তা জেনারেল স্টাফ সের্গেই রুদস্কি তো সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, আল-নুসরা ফ্রন্ট চলছে তুরস্কের রসদেই। আর তাই সিরিয়ার মাটিতে আইএস ও বাগদাদি খতম হলেও টিকে গিয়েছিলেন জোলানি। তাঁর হাতে গড়া নুসরা ফ্রন্টই নাম বদলে হয়েছিল জাবহাত ফাতেহ আল-শাম। আরও পরে হায়াত তাহরির আল-শাম। যাদের এখন একটাই পরিচয়, সিরিয়ার বিদ্রোহী। অনেকে আবার ‘বিপ্লবী’-ও বলে ফেলেছেন। মুখে যাই বলুক, অতীত চরিত্র তাঁদের একটাই— কট্টর মৌলবাদী!
মাত্র ১২ দিনে বাশার আল–আসাদ জমানার পতনের পর আবু জোলানি এখন গোটা দুনিয়ার কাছে হিরো। গত ২৭ নভেম্বর নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পর জোলানির ‘বিদ্রোহী বাহিনী’ এগিয়েছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। অভিযান শুরু করার মাত্র চার দিনের মাথায় তারা দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী আলেপ্পো দখল করে। বিনা প্রতিরোধে। সেখান থেকে তারা এগতে থাকে আরেক বড় শহর হামার দিকে। হামা দখলের পথে বিভিন্ন সড়কে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই হয়েছিল বটে, কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। হামা দখলের পর বিদ্রোহীদের পিকআপ ভ্যান ও মোটরবাইক এগিয়ে গিয়েছে হোমসের পথে। হোমস থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের দূরত্ব মাত্র ১৬০ কিলোমিটার। ৬ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা প্রায় বিনা বাধায় হোমসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মনোবলের অভাব, দলত্যাগ ও দুর্নীতির কারণে ততদিনে আসাদ বাহিনীর ভিতরটা ‘ফাঁপা’ হয়ে গিয়েছে। তা টের পাওয়া যায়, সেনাবাহিনী যখন সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও রণাঙ্গন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে আসাদের পতন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আসাদ ইরান ও রাশিয়ার সমর্থন পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে বিদ্রোহীদের পিছু হটিয়ে দখল হওয়া বিভিন্ন এলাকা উদ্ধারও করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ১২ দিনে পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার থেকে নিয়মিত সিরিয়ায় বাশার–সমর্থিত সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। আকাশপথে ইজরায়েলের হামলা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের স্থলপথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পরিষ্কার করে দেয়। আমেরিকার মধ্যস্থতায় হিজবুল্লার সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই হুট করে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার বিভিন্ন শহর দখলে নিতে শুরু করে। আলেপ্পোর দখল দিয়ে কোণঠাসা হওয়া বিদ্রোহীদের পুনর্যাত্রা শুরু হয়। এরপর হামা, হোম, দামাস্কাস দখল করে নেয় কার্যত কোনও বাধা ছাড়াই। আসাদ পালিয়ে যাওয়ায় সিরিয়ায় শুধু বাথ পার্টির শাসনেরই অবসান ঘটেনি, একই সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে ইরান ও রাশিয়ারও পরাজয় ঘটেছে। সিরিয়ায় ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব কমলে ইজরায়েলের জন্য স্বস্তি। কার্যত ইজরায়েলের হামলার কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়া আসাদের বাহিনী বিদ্রোহীদের হামলার মুখে আর টিকে থাকতে পারেনি। 
জোলানি এখন বলা শুরু করেছেন, তাঁরা নিজেদের বদলে ফেলেছেন এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চান। তাঁদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। জোলানি নাকি তাঁর অতীতের চরমপন্থা থেকে সরে আসতে চান। তিনি এখন গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কারলা নরলফের মতো অনেক বিশেষজ্ঞই বলা শুরু করেছেন, আমেরিকার পুরনো কৌশল ধরে রাখা ভুল হবে। এত দিন আমেরিকা ইরানের প্রভাব কমানো এবং রাশিয়ার অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। জোলানি ইতিমধ্যে তাদের লক্ষ্য আংশিকভাবে পূরণ করেছে। এবং আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রিটেন ইতিমধ্যেই জোলানির দল এইচটিএসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এভাবে আমেরিকাও এইচটিএসকে উৎসাহিত করতে পারে। এমন পদক্ষেপে রাশিয়া বা ইরান প্রভাব ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবে না।
এর অর্থ একটাই, পশ্চিমী দুনিয়ার চোখে একদা আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন মধ্যপ্রাচ্যের বীর যোদ্ধা। সিরিয়ার নতুন শাসক। যতদিন আমেরিকা-ইজরায়েলের পছন্দের থাকবেন, ততদিন...।
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
একনজরে
ভারতে গুগল ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হলেন প্রীতি লোবানা। এর আগে এই পদে ছিলেন সঞ্জয় গুপ্তা। বর্তমানে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের ...

জমির ধারে ডোবায় মর্টার শেল কুড়িয়ে পান দিনহাটার কৃষক হিতেন মোদক। মর্টারটির গায়ে ‘পাকিস্তান’ লেখা রয়েছে। খবর পেতেই বিএসএফের কর্তারা এসে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে ...

রোহিত শর্মা আর কতদিন ক্রমাগত ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন? রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবসরের পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে শুরু হয়েছে চর্চা। স্বয়ং ভারত অধিনায়কের মাথায় যদিও অবসরের ভাবনা ...

‘গুড মর্নিং, ‘গুড নাইট’ বার্তা এবং নিজের দিনভর কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট হয়েই চলেছে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দলের তরফে নির্দেশ ওই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৭৫: নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয় দিল্লিতে
১৮৬০: ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির মৃত্যু
১৮৭৩: বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম
১৮৭৫: মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী
১৯১৮: বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের মৃত্যু
১৯১৯: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওমপ্রকাশের জন্ম
১৯৩৪: ভারতের ১২তম  ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের জন্ম
১৯৪০: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গোবিন্দ নিহলানির জন্ম
১৯৫৭: মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
১৯৬৯: ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়ার জন্ম
১৯৭০: অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের জন্ম
১৯৮২: টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩: ফিফার বিশ্বকাপ জুলে রিমে ট্রফি চুরি হল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.০৯ টাকা ৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৫ টাকা ১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৬ টাকা ৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৯/৩১, দিবা ১০/৩। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪৯/২৩ রাত্রি ২/০। সূর্যোদয় ৬/১৫/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৫২/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/১৫ মধ্যে।
৩ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১২/১১। অশ্লেষা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/১৮ মধ্যে। কালবেলা ২/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/১৫ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির মন্দির মার্গে ভগবান বাল্মিকী মন্দির দর্শন করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

03:22:57 PM

ভিয়েতনামের রাজধানী হানোই-এর একটি ক্যাফেতে পেট্রল বোমা দিয়ে হামলার অভিযোগ, মৃত কমপক্ষে ১১

03:14:00 PM

মুম্বই ফেরি দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের

02:56:00 PM

ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকা আজও থমথমে
বুধবার ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকায় পুলিসকে মারধর ও পুলিসের গাড়ি ভাঙচুরের ...বিশদ

02:49:13 PM

২৭ ডিসেম্বর বনধের ডাক!
হাসিমারায় বিমানবন্দর ও আলিপুরদুয়ার রেল জংশনে এইমসের ধাঁচে রেল হাসপাতাল ...বিশদ

02:44:13 PM

পাসপোর্ট কাণ্ডে তদন্ত ভার যাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগের হাতে, আজই সমস্ত নথিপত্র নিচ্ছে তাঁরা

02:43:00 PM