অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
এর চেয়ে দুঃখের দিন আর হয় না।
অনুপ জালোটা (সঙ্গীতশিল্পী)
জাকির হুসেন একজন আন্তর্জাতিক শিল্পী ছিলেন। তিনি সব ব্যান্ডের মিউজিশিয়ানদের কাছে হিরো ছিলেন। একেবারে মাটির মানুষ ছিলেন জাকির। আমার থেকে দু’বছরের বড় ছিলেন জাকির। যখনই দেখা হতো পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। সঙ্গে সঙ্গে উনিও আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন। এমনই ছিলেন জাকির। এমন শিল্পী আর হবে না।
দেবজ্যোতি বোস (সরোদশিল্পী)
ভারত তথা পৃথিবীর সঙ্গীত জগতের ক্ষতি, সে কথা তো সকলেই বলবে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমার ক্ষেত্রে দুই পরিবারের প্রজন্মের সম্পর্ক। উস্তাদ জাকির হুসেনের বাবা আল্লারাখা খাঁ সাহেব ছিলেন আমার বাবার খুব অন্তরঙ্গ বন্ধু। সে কারণে ছোটবেলা থেকে আমাদের মধ্যে সব কিছুরই আদান-প্রদান হতো। আমি জাকির ভাইয়ের সঙ্গে ১৯৯২ থেকে পরপর তিনবার একক বাজিয়েছি। শুধুমাত্র পারিবারিক কারণে, আমার দাদার কারণে তিনি বাজিয়েছেন। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। এই বয়সেও তিনি যৌবনকালের বাজনাটাই বাজাচ্ছিলেন। এতটাই সচল ছিলেন। এই গুণী মানুষটাকে আর কখনও শুনতে পারব না, এই আপশোসটা রয়েই যাবে। এই ক্ষতি অপূরণীয়।
আদিত্য কল্যাণপুর (তবলাবাদক)
চার দশকের বেশি সময় ধরে জাকিরজির সঙ্গে আমার সম্পর্ক। উনি আমার পিতৃতুল্য। সেই কৈশরে ‘ওয়াহ তাজ’ বিজ্ঞাপন থেকে আমি নিরন্তর ওঁর থেকে শুধু শিখেই গিয়েছি। বিজ্ঞাপনের রেকর্ডিংয়ের জন্য প্রথম স্টুডিওতে পা রাখা, প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, আগ্রাতে প্রথম যাওয়া, প্রথম বিমানে চড়া— এসব কিছু ওঁর আশীর্বাদে সম্ভব হয়েছে। আমার কাছে উনি অমর।