অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
ফিরহাদ জানিয়েছেন, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। নিমতলা ঘাট থেকে হাওড়া ব্রিজের দিকে গঙ্গাপাড়ের ভাঙন ঠেকানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এদিন। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কী কারণে ভাঙন হচ্ছে, কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা নিয়ে খড়্গপুর আইআইটিকে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর গঙ্গাপাড় সংস্কারের কাজে হাত দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, নিমতলা থেকে হাওড়া ব্রিজের দিকে প্রায় ১.১ কিমি পাড়ের অংশ সংস্কার হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে নিমতলা, আহিরিটোলা, জগন্নাথ ঘাট, বাজেকদমতলা ঘাট সহ মোট সাতটি ঘাটের সংস্কার করবে বন্দর। শহরে গঙ্গার বাকি ঘাটগুলি সংস্কার করবে পুরসভা। এদিনের বৈঠকে মিলেনিয়াম পার্কের এক নম্বর ও দুই নম্বর এলাকার লিজ রিনিউ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পুরসভার দাবি, মিলেনিয়াম পার্কের তিন নম্বর জায়গাটিও বন্দর পর্যটকদের জন্য খুলে দেবে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া, আর্মেনিয়ান ঘাট সহ গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বন্দরের যেসব ওয়্যারহাউস (গুদাম) রয়েছে, সেগুলির সংস্কার সহ গোটা অঞ্চল সৌন্দর্যায়নের কাজ করবে বন্দর। বন্দর এলাকার জঞ্জাল সাফাই এবং বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা তারা নিজেরাই গড়ে তুলবে বলেও জানিয়ে গিয়েছেন পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকরা। শুধুমাত্র নির্মাণ বর্জ্য এবং যেসব বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, সেগুলিই পুরসভাকে বেচে দেওয়া হবে। বৈঠক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বন্দরের বিভিন্ন সম্পত্তির পুরকর নিয়েও বেশ কিছু জটিলতা এদিন কেটে গিয়েছে। বিভাগীয় কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভাকে প্রদেয় বার্ষিক সম্পত্তি করের পরিমাণ প্রায় আট গুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। -নিজস্ব চিত্র