অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগর ও কামারহাটি পুরসভার মাঝ বরাবর গিয়েছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। দক্ষিণেশ্বর থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়ার লেনে আলোর দায়িত্বে রয়েছে কামারহাটি পুরসভা। সেই লেনে আলোর কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে আসার পথে কামারহাটি পুরসভা এলাকায় ঢুকলেই অন্ধকার ঘিরে ধরছে। প্রমোদনগর ডাম্পিং গ্রাউন্ড পার হওয়ার পর একের পর এক পথবাতি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। নিরঞ্জন সেন নগরের কাছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সার্ভিস রোড নেমে গিয়েছে। বরানগর ও কামারহাটি পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন বহু ছোট গাড়ি ও বাইক এই সার্ভিস রোড ধরে ডানলপ বাজার ও আন্ডারপাস হয়ে যাতায়াত করে। সার্ভিস রোড ধরে কিছুটা এগলে ডান দিকে পড়বে আন্ডারপাস। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রো লাইনের নীচের এই দীর্ঘ আন্ডারপাস দিয়ে বরানগর ১ নম্বর ওয়ার্ড ও কামারহাটি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে যাতায়াত চলে। সন্ধ্যা নামলেই গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দক্ষিণেশ্বরের দিকে এগলে ডানলপ বাসস্ট্যান্ডের উপর চার থেকে পাঁচটি আলো জ্বলছে। তারপর দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত বাকি রাস্তা অন্ধকার। এসব কারণে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগে আছে। রাতভর চলছে জুয়া, সাট্টার আসর। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন এলাকার নেশাড়ু ও সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে এলাকা। পুলিসের নজরদারি নেই বলেই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রে খবর, বরানগর এলাকার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের উপর মোট ৭২টি বাতিস্তম্ভ রয়েছে। চার-পাঁচটি ছাড়া বাকিগুলি বন্ধ।
স্থানীয় গৃহবধূ মলিনা মিত্র, করবী বিশ্বাস বলেন, ‘স্কুল-কলেজ, কখনও আবার টিউশন সেরে ফিরতে ছেলেমেয়েদের রাত হয়। আমাদেরও অনেক সময় রাত হয় ফিরতে। যা অবস্থা, তাতে সন্ধ্যার পর ভগবানের ভরসায় যাতায়াত করি আমরা। সর্বত্র নেশাখোররা ঘুরে বেড়ায়। পুলিসকে দেখা যায় না কোথাও।’
এ বিষয়ে বরানগর পুরসভার সিআইসি (ইলেকট্রিক) জয়ন্ত রায় বলেন, ‘জাতীয় সড়কের কাজের জন্য বিদ্যুতের কেবলে সমস্যা হয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’