অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও কাটোয়া শহরের ভাগীরথীর কাশীগঞ্জঘাটে একটি পূর্ণবয়স্ক গাঙ্গেয় ডলফিনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। সেটির মুখে মাছ ধরার জালের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের মৃত ডলফিন শাবকটি স্ত্রী ছিল। তার শরীরে আঘাতের নানা চিহ্ন মিলেছে। বনদপ্তরের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জালে আটকে যাওয়ার পর তাকে খোঁচানো হয়েছে। যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেটির মৃত্যু ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার এডিএফও সৌগত মুখোপাধ্যায় বলেন, গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে কর্মীর প্রয়োজন। তার জন্য আমরা জেলাশাসকের কাছে জানিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ভাগীরথীতে পেট্রলিং করতে একটি বোট রয়েছে। আরও একটি প্রয়োজন। তাছাড়া আমরা অজয় ও ভাগীরথীর সংযোগস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে প্রচুর ডলফিন, ঘড়িয়াল রয়েছে।
কাটোয়ার ভাগীরথীতে কল্যাণপুর থেকে পাটুলি পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিমি এলাকাজুড়ে ডলফিনের বিচরণক্ষেত্র। কয়েক বছর আগে ঘটা করে কাটোয়ার শাঁখাই ঘাটে গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল রাজ্যে বনদপ্তর। ডলফিন নিয়ে গবেষণাও চালাচ্ছে বনদপ্তর।
তবুও ডলফিনের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। এই এলাকায় ৩২ থেকে ৩৫টির বেশি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে। ডলফিনের মৃত্যু রুখতে ও জলজ জীববৈচিত্র্য নিয়ে রাজ্য বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ওয়ার্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড(ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ- ভারত শাখা) সুন্দরবন প্রোগ্রামের গবেষকরা। তাঁরা জানান, পিঙ্গার যন্ত্রের আল্ট্রাসাউন্ড গাঙ্গেয় ডলফিন পছন্দ করে না। তাই গবেষকদের দাবি, ওই যন্ত্র মৎস্যজীবীদের জালে লাগিয়ে দিতে হবে। তাতে দু’পাশের ১০০ মিটার দূর থেকে ডলফিন জালের অবস্থান বুঝতে পারবে। তাই ডলফিন ওই জালের ধারের কাছে আসবে না। পরিবেশ কর্মীদের একাংশ জানান, কাটোয়ায় ডলফিনের যেন মৃত্যু মিছিল চলছে। জলজ প্রাণীদের বাঁচাতে নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। গঙ্গাকে ডলফিনের বাসযোগ্য করে তুলতে হবে।-নিজস্ব চিত্র