অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ বলেন, ক্যাম্পাসের অন্দরে ওই বড় জলাশয়টি শুধু যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল তা নয়, ক্রমশ দূষিত হতে থাকা এই জলাশয় হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গের আতুঁড়ঘরও। বিষয়টি বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষিকাদেরও জানিয়েছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিঘা তিনেক এই জলাশয়টি নিয়ে এরপরই বিভিন্ন স্তরে পরিবেশবিদদের পরামর্শ নিতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সামনে দু’টি রাস্তা খোলা ছিল। হয় জলাশয়টিকে বুজিয়ে ফেলা, নাহলে চরিত্র পুনরুদ্ধার করা। বিষয়টি অবশেষে তোলা হয় ইসি বৈঠকে। সেখানেই জলাশয়ের চরিত্র পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ ও সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে এই জলাশয় পুনরুদ্ধারের বরাত দেওয়া হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নিবন্ধক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ইসি’র অনুমোদনে ওই জলাভূমি পুনরুদ্ধারের কাজ জোরকদমে চলছে। জলাশয়টিকে আগের অবস্থায় ফেরানোর পর সাঁকো নির্মাণ, আলোকসজ্জা সহ সৌন্দর্যায়নের বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। পড়ুয়ারা যাতে নতুন করে প্রাণ পাওয়া এই জলাশয়কে ঘিরে খোলামেলা পরিবেশে তাঁদের সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারেন সেটাও কর্তৃপক্ষের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। ধাপে ধাপে এই প্রকল্পের প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশপ্রেমী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদহ জেলা শাখার সম্পাদক সুনীল দাস বলেন, চারপাশে যখন জলাজমি ভরাট করে কংক্রিটের জঙ্গল তৈরির ভয়াবহ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে ইতিবাচক এই পদক্ষেপ আশার আলো দেখাচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়ের কথায়, বিশ্ববিদ্যালয় এই জলাশয়ের চরিত্র পুনরুদ্ধারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ। জলাশয় ঘিরে ফিশারিজ সায়েন্সের মতো কোর্স চালুর কথাও বিবেচনা করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
(গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কারের কাজ চলছে।-নিজস্ব চিত্র)