অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালুর কোনও দিনক্ষণ জানাতে পারলেন না রেলমন্ত্রী। পুরো বিষয়টিই ট্রায়াল রান নির্ভর। বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানালেন রেলমন্ত্রী। তাঁর জবাব থেকে স্পষ্ট, আগে বন্দে ভারত স্লিপারের প্রোটোটাইপ ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। পরীক্ষামূলক সেই যাত্রার সাফল্যের উপর নির্ভর করবে ট্রেন চালানোর বিষয়টি। প্রশ্ন উঠছে, সবটাই যদি ট্রায়াল রানের উপরে নির্ভর করে তাহলে কেন শ’য়ে শ’য়ে বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে? ইতিমধ্যে ২০০টি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের ‘রেক’ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত অংশীদার সংস্থাকে।
এদিন লোকসভায় বন্দে ভারত ট্রেনের উৎপাদন নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেন বিজেপি সাংসদ অলোক শর্মা। তাঁর লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে ১০টি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন তৈরি হচ্ছে। প্রথম প্রোটোটাইপ ট্রেনটিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটির ফিল্ড ট্রায়াল হবে। তবে কোন সময়সীমার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তা নির্ভর করবে সফল ট্রায়াল রানের উপর।
এদিকে, নবদ্বীপঘাট-নবদ্বীপধাম নিউ লাইন। চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নিউ লাইন। নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইন। বালুরঘাট-হিলি নিউ লাইন। সাঁইথিয়ায় পাঁচ কিলোমিটার এবং সীতারামপুরে সাত কিলোমিটার বাইপাস। রাজ্যের এইসব রেলপ্রকল্প আটকে রয়েছে জমিজটে। বুধবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে বাংলায় বিভিন্ন রেল প্রকল্পের জন্য মোট ৩ হাজার ৪০ হেক্টর জমি প্রয়োজন। কিন্তু মাত্র ৬৪০ হেক্টর জমি অধিগৃহীত হয়েছে। এখনও বাকি আছে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ এবং এই সংক্রান্ত নানা আনুষঙ্গিক কাজের দায়ভার থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপর। তারা যত তাড়াতাড়ি এইসব কাজ মেটাবে, তত দ্রুত প্রকল্প রূপায়িত হবে।