অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের জায়গার সমস্ত কাগজপত্র দিয়ে বৈধ বালির কারবারিরা সরকারের কাছে আবেদনের ভিত্তিতে বালি মজুত করতে পারেন। তারজন্য বাড়তি রাজস্বও দিতে হয়। মূলত বর্ষায় বালির জোগান যাতে একেবারে বন্ধ না হয় তারজন্যই অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে নম্বরবিহীন যানবাহনে চাপিয়ে রাস্তার ধারে মজুত করা হচ্ছে। পরে সেখান থেকে দিনের আলোয় ট্রাক্টরে চাপিয়ে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রামপুরহাট থেকে মল্লারপুরের দিকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোলেই দেখা মিলবে এমনই চিত্র। শুধু জাতীয় সড়ক নয়, রামপুরহাট থেকে বৈধরা, নলহাটি থেকে মুরারই, চাতরা থেকে পাইকর যাওয়ার রাজ্য সড়কের দু’ধারের অসংখ্য জায়গায় স্তুপাকারে বালি মজুত করে রাখা হয়েছে।
মল্লারপুরের বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম বলেন, মজুত বালি রাস্তার উপর চলে আসছে। দিন কয়েক আগেই লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইকের চাকা পিছলে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। তাঁর দাবি, বারবার মাইকিং করেও কোনও লাভ হয়নি।
অনেকেই অভিযোগ করেন, শুধু অবৈধ কারবারিরা নয়, অনেকেই বাড়ির নির্মাণের ইমারতি দ্রব্য রাস্তার ধারে মজুত করছেন। ব্যস্ততম জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ওপর ইমারত সামগ্রী রাখলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
রামপুরহাটের বাসিন্দা অরুণাভ দাস বলেন, ব্যস্ততম রাস্তাগুলির উপর ইমারতি সামগ্রী ফেলে রাখায় যেন মরণফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিত্যদিন এই রাস্তা দিয়ে পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা যাওয়া-আসা করেন। তাঁরা দেখলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ভূমিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে বৈধ ঘাট থেকে বালি তুলে মজুত করা যেতে পারে। তবে রাস্তার অন্তত ২০০ মিটার দূরে বালি মজুত করতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে নেওয়া হচ্ছে না প্রশাসনিক পদক্ষেপ। ফলস্বরুপ, প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
যদিও এব্যাপারে রামপুরহাট মহকুমাশাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, রাজ্য হোক বা জাতীয় সড়ক, রাস্তার ধারে বালি বা ইমারতি সামগ্রী মজুত করা বেআইনি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র