অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
সাংবাদিকের দুনিয়া
‘ডেসপ্যাচ’ ছবিতে অভিনয় করার নেপথ্যে নানা কারণ আছে বলে জানালেন মনোজ। ‘আমি এর আগে সাংবাদিকের চরিত্রে কখনও অভিনয় করিনি। সেটা আমার কাছে নতুন’, বললেন অভিনেতা। মনোজের কথায়, ‘আমার বেশ কিছু সাংবাদিক বন্ধু আছে। ৮০-র দশক থেকে সাংবাদিকদের দুনিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয়। আমি সাংবাদিকদের কাজের ধরন সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। তবে এই ছবিকে ঘিরে আমার নিজস্ব কিছু গবেষণা ছিল।’ তাঁর দাবি, ‘ডেসপ্যাচ’-এর পরিচালক কানু বেহল পরিচালক হিসেবে দুর্দান্ত। কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি দুর্দান্ত চিত্রনাট্য মনোজকে আকৃষ্ট করেছিল।
চরিত্রের প্রস্তুতি
সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? মনোজের জবাব, ‘যেকোনও চরিত্র ঘিরে আমি নিজের মতো করে পড়াশোনা করি। আর আমার অভিনীত চরিত্রটা মানুষ হিসেবে কেমন, তা বোঝা আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
সীমানা পার
‘ডেসপ্যাচ’ ছবিতে মনোজের চরিত্র ‘জয়’ খবরের জন্য যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে মনোজ কি তেমনই? হেসে অভিনেতা বললেন, ‘এই ছবিতে আমি বহু সীমানা পার করে ফেলেছি। বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেছি। কিছু কঠিন দৃশ্যও ছিল। আসলে চরিত্রকে খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে আমি যেকোনও পর্যায়ে যেতে পারি।’
অন্তরঙ্গ দৃশ্য
সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় মনোজের জন্য আজও কঠিন। তিনি স্পষ্ট বললেন, ‘আমি শুনেছি মেইনস্ট্রিম ছবির কিছু পরিচালক ‘ইন্টিমেসি ডিরেক্টর’কে সেটে রাখেন। কিন্তু আমাদের ছবিতে তেমন কেউ ছিলেন না। কানুই অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শ্যুটিং করেছিলেন। আমি গ্রামের ছেলে। তাই এসব অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ক্ষেত্রে আমি মোটেও সহজ ছিলাম না। খুবই অস্বস্তি হচ্ছিল। মানুষ হিসেবে আমি খুবই লাজুক প্রকৃতির। ওয়ার্কশপ করেছিলাম। পরিচালক এবং আমার সহ অভিনেত্রীদের সাপোর্টের জন্যই কাজটা করতে পেরেছি।’
পুরস্কার
সম্প্রতি ‘গুলমোহর’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মনোজ। পুরস্কার মনোজের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ‘প্রতিটা পুরস্কার, প্রতিটা সম্মান একজন শিল্পীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সাফল্যকে সেলিব্রেট করে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এর ভার বয়ে বেড়ানো ঠিক নয়’, বললেন অভিনেতা।
দেবারতি ভট্টাচার্য • মুম্বই