Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। ক্রমেই রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনের অভিমুখ ঠিক করে দিচ্ছে মহিলাদের জন্য নানা ঘোষণা। এর পথিকৃৎ কি বাংলা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন? স্বীকার করতে এত কুণ্ঠা কীসের?
যাঁরা ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণের ঢাক পিটিয়েও প্রার্থী তালিকায় কয়েক যোজন দূরে আটকে যান, তাঁরাও সংসদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলিয়ে কইয়ে নতুন একঝাঁক ঝকঝকে মহিলা এমপি’র সক্রিয়তা দেখে একান্তে হাততালি দেন। সেখানেও পথ দেখায় বাংলাই। আজও। আপনি সমালোচনা করতেই পারেন, কিন্তু এই সরকারের উদ্যোগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটাও হয় ঘরের মহিলা সদস্যের নামে। নারীর সশক্তিকরণ ও মর্যাদা বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বাংলার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মহিলা বিলক্ষণ জানে। জানে সওয়া দু’কোটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক। আর জানে বলেই নির্বাচনী আসরে হিসেব কষতে বসে বিভ্রান্তিতে ভোগে বিরোধী রাজনীতিক থেকে তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণি। ভোট এলেই জনসমর্থনের পারদের ওঠানামা মাপতে ভুল হয়ে যায় নিন্দুকদের। আধুনিক ব্যারোমিটারকে হারিয়ে দেয় এক আটপৌরে নেত্রীর আশ্চর্য গ্রহণযোগ্যতার রসায়ন।
ধর্ষককে কড়া শাস্তি দিতে মৃত্যুদণ্ডের আইনও পাশ হয়েছে প্রথম বাংলার বিধানসভাতেই। আর জি কর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ হওয়ার পর বিলম্ব না করেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানায় তা আজও ঝুলে। কেন ধর্ষকের জন্য কঠোরতম আইন চালু করতে এত গড়িমসি বিজেপি’র, কোনও উত্তর নেই এখন। টানা তিন বছর একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, আবাসের বরাদ্দ না ছাড়ার মতোই এও বাংলার সঙ্গে সীমাহীন বঞ্চনার আর এক রূপ। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আরও দুঃখজনক এই কারণে যে যাঁরা বঞ্চনায় মদত দিচ্ছেন তাঁরাই আবার এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন। বাংলার মানুষ ছাব্বিশের ভোটে এদের ক্ষমা করবে? প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ন্যায্য পাওনা আটকে রাখার জবাব কি মিলবে না ভোটযন্ত্রে? কড়ায় গন্ডায় হিসেব বুঝে নেবে না রাজ্যের মানুষ?
কেন্দ্রের শাসক দল যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে হাত গুটিয়ে কার্যত দর্শক, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে। বৈদেশিক নীতি নিয়ে সচরাচর আমরা কেউই কথা বলি না। নিঃশর্তভাবে দিল্লির সরকারের পাশে দাঁড়াই। এটাই অলিখিত রীতি রেওয়াজ। বাংলার সরকারও তাই করেছে। কিন্তু যখন দেশের বিজেপি সরকার কী করব কী করব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ’৭১ সালের ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না, তখন দু’একটা কথা বলতেই হয়। বিভাজন সর্বস্ব বঙ্গ বিজেপি সমস্যা সমাধানে জোর না দিয়ে এই সুযোগে পায়ের তলার চোরাবালি সামলে মাটিটাকে একটু শক্ত করার সুযোগ খুঁজছে এপার বাংলায়। এপার বাংলায় হিন্দু ভোট সংগঠিত করাকেই পাখির চোখ করেছে তারা। কারণ কট্টর হিন্দুত্বই বিজেপি’র একমাত্র জিয়নকাঠি। বাকি আর সব ফাঁকা। কিন্তু সেখানেও পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে উপদ্রুত বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। পক্ষে বিপক্ষে নানা মুনি নানা মত দিলেও বাংলার সরকার ও জননেত্রীর এই অবস্থান বর্তমান পরিস্থিতিতে পাক্কা ‘স্টেটসম্যান’ সুলভ। তিনি শুধু নিছকই রাজনীতির ময়দানে প্রস্তাবটা দেননি। কথাটা বলেছেন রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। তাই ভোট রাজনীতির হিসেবনিকেশ বাদ দিয়ে দিল্লির কর্তাদের বিষয়টি দেখা উচিত অত্যন্ত সচেতনভাবে। যদি সদিচ্ছা থাকে!
তাই বলি, যতই সমালোচনা করুন, তাঁর গান, ছবি, কবিতা নিয়ে কটাক্ষ বর্ষণ চালিয়ে যান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদে পদে রাজনীতিটা শিখতে হবে এই বঙ্গের বিরোধীদের। বিরোধী নেত্রী হিসেবে শুরু করে কী সরকারে কী দলীয় রাজনীতিতে একটার পর একটা ইস্যুকে নিষ্ক্রিয় করার দৌড়ে গত চার দশকেরও বেশি সময় তিনি অপ্রতিরোধ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। টানা তিন মাস আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের সময় বিজেপি হারিয়ে গিয়েছিল। বলা হচ্ছিল, ওটা নাকি গেরুয়া সিলেবাসের বাইরে। আর প্রতিবেশী বাংলাদেশ যখন ক্রমেই অশান্ত হচ্ছে এবং হিন্দুত্ব গত একশো বছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে তখন এ রাজ্যের বামপন্থীরা শূন্য থেকেও আরও গহিন অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছে। সম্ভবত গত শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে হিন্দুত্ব। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিগত এক দশক দিল্লিতে তথাকথিত হিন্দু সরকার রাজ করলেও পড়শি রাষ্ট্রের এমন সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের কথা আঁচও করতে পারেনি কেন? দীর্ঘ ৫৩ বছর পর আবার বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মৌলবাদী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের গাফিলতি না ব্যর্থতা, বলতে পারব না। ওই যে বলেছি, বিদেশ নীতি নিয়ে বেশি কাটাছেঁড়া চলে না। কূটনৈতিক সৌজন্যে বাধে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে আরএসএস প্রধান যখন বলেন, দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বাড়াতে একটি নয়, দু’টিও নয়, দম্পতি পিছু তিনটি সন্তান জরুরি  তখন সন্দেহ জাগে। আসল উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান নাকি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের উনুনে তা দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে কিস্তিমাত করা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন ও অত্যাচার নিয়ে যতটা না চিন্তা তার চেয়েও বড় টার্গেট সেই বিভাজনকে ব্যবহার করে বাংলায় ঘোলা জলে মাছ ধরা। পূর্ব ভারতে একের পর এক রাজ্য গেরুয়া শাসনে এলেও বাংলায় জননেত্রীর কাছে মোদি-অমিত শাহ বারে বারে পরাজিত হয়েছেন। একুশে, চব্বিশে...ছাব্বিশের দেওয়াল লিখনও স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নকে প্রধান মুদ্দা বানালেও আগামী সওয়া এক বছর পরের বিধানসভা ভোটে তা থেকে ফায়দা তোলার চক্রান্ত সফল হবে না। কারণ এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা তাঁদের প্রকৃত বন্ধুকে যেমন চেনে তেমনি একটা বিরাট শিক্ষিত প্রগতিশীল অংশের হিন্দু জানে, হানাহানির মাধ্যমে কোনও সভ্য সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সামাজিক কাঠামোকেই তা আরও দুর্বল করে। উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে। সেই যন্ত্রণা আমাদের পূর্ব পুরুষরা দশকের পর দশক ভুগেছে। এখনও দেশভাগের দগদগে স্মৃতি  বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। বাড়ি ঘর ছেড়ে আসার স্মৃতি পুরোটা মুছে যায়নি। তাই হিন্দু মুসলমান বিভাজনের বিষ বয়ে চলার ভুল আবার বাঙালি করবে বলে মনে হয় না। বিজেপি’রও বাংলাদেশের জুজু দেখিয়ে এপার বাংলায় সংগঠন বিস্তারের স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন যাই বলুন আগামীতে আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী, গরিবের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২৪×৭ রাজনীতির সামনে।
পরিশেষে একটা কথাই বলি, আবার আমরা বছরের শেষ অঙ্কে উপনীত হয়েছি। বাতাসে হিমেল স্পর্শ জানান দিচ্ছে ডিসেম্বর সমাগত। কয়েকদিন পরই নতুন বছর। ২০২৫। শুধু একটাই আবেদন সবার কাছে অযথা বিনা কারণে বাংলার বদনাম করবেন না। ওতে শুধু আপনারই ক্ষতি নয়, পরবর্তী প্রজন্মেরও লোকসান। বাংলায় অনেক কিছু হচ্ছে। যা ভালো হচ্ছে সেটাও বলুন। শুধু নেগেটিভ প্রচারে কোনও সমাজ লাভবান হতে পারে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জিতে যান কারণ তিনি নিজের শক্তির চেয়েও বাংলার মানুষের সম্মিলিত শক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেন। আমরা সবাই সেটা করলে আখেরে লাভ হবে বাংলারই। উচ্চস্বরে বলতে পারব, এগিয়ে বাংলা।
08th  December, 2024
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
একনজরে
সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...

জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিবাদেই বোমাবাজি হল। সোমবার রাতে লাভপুর থানার হাতিয়া পঞ্চায়েতের লাঘোসা গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে লাভপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী সেখানে পৌঁছয়। ভাইয়ের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগে আজগর আলি নামে এক ব্যক্তিকে তারা আটক করেছে। ...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই সংকল্প নেন। পিভি সিন্ধুও ব্যতিক্রম নন। প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে তারকা শাটলার। সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ভেঙ্কট দত্তা সাইয়ের সঙ্গে সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন। গ্ল্যামারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরো বিদেশ সফরে থাকতে পারবেন না ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা, কঠোর সিদ্ধান্তের পথে ভারতীয় বোর্ড?
অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জার হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ভারতীয় ...বিশদ

03:15:00 PM

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কোয়ার্টারে পানীয় জলের ট্যাঙ্কিতে মিলল সাপ, চাঞ্চল্য

03:10:02 PM

পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক
পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানডিহিতে প্রচুর মাদক উদ্ধার করল পুলিস। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

03:08:46 PM

নেতাজি নগরে ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ

03:06:00 PM

১৪৬ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:04:00 PM

বিয়েতে উপহার দেননি বাবা! অভিযোগ জানাতে সটান জেলাশাসকের দপ্তরে মেয়ে
বিয়েতে উপহার দেননি বাবা! শুধুমাত্র এই অভিযোগ নিয়েই সটান জেলাশাসকের ...বিশদ

03:00:00 PM