Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। ক্রমেই রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনের অভিমুখ ঠিক করে দিচ্ছে মহিলাদের জন্য নানা ঘোষণা। এর পথিকৃৎ কি বাংলা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন? স্বীকার করতে এত কুণ্ঠা কীসের?
যাঁরা ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণের ঢাক পিটিয়েও প্রার্থী তালিকায় কয়েক যোজন দূরে আটকে যান, তাঁরাও সংসদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলিয়ে কইয়ে নতুন একঝাঁক ঝকঝকে মহিলা এমপি’র সক্রিয়তা দেখে একান্তে হাততালি দেন। সেখানেও পথ দেখায় বাংলাই। আজও। আপনি সমালোচনা করতেই পারেন, কিন্তু এই সরকারের উদ্যোগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটাও হয় ঘরের মহিলা সদস্যের নামে। নারীর সশক্তিকরণ ও মর্যাদা বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বাংলার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মহিলা বিলক্ষণ জানে। জানে সওয়া দু’কোটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক। আর জানে বলেই নির্বাচনী আসরে হিসেব কষতে বসে বিভ্রান্তিতে ভোগে বিরোধী রাজনীতিক থেকে তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণি। ভোট এলেই জনসমর্থনের পারদের ওঠানামা মাপতে ভুল হয়ে যায় নিন্দুকদের। আধুনিক ব্যারোমিটারকে হারিয়ে দেয় এক আটপৌরে নেত্রীর আশ্চর্য গ্রহণযোগ্যতার রসায়ন।
ধর্ষককে কড়া শাস্তি দিতে মৃত্যুদণ্ডের আইনও পাশ হয়েছে প্রথম বাংলার বিধানসভাতেই। আর জি কর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ হওয়ার পর বিলম্ব না করেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানায় তা আজও ঝুলে। কেন ধর্ষকের জন্য কঠোরতম আইন চালু করতে এত গড়িমসি বিজেপি’র, কোনও উত্তর নেই এখন। টানা তিন বছর একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, আবাসের বরাদ্দ না ছাড়ার মতোই এও বাংলার সঙ্গে সীমাহীন বঞ্চনার আর এক রূপ। বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আরও দুঃখজনক এই কারণে যে যাঁরা বঞ্চনায় মদত দিচ্ছেন তাঁরাই আবার এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন। বাংলার মানুষ ছাব্বিশের ভোটে এদের ক্ষমা করবে? প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ন্যায্য পাওনা আটকে রাখার জবাব কি মিলবে না ভোটযন্ত্রে? কড়ায় গন্ডায় হিসেব বুঝে নেবে না রাজ্যের মানুষ?
কেন্দ্রের শাসক দল যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে হাত গুটিয়ে কার্যত দর্শক, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে। বৈদেশিক নীতি নিয়ে সচরাচর আমরা কেউই কথা বলি না। নিঃশর্তভাবে দিল্লির সরকারের পাশে দাঁড়াই। এটাই অলিখিত রীতি রেওয়াজ। বাংলার সরকারও তাই করেছে। কিন্তু যখন দেশের বিজেপি সরকার কী করব কী করব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ’৭১ সালের ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না, তখন দু’একটা কথা বলতেই হয়। বিভাজন সর্বস্ব বঙ্গ বিজেপি সমস্যা সমাধানে জোর না দিয়ে এই সুযোগে পায়ের তলার চোরাবালি সামলে মাটিটাকে একটু শক্ত করার সুযোগ খুঁজছে এপার বাংলায়। এপার বাংলায় হিন্দু ভোট সংগঠিত করাকেই পাখির চোখ করেছে তারা। কারণ কট্টর হিন্দুত্বই বিজেপি’র একমাত্র জিয়নকাঠি। বাকি আর সব ফাঁকা। কিন্তু সেখানেও পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে উপদ্রুত বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। পক্ষে বিপক্ষে নানা মুনি নানা মত দিলেও বাংলার সরকার ও জননেত্রীর এই অবস্থান বর্তমান পরিস্থিতিতে পাক্কা ‘স্টেটসম্যান’ সুলভ। তিনি শুধু নিছকই রাজনীতির ময়দানে প্রস্তাবটা দেননি। কথাটা বলেছেন রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। তাই ভোট রাজনীতির হিসেবনিকেশ বাদ দিয়ে দিল্লির কর্তাদের বিষয়টি দেখা উচিত অত্যন্ত সচেতনভাবে। যদি সদিচ্ছা থাকে!
তাই বলি, যতই সমালোচনা করুন, তাঁর গান, ছবি, কবিতা নিয়ে কটাক্ষ বর্ষণ চালিয়ে যান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদে পদে রাজনীতিটা শিখতে হবে এই বঙ্গের বিরোধীদের। বিরোধী নেত্রী হিসেবে শুরু করে কী সরকারে কী দলীয় রাজনীতিতে একটার পর একটা ইস্যুকে নিষ্ক্রিয় করার দৌড়ে গত চার দশকেরও বেশি সময় তিনি অপ্রতিরোধ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। টানা তিন মাস আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের সময় বিজেপি হারিয়ে গিয়েছিল। বলা হচ্ছিল, ওটা নাকি গেরুয়া সিলেবাসের বাইরে। আর প্রতিবেশী বাংলাদেশ যখন ক্রমেই অশান্ত হচ্ছে এবং হিন্দুত্ব গত একশো বছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে তখন এ রাজ্যের বামপন্থীরা শূন্য থেকেও আরও গহিন অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছে। সম্ভবত গত শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে হিন্দুত্ব। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিগত এক দশক দিল্লিতে তথাকথিত হিন্দু সরকার রাজ করলেও পড়শি রাষ্ট্রের এমন সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের কথা আঁচও করতে পারেনি কেন? দীর্ঘ ৫৩ বছর পর আবার বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মৌলবাদী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের গাফিলতি না ব্যর্থতা, বলতে পারব না। ওই যে বলেছি, বিদেশ নীতি নিয়ে বেশি কাটাছেঁড়া চলে না। কূটনৈতিক সৌজন্যে বাধে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে আরএসএস প্রধান যখন বলেন, দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বাড়াতে একটি নয়, দু’টিও নয়, দম্পতি পিছু তিনটি সন্তান জরুরি  তখন সন্দেহ জাগে। আসল উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান নাকি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের উনুনে তা দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে কিস্তিমাত করা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন ও অত্যাচার নিয়ে যতটা না চিন্তা তার চেয়েও বড় টার্গেট সেই বিভাজনকে ব্যবহার করে বাংলায় ঘোলা জলে মাছ ধরা। পূর্ব ভারতে একের পর এক রাজ্য গেরুয়া শাসনে এলেও বাংলায় জননেত্রীর কাছে মোদি-অমিত শাহ বারে বারে পরাজিত হয়েছেন। একুশে, চব্বিশে...ছাব্বিশের দেওয়াল লিখনও স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নকে প্রধান মুদ্দা বানালেও আগামী সওয়া এক বছর পরের বিধানসভা ভোটে তা থেকে ফায়দা তোলার চক্রান্ত সফল হবে না। কারণ এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা তাঁদের প্রকৃত বন্ধুকে যেমন চেনে তেমনি একটা বিরাট শিক্ষিত প্রগতিশীল অংশের হিন্দু জানে, হানাহানির মাধ্যমে কোনও সভ্য সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সামাজিক কাঠামোকেই তা আরও দুর্বল করে। উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে। সেই যন্ত্রণা আমাদের পূর্ব পুরুষরা দশকের পর দশক ভুগেছে। এখনও দেশভাগের দগদগে স্মৃতি  বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। বাড়ি ঘর ছেড়ে আসার স্মৃতি পুরোটা মুছে যায়নি। তাই হিন্দু মুসলমান বিভাজনের বিষ বয়ে চলার ভুল আবার বাঙালি করবে বলে মনে হয় না। বিজেপি’রও বাংলাদেশের জুজু দেখিয়ে এপার বাংলায় সংগঠন বিস্তারের স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্ন যাই বলুন আগামীতে আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী, গরিবের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২৪×৭ রাজনীতির সামনে।
পরিশেষে একটা কথাই বলি, আবার আমরা বছরের শেষ অঙ্কে উপনীত হয়েছি। বাতাসে হিমেল স্পর্শ জানান দিচ্ছে ডিসেম্বর সমাগত। কয়েকদিন পরই নতুন বছর। ২০২৫। শুধু একটাই আবেদন সবার কাছে অযথা বিনা কারণে বাংলার বদনাম করবেন না। ওতে শুধু আপনারই ক্ষতি নয়, পরবর্তী প্রজন্মেরও লোকসান। বাংলায় অনেক কিছু হচ্ছে। যা ভালো হচ্ছে সেটাও বলুন। শুধু নেগেটিভ প্রচারে কোনও সমাজ লাভবান হতে পারে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জিতে যান কারণ তিনি নিজের শক্তির চেয়েও বাংলার মানুষের সম্মিলিত শক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেন। আমরা সবাই সেটা করলে আখেরে লাভ হবে বাংলারই। উচ্চস্বরে বলতে পারব, এগিয়ে বাংলা।
08th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
একনজরে
ট্রেনে চড়ে ২০০ কিলোমিটার উজিয়ে এসে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করল বিহারের শেখপুরের দুই সদ্য তরুণ।  অভিযোগ, পাঞ্চ, বেল্ট, লাঠি দিয়ে ১৪ বছরের নাবালককে মারধর করা হয়েছে। ...

‘গুড মর্নিং, ‘গুড নাইট’ বার্তা এবং নিজের দিনভর কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট হয়েই চলেছে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দলের তরফে নির্দেশ ওই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হবে। ...

সোমবার সংসদে ‘প্যালেস্তাইন’ লেখা ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবিরও। সেই ইস্যুতে প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই সমালোচনার মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ...

হাওড়া স্টেশন থেকে ফোরশোর রোড ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের ছবি ও যাবতীয় তথ্য। একইসঙ্গে দেখা যায় হাওড়া শহরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর ছবিও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৭৫: নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয় দিল্লিতে
১৮৬০: ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির মৃত্যু
১৮৭৩: বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম
১৮৭৫: মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী
১৯১৮: বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের মৃত্যু
১৯১৯: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওমপ্রকাশের জন্ম
১৯৩৪: ভারতের ১২তম  ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের জন্ম
১৯৪০: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গোবিন্দ নিহলানির জন্ম
১৯৫৭: মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
১৯৬৯: ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়ার জন্ম
১৯৭০: অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের জন্ম
১৯৮২: টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩: ফিফার বিশ্বকাপ জুলে রিমে ট্রফি চুরি হল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.০৯ টাকা ৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৫ টাকা ১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৬ টাকা ৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৯/৩১, দিবা ১০/৩। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪৯/২৩ রাত্রি ২/০। সূর্যোদয় ৬/১৫/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৫২/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/১৫ মধ্যে।
৩ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১২/১১। অশ্লেষা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/১৮ মধ্যে। কালবেলা ২/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/১৫ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও

06:13:00 PM

আম্বেদকর ইস্যুতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সিপিএমের

06:07:00 PM

চাকরি বাতিল মামলা: সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ৭ জানুয়ারি

06:00:01 PM

সেন্ট জেভিয়ার্সে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:52:00 PM

চেন্নাইয়ের রাজভবনে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ ডোম্মারাজুকে শুভেচ্ছা জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি

05:45:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: খেলা হবে পাকিস্তানেই, ভারতের জন্য বরাদ্দ নিরপেক্ষ ভেন্যু, সিদ্ধান্ত আইসিসি-র

05:31:32 PM