Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ ছিল এরকমই একটি আইন। আমার মতে, এটি সংক্ষিপ্ত এবং মাত্র ৮টি ধারায় সংযুক্ত। এটির মজা এই যে, উপাসনাস্থলের চরিত্রকে স্বাধীনতার উষালগ্নের চেহারায় ফেরানোই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য। কোনোরকমের ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ বা ‘তৎসত্ত্বেও’ বা ‘কোনও দ্বিধা ছাড়াই’ এটি পরিষ্কার ছিল।
আমি সবাইকে এই আইনের ধারা ৩ এবং ধারা ৪(১) পড়ে দেখতে অনুরোধ করব, এটি নিম্নরূপ:
 ৩. উপাসনাস্থলগুলির পরিবর্তন করা বা রূপান্তরে বাধা: কোনও ব্যক্তি কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কোনও উপাসনাস্থল বা তার কোনও অংশকে একই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা তার কোনও অংশের উপাসনাস্থলে পাল্টে ফেলতে বা রূপান্তর করতে পারবেন না।
 ৪. নির্দিষ্ট উপাসনাস্থলগুলির ধর্মীয় চরিত্র সম্পর্কে ঘোষণার ব্যাপারে আদালতের এক্তিয়ার: (১) এতদ্দ্বারা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখ থেকে একটি উপাসনাস্থলের যে ধর্মীয় চরিত্র রয়েছে সেটাই অবিকল বজায় রাখতে হবে।
অযোধ্যায় অবস্থিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত বিতর্কিত উপাসনাস্থলটিই একমাত্র ব্যতিক্রম। 
আইনটির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চেতনা ও পরিধির গ্রহণযোগ্যতা ছিল ব্যাপক। আমার মতে, আইনটির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছে। কারণ প্রায় ৩০ বছর ধরে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল। সর্বোপরি, লোকজন এটাই গ্রহণ করে নিয়েছে যে একটি মন্দির (হিন্দু ভক্তজনের উপাসনাস্থল) মন্দিরই থাকবে, একটি মসজিদ (মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) মসজিদই থাকবে, একটি গির্জা (খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের উপাসনাস্থল) গির্জাই থাকবে, একটি গুরুদ্বার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) গুরুদ্বারই থাকবে, একটি সিনাগগ (ইহুদিদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র) একটি সিনাগগই থাকবে। এছাড়াও অন্য যত ধর্মীয় উপাসনাস্থল রয়েছে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে তাদের যে চরিত্র বৈশিষ্ট্য ছিল প্রতিটির জন্য সেটাই বজায় রাখতে হবে।
সচেতনভাবে উপেক্ষা
দুর্ভাগ্যবশত, আইনটির কার্যকারিতা সম্পর্কে হাতে তথ্যের পরিমাণ যৎকিঞ্চিৎ। কিছু প্রশ্নের প্রেক্ষিতে PRISM নামে একটি পার্লামেন্টারি রিসার্চ ফেসিলিটি থেকে জানা গিয়েছে যে, এই আইনে গ্রেপ্তার এবং আদালতে অভিযুক্তকরণ সংক্রান্ত তিনটি ক্ষেত্রে তৎকালীন সরকার কৌশলী জবাব দিয়েছিল। আইনের কার্যকারিতা সম্পর্কে এটুকুই বলা যেতে পারে যে, পরবর্তী সরকারগুলি আইনটিকে সচেতনভাবে উপেক্ষা করেছে।
এবার আদালতের দিকে নজর রাখা যাক। ২৮ অক্টোবর, ২০২০। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আর্জিগুলি নির্দেশনামূলক: উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২, ৩ ও ৪ অকার্যকর এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করুন। কারণ বর্বর হানাদারদের দ্বারা অবৈধভাবে নির্মিত ‘উপাসনাস্থলগুলি’কে বৈধতা দিতে চায় আইনের ওই ধারাগুলি৷ উল্লেখ্ করার মতো বিষয় এই যে, ৩ ও ৪ নম্বর ধারা দুটির উপরেই আইনটি দাঁড়িয়ে আছে। ৩ ও ৪ ধারা দুটি বাদ দিলে এই আইনে আর কিছুই থাকে না। এই ব্যবস্থাগুলি ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫, ২৬ ও ২৯ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে আইনটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷ আরও উল্লেখ্য যে, এই ‘উপাসনাস্থলগুলি’ পিটিশনারের মতে, বর্বর হানাদারদের হাতে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। আর্জি তিনটির উদ্দেশ্য, এবং সেখানে লক্ষ্য নির্দিষ্টভাবে কোন সম্প্রদায়, পিটিশনার তা গোপন করেননি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ’ সম্প্রদায়ে ধর্মস্থানগুলি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছেন তিনি। এই রিট পিটিশন ২০২০ সাল থেকে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।
জ্ঞানবাপী নিয়ে বিবাদ
২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারাণসীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির তরফে দায়ের করা একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন গ্রহণ করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০২৩ সালের ৩ আগস্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল ওই এসএলপি’তে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে বা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা জজ। হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত একটি আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর পিটিশনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট এক আদেশে বলেছে যে, ‘আমরা হাইকোর্টের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে ভিন্নমত হতে পারছি না, বিশেষত সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের অধীনে এক্তিয়ার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে, ... এবং সলিসিটর জেনারেলের দাখিলটি আমরা নথিভুক্ত করেছি ... সমগ্র প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে ‘নন-ইনভেসিভ মেথডলজি’ বা নির্মাণের কোনও ক্ষতি করবে না এমন পদ্ধতিতে। এএসআই’কে (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) এই সতর্কতার সঙ্গেই কাজটি করতে হবে।’ 
প্যান্ডোরার বাক্সটি খোলা হয়েছিল এমনভাবেই। আদালত বাদীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করেনি। বাদীরা ২০২২ সালের ১৮ নম্বর দেওয়ানি মামলা দাখিলসহ দাবি করেন যে জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে নাকি তাঁদের দেবতা আছেন, তাঁকে ঘিরেই আচার অনুষ্ঠান করার অধিকারী তাঁরা। বাদীদের স্পষ্ট প্রচেষ্টা এটাই ছিল যে, একটি মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবতাদের পূজা-অর্চনা করা, ওই দেবতা নাকি সেখানেই রয়েছেন! যদি তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন এবং দেবতাদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাতে মসজিদটি অন্তত আংশিকভাবে একটি মন্দিরে রূপান্তরিত হবে। সেটি ১৯৯১ আইনের ৩ এবং ৪ ধারার সরল ভাষাতেই বলা ছিল।
চেইন রিয়্যাকশন
এই মামলায়, বাদীর উদ্দেশ্য এবং নামাজের অনুমতি দেওয়ার ফলাফল দেখে নেওয়া কি কঠিন ছিল? আমার মতে, মামলাটিতে সংবিধানের 
১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার’ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল নিজ ক্ষমতা 
প্রয়োগ করা। ৩০ বছর যাবৎ মান্য করা হয়েছে যে আইনটি সেটি বহাল রাখার নির্দেশদানসহ মামলাটি খারিজও করা যেত। 
জ্ঞানবাপী মামলার আদেশ অনুসরণে একাধিক বিবাদ উপস্থিত হয়েছে: উত্তরপ্রদেশে মথুরার ইদগাহ মসজিদ ও সম্ভল, দিল্লিতে কুতুব কমপ্লেক্স এবং রাজস্থানে আজমিরের দরগাহ। এই সঙ্কট তবে কোথায়  গিয়ে থামবে?
জ্ঞানবাপী অর্ডারের পরিণতি হবে কুখ্যাত ‘এডিএম জবলপুর মামলা’র মতোই। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
09th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
একনজরে
সোমবার সংসদে ‘প্যালেস্তাইন’ লেখা ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবিরও। সেই ইস্যুতে প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই সমালোচনার মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ...

রোহিত শর্মা আর কতদিন ক্রমাগত ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন? রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবসরের পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে শুরু হয়েছে চর্চা। স্বয়ং ভারত অধিনায়কের মাথায় যদিও অবসরের ভাবনা ...

জমির ধারে ডোবায় মর্টার শেল কুড়িয়ে পান দিনহাটার কৃষক হিতেন মোদক। মর্টারটির গায়ে ‘পাকিস্তান’ লেখা রয়েছে। খবর পেতেই বিএসএফের কর্তারা এসে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে ...

ট্রেনে চড়ে ২০০ কিলোমিটার উজিয়ে এসে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করল বিহারের শেখপুরের দুই সদ্য তরুণ।  অভিযোগ, পাঞ্চ, বেল্ট, লাঠি দিয়ে ১৪ বছরের নাবালককে মারধর করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৭৫: নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয় দিল্লিতে
১৮৬০: ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির মৃত্যু
১৮৭৩: বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম
১৮৭৫: মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী
১৯১৮: বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের মৃত্যু
১৯১৯: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওমপ্রকাশের জন্ম
১৯৩৪: ভারতের ১২তম  ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের জন্ম
১৯৪০: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গোবিন্দ নিহলানির জন্ম
১৯৫৭: মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
১৯৬৯: ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়ার জন্ম
১৯৭০: অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের জন্ম
১৯৮২: টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩: ফিফার বিশ্বকাপ জুলে রিমে ট্রফি চুরি হল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.০৯ টাকা ৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৫ টাকা ১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৬ টাকা ৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৯/৩১, দিবা ১০/৩। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪৯/২৩ রাত্রি ২/০। সূর্যোদয় ৬/১৫/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৫২/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/১৫ মধ্যে।
৩ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১২/১১। অশ্লেষা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/১৮ মধ্যে। কালবেলা ২/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/১৫ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও

06:13:00 PM

আম্বেদকর ইস্যুতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সিপিএমের

06:07:00 PM

চাকরি বাতিল মামলা: সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ৭ জানুয়ারি

06:00:01 PM

সেন্ট জেভিয়ার্সে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:52:00 PM

চেন্নাইয়ের রাজভবনে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ ডোম্মারাজুকে শুভেচ্ছা জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি

05:45:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: খেলা হবে পাকিস্তানেই, ভারতের জন্য বরাদ্দ নিরপেক্ষ ভেন্যু, সিদ্ধান্ত আইসিসি-র

05:31:32 PM