Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ ছিল এরকমই একটি আইন। আমার মতে, এটি সংক্ষিপ্ত এবং মাত্র ৮টি ধারায় সংযুক্ত। এটির মজা এই যে, উপাসনাস্থলের চরিত্রকে স্বাধীনতার উষালগ্নের চেহারায় ফেরানোই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য। কোনোরকমের ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ বা ‘তৎসত্ত্বেও’ বা ‘কোনও দ্বিধা ছাড়াই’ এটি পরিষ্কার ছিল।
আমি সবাইকে এই আইনের ধারা ৩ এবং ধারা ৪(১) পড়ে দেখতে অনুরোধ করব, এটি নিম্নরূপ:
 ৩. উপাসনাস্থলগুলির পরিবর্তন করা বা রূপান্তরে বাধা: কোনও ব্যক্তি কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কোনও উপাসনাস্থল বা তার কোনও অংশকে একই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বা তার কোনও অংশের উপাসনাস্থলে পাল্টে ফেলতে বা রূপান্তর করতে পারবেন না।
 ৪. নির্দিষ্ট উপাসনাস্থলগুলির ধর্মীয় চরিত্র সম্পর্কে ঘোষণার ব্যাপারে আদালতের এক্তিয়ার: (১) এতদ্দ্বারা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখ থেকে একটি উপাসনাস্থলের যে ধর্মীয় চরিত্র রয়েছে সেটাই অবিকল বজায় রাখতে হবে।
অযোধ্যায় অবস্থিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত বিতর্কিত উপাসনাস্থলটিই একমাত্র ব্যতিক্রম। 
আইনটির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, চেতনা ও পরিধির গ্রহণযোগ্যতা ছিল ব্যাপক। আমার মতে, আইনটির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছে। কারণ প্রায় ৩০ বছর ধরে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল। সর্বোপরি, লোকজন এটাই গ্রহণ করে নিয়েছে যে একটি মন্দির (হিন্দু ভক্তজনের উপাসনাস্থল) মন্দিরই থাকবে, একটি মসজিদ (মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) মসজিদই থাকবে, একটি গির্জা (খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের উপাসনাস্থল) গির্জাই থাকবে, একটি গুরুদ্বার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনাস্থল) গুরুদ্বারই থাকবে, একটি সিনাগগ (ইহুদিদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র) একটি সিনাগগই থাকবে। এছাড়াও অন্য যত ধর্মীয় উপাসনাস্থল রয়েছে, ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ তারিখে তাদের যে চরিত্র বৈশিষ্ট্য ছিল প্রতিটির জন্য সেটাই বজায় রাখতে হবে।
সচেতনভাবে উপেক্ষা
দুর্ভাগ্যবশত, আইনটির কার্যকারিতা সম্পর্কে হাতে তথ্যের পরিমাণ যৎকিঞ্চিৎ। কিছু প্রশ্নের প্রেক্ষিতে PRISM নামে একটি পার্লামেন্টারি রিসার্চ ফেসিলিটি থেকে জানা গিয়েছে যে, এই আইনে গ্রেপ্তার এবং আদালতে অভিযুক্তকরণ সংক্রান্ত তিনটি ক্ষেত্রে তৎকালীন সরকার কৌশলী জবাব দিয়েছিল। আইনের কার্যকারিতা সম্পর্কে এটুকুই বলা যেতে পারে যে, পরবর্তী সরকারগুলি আইনটিকে সচেতনভাবে উপেক্ষা করেছে।
এবার আদালতের দিকে নজর রাখা যাক। ২৮ অক্টোবর, ২০২০। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। আর্জিগুলি নির্দেশনামূলক: উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২, ৩ ও ৪ অকার্যকর এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করুন। কারণ বর্বর হানাদারদের দ্বারা অবৈধভাবে নির্মিত ‘উপাসনাস্থলগুলি’কে বৈধতা দিতে চায় আইনের ওই ধারাগুলি৷ উল্লেখ্ করার মতো বিষয় এই যে, ৩ ও ৪ নম্বর ধারা দুটির উপরেই আইনটি দাঁড়িয়ে আছে। ৩ ও ৪ ধারা দুটি বাদ দিলে এই আইনে আর কিছুই থাকে না। এই ব্যবস্থাগুলি ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫, ২৬ ও ২৯ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে আইনটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷ আরও উল্লেখ্য যে, এই ‘উপাসনাস্থলগুলি’ পিটিশনারের মতে, বর্বর হানাদারদের হাতে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল। আর্জি তিনটির উদ্দেশ্য, এবং সেখানে লক্ষ্য নির্দিষ্টভাবে কোন সম্প্রদায়, পিটিশনার তা গোপন করেননি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ’ সম্প্রদায়ে ধর্মস্থানগুলি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছেন তিনি। এই রিট পিটিশন ২০২০ সাল থেকে শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন।
জ্ঞানবাপী নিয়ে বিবাদ
২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারাণসীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির তরফে দায়ের করা একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন গ্রহণ করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০২৩ সালের ৩ আগস্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল ওই এসএলপি’তে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে বা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা জজ। হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত একটি আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর পিটিশনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট এক আদেশে বলেছে যে, ‘আমরা হাইকোর্টের দৃষ্টিভঙ্গির থেকে ভিন্নমত হতে পারছি না, বিশেষত সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের অধীনে এক্তিয়ার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে, ... এবং সলিসিটর জেনারেলের দাখিলটি আমরা নথিভুক্ত করেছি ... সমগ্র প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে ‘নন-ইনভেসিভ মেথডলজি’ বা নির্মাণের কোনও ক্ষতি করবে না এমন পদ্ধতিতে। এএসআই’কে (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) এই সতর্কতার সঙ্গেই কাজটি করতে হবে।’ 
প্যান্ডোরার বাক্সটি খোলা হয়েছিল এমনভাবেই। আদালত বাদীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করেনি। বাদীরা ২০২২ সালের ১৮ নম্বর দেওয়ানি মামলা দাখিলসহ দাবি করেন যে জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে নাকি তাঁদের দেবতা আছেন, তাঁকে ঘিরেই আচার অনুষ্ঠান করার অধিকারী তাঁরা। বাদীদের স্পষ্ট প্রচেষ্টা এটাই ছিল যে, একটি মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবতাদের পূজা-অর্চনা করা, ওই দেবতা নাকি সেখানেই রয়েছেন! যদি তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন এবং দেবতাদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাতে মসজিদটি অন্তত আংশিকভাবে একটি মন্দিরে রূপান্তরিত হবে। সেটি ১৯৯১ আইনের ৩ এবং ৪ ধারার সরল ভাষাতেই বলা ছিল।
চেইন রিয়্যাকশন
এই মামলায়, বাদীর উদ্দেশ্য এবং নামাজের অনুমতি দেওয়ার ফলাফল দেখে নেওয়া কি কঠিন ছিল? আমার মতে, মামলাটিতে সংবিধানের 
১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার’ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল নিজ ক্ষমতা 
প্রয়োগ করা। ৩০ বছর যাবৎ মান্য করা হয়েছে যে আইনটি সেটি বহাল রাখার নির্দেশদানসহ মামলাটি খারিজও করা যেত। 
জ্ঞানবাপী মামলার আদেশ অনুসরণে একাধিক বিবাদ উপস্থিত হয়েছে: উত্তরপ্রদেশে মথুরার ইদগাহ মসজিদ ও সম্ভল, দিল্লিতে কুতুব কমপ্লেক্স এবং রাজস্থানে আজমিরের দরগাহ। এই সঙ্কট তবে কোথায়  গিয়ে থামবে?
জ্ঞানবাপী অর্ডারের পরিণতি হবে কুখ্যাত ‘এডিএম জবলপুর মামলা’র মতোই। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
09th  December, 2024
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
একনজরে

...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই সংকল্প নেন। পিভি সিন্ধুও ব্যতিক্রম নন। প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে তারকা শাটলার। সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ভেঙ্কট দত্তা সাইয়ের সঙ্গে সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন। গ্ল্যামারের ...

সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির অবস্থা সবাই জানে: রাহুল গান্ধী

03:29:00 PM

পুরো বিদেশ সফরে থাকতে পারবেন না ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা, কঠোর সিদ্ধান্তের পথে ভারতীয় বোর্ড?
অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জার হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ভারতীয় ...বিশদ

03:15:00 PM

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কোয়ার্টারে পানীয় জলের ট্যাঙ্কিতে মিলল সাপ, চাঞ্চল্য

03:10:02 PM

পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক
পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানডিহিতে প্রচুর মাদক উদ্ধার করল পুলিস। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

03:08:46 PM

নেতাজি নগরে ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ

03:06:00 PM

১৪৬ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:04:00 PM