Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। ২০২২ সালে সোনার গড় দাম ছিল ৫২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে। আর ২০১৪ সালে মোদি জমানার শুরুতে ২৮ থেকে ২৯ হাজারের মধ্যে। সেটাই এভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল কীভাবে? এর পিছনে কয়েকটা ফ্যাক্টর রয়েছে। এমনিতেই সোনা অফুরন্ত নয়। খনি থেকে তোলা হয়। আর তাই এর একটা শেষও আছে। সেই কারণে সবসময়ই এই মূল্যবান ধাতুর মূল্য একটু বেশির দিকেই থাকে। আর মার্কেট ডিমান্ড যত বাড়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দেয় সোনার ‘পারদ’ও। গত কয়েক বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জ্বালায় ভারতের অর্থনীতি এমন ‘সোনায় সোহাগা’ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে তো ডিমান্ড বা চাহিদা বৃদ্ধির কথা নয়! তারপরও কিন্তু সোনার দাম বাড়ছে। তাহলে কি সবটাই রাজনৈতিক কারণে? নরেন্দ্র মোদির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে সংশয় কিন্তু ২০২৪ সালে তৈরি হয়নি, অনাস্থার বীজ বপন হয়েছে আগেই। গত দু’বছরে তাতে ভালোমতন জল-হাওয়া পড়েছে। আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখনই সংশয়ের বেড়াজালে ঢুকে যায়, তার প্রভাব শেয়ার বাজার, সোনার দামের উপর পড়েই থাকে। এখানেও হয়তো সেটা হয়েছে। যে শ্রেণির মানুষের হাতে টাকা রয়েছে, সেই গুটিকয় লোকজন সোনা কিনছেন ঠিকই। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের রোজনামচা নয়। বরং চলতি বছরে সোনার ক্ষেত্রে আম জনতার গতিবিধি সম্পূর্ণ উল্টো। ভারতবাসী সোনা বন্ধক রাখছে ব্যাঙ্কে। তার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছে। সোজা কথায় গোল্ড লোন। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান—চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে সোনার বিনিময়ে ঋণের পরিমাণ দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। সঠিক হিসেবে ৫০.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, আর্থিক বছরের শুরুতে যত মানুষ বাড়ির সোনা বন্ধক রেখে লোন নিয়েছিলেন, তার তুলনায় সংখ্যাটা আজ বেড়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, কেন? কী এমন হল যে, এত বেশি সংখ্যক মানুষ হুড়মুড়িয়ে বাড়ির সোনা বন্ধক রেখে টাকা তুলতে শুরু করল? উত্তরটা খুব সহজ নয় কী! মানুষ লোন কখন নেয়? যখন তার হাতে টাকার জোগান থাকে না। অথচ, সাংসারিক চাপ এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, টাকা হাতে না এলেই নয়। আর এমন পরিস্থিতিতে ঋণের দরজা তো সব সময় খোলা! পার্সোনাল লোন, মর্টগেজ লোন, গোল্ড লোন, ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া লোন, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া লোন... টাকা চাইলে পেতে অসুবিধা হবে না, যদি আপনার কাঁধ বিপুল পরিমাণ সুদ দেওয়ার মতো শক্ত হয়। ঠিক যা পার্সেলান লোনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ঋণ দেওয়ার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বসেই আছে। মিনিমাম ডকুমেন্টেশন, ম্যাক্সিমাম লোন। তারপর আবিষ্কার করলেন, মাসে ১৭ শতাংশ সুদ দিতে হচ্ছে। সুদ দিতে দিতে মধ্যবিত্তের পকেট ক্ষয়ে গেলেও আসল পর্যন্ত পৌঁছনো যায় না। তাহলে উপায় কী? গোল্ড লোন।
বাড়িতে যে সোনা আছে, সেটা ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে সেই অনুযায়ী লোন নিলে সুদের হারটাও কম দিতে হয়। টাকাটাও হাতে আসে। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে এর মতো বিশল্যকরণী আর কিছু নেই। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে বাজার খরচ, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বিয়ে বা জন্মদিন বাড়ির মতো লৌকিকতা, যাতায়াত ভাড়া, রোজকার টিফিন খরচার মতো ব্যয়ের বহর লেগেই থাকে। সেই সবকিছুর খরচ প্রতিদিন, নানা ছুতোয় বাড়ে। থমকে থাকে শুধু উপার্জন। গত এক বছরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সব লৌকিকতাই শিকেয় তুলে রাখতে হয়েছে আম জনতাকে। পেটে খেলে তো পিঠে সইবে! সোনা বাড়িতে রেখে লাভ কী, যদি পেটের ভাতই না জোটে! তাই বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া ছাড়া গতি নেই মধ্যবিত্তের। সরকার অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির সমীকরণ মানতে রাজি নয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদির বাকি মন্ত্রী ও সচিবরা লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঢাল-তরোয়াল নিয়ে প্যাঁচ কষে চলেছেন। গোঁ ধরে রয়েছে শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না কমলে তারা রেপো রেট কমাবে না। ছাড়বে না মোদি সরকারও। রেপো কমালে কেন্দ্রের লাভ কী? মোদি সরকার মনে করছে, ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআই যে সুদে ঋণ দেয়, তার অঙ্ক কমলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ঋণের সুদ কাটছাঁট করবে। তাতে লোন নেবে উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। তারা বেশি বেশি পণ্য তৈরি করবে। অনেক কর্মসংস্থান হবে। সত্যিই কি তাই? মানুষের হাতে টাকা না থাকলে তারা কিন্তু ভোগ্যপণ্য কিনবে না। ফলে বাজারে ডিমান্ড তৈরিও হবে না। ডিমান্ড না থাকলে উৎপাদন ক্ষেত্র ভোগ্যপণ্য বানিয়ে বেচবে কোথায়? আর মানুষের হাতে টাকা না থাকলে ডিমান্ড তৈরিও হবে না। আর রেপো কমালেই গৃহঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেওয়ার ঢল নামবে বলে কেন্দ্র আশায় বুক বেঁধে বসে আছে, হবে না সেটাও। অন্ন সংস্থান করতে না পারলে সাধারণ মানুষ বাড়ি-গাড়ির পিছনে ছোটে না। আর গুটিকয় যে শ্রেণির মানুষজন হেলায় বাড়ি-গাড়ি কেনেন, তাঁদের লোনের জন্য সুদের ঘাটতির উপর অপেক্ষা করতে হয় না। যাঁদের উপর ভর করে অর্থনীতি রোল করে, সেই মধ্যবিত্তের হাতে টাকা নেই। সেটা সোনার বন্ধকী ঋণের ব্যাপ্তির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এই মুহূর্তে, অর্থাৎ চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ঘাড়ে গোল্ড লোনের বোঝা রয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকার। অর্থাৎ, সোনা বন্ধক রেখে এই অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর মার্চ মাসে অঙ্কটা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অথচ, সোনার চল কিন্তু বেশি দক্ষিণ ভারত এবং বাংলায়। তাহলে ধরে নিতেই হবে, এই দু’টি অঞ্চল থেকেই গোল্ড লোন অধিক মাত্রায় নেওয়া হয়েছে! তার মানে কি অন্য রাজ্যগুলির অবস্থা খুব ভালো? তা কিন্তু নয়। মূল্যবৃদ্ধির বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিতে সেখানে কেউ জমি বন্ধক রেখেছেন, কেউ আবার মহাজনের থেকে চড়া সুদে লোন নিয়েছেন। এটাও এক ধরনের পার্সোনাল লোন বটে। তবে সেই সংখ্যাটা গোল্ড লোনের অঙ্ককে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। সরকারি হিসেবই বলছে, পার্সোনাল লোনের বৃদ্ধির হার এই সময়সীমার মধ্যে মাত্র ৩.৩ শতাংশ। উপরন্তু অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার প্রবণতায় রীতিমতো ধস নামছে। মানুষ যতটুকু পার্সোনাল লোন নিচ্ছে, তার বেশিটাই ব্যাঙ্ক থেকে। অর্থাৎ, নিরাপত্তা খুঁজছে আম জনতা। গত কয়েক বছরে নগদের সঙ্গে সঙ্গে এই একটি বিষয়ের অভাবও রীতিমতো অনুভব করছে দেশবাসী। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক হিসেব হল, ৮৫ কোটি ভারতবাসীর মাথায় কোনও না কোনও ঋণের বোঝা রয়েছে কিংবা তাঁরা ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এখানেই শেষ নয়, চলতি বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত গৃহঋণ বেড়েছে মাত্র ৫.৬ শতাংশ। অন্য বছর কিন্তু গড়ে হোম লোনে বৃদ্ধির হার ঘোরাফেরা করে ১২ শতাংশের আশপাশে। এর কারণ হতে পারে দু’টি। প্রথমত, ইএমআই কীভাবে দেব, সেই উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না মধ্যবিত্ত। আর দ্বিতীয়ত, আয়করের নতুন রেজিমে হোমলোনে ছাড়ের মতো কোনও উপায় মোদি সরকার রাখেনি। ফলে কর বাঁচানোর ফন্দি সব মাঠে মারা গিয়েছে। সেই অঙ্কেই গৃহঋণের পথে অনেকে হাঁটতে চাইছেন না। 
সোজা কথায়, বিনিয়োগ কমছে। সোনা বা গয়না কেনায় অনীহা লক্ষ করে গত ২০১৫ সালে গোল্ড বন্ড চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারা বছরের যে সময় বন্ড ছাড়ে, তখন সোনার বাজারদরের উপর নির্ভর করে চূড়ান্ত হয় বন্ডের দাম। প্রশ্ন হল, গোল্ড বন্ডের চাহিদা বাড়ছে কেন? কারণ, লগ্নিকারীরা দেখছেন, প্রতি বছর এই একটি ক্ষেত্রে বিপুল মুনাফা করার সুযোগ রয়েছে। সোনার দামের লম্ফঝম্পের কোনও সীমা পরিসীমা নেই। এক বছরে যদি ৫ হাজার টাকা সোনার দাম বাড়ে, তাহলে এখানে টাকা খাটানোই ভালো। নিরাপদ এলআইসি বা কম সুদের ফিক্সড ডিপোজিটে নয়। ধস নামুক না সঞ্চয়ে! ওটা পাবলিকের প্রবলেম। সরকারের নয়। আর তাই শেয়ার বাজারে টাকা খাটলে এই সরকার উল্লসিত হয়। আম জনতাও সঞ্চয়ের বদলে লগ্নিতে বাধ্য হয়। কারও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে, কারও না। তাঁরা ডুবে যান দেনায়। লগ্নি হয়তো বাড়ে, সঙ্গে উদ্বেগও। শেয়ার বাজার হোক বা সোনার দাম... রাজনীতির উপরও কিন্তু তারা বড্ড বেশি নির্ভরশীল। ইতিমধ্যেই কিন্তু বিশ্বের দুই প্রান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে। তার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও। যুদ্ধের আঁচ যত বাড়বে, বেসামাল হবে সবাই। সেই তালিকা থেকে বাদ যাবে না ভারতও। কারণ, এখন আর গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিপুল বরাদ্দের ১০০ দিনের কাজ নেই। পরিকাঠামোয় বিপুল টাকা ঢেলে সাধারণ মানুষের হাতে কাজের মাধ্যমে টাকার জোগান বাড়ানোর প্রয়াস নেই। পরিকাঠামো, চাঙ্গা বাজার দেখিয়ে উৎপাদন ক্ষেত্রকে বুস্ট আপ করার পরিস্থিতি নেই। আর্থিক মন্দাকে রুখে দেওয়ার দূরদর্শী ভাবনাও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সরকার ও দেশের অর্থনীতিকে আগলে রাখার মতো একজন মনমোহন সিং ক্ষমতার অলিন্দে নেই।
10th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
একনজরে
জমির ধারে ডোবায় মর্টার শেল কুড়িয়ে পান দিনহাটার কৃষক হিতেন মোদক। মর্টারটির গায়ে ‘পাকিস্তান’ লেখা রয়েছে। খবর পেতেই বিএসএফের কর্তারা এসে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে ...

‘গুড মর্নিং, ‘গুড নাইট’ বার্তা এবং নিজের দিনভর কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট হয়েই চলেছে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দলের তরফে নির্দেশ ওই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হবে। ...

ট্রেনে চড়ে ২০০ কিলোমিটার উজিয়ে এসে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করল বিহারের শেখপুরের দুই সদ্য তরুণ।  অভিযোগ, পাঞ্চ, বেল্ট, লাঠি দিয়ে ১৪ বছরের নাবালককে মারধর করা হয়েছে। ...

হাওড়া স্টেশন থেকে ফোরশোর রোড ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের ছবি ও যাবতীয় তথ্য। একইসঙ্গে দেখা যায় হাওড়া শহরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর ছবিও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৭৫: নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয় দিল্লিতে
১৮৬০: ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির মৃত্যু
১৮৭৩: বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম
১৮৭৫: মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী
১৯১৮: বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের মৃত্যু
১৯১৯: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওমপ্রকাশের জন্ম
১৯৩৪: ভারতের ১২তম  ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের জন্ম
১৯৪০: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গোবিন্দ নিহলানির জন্ম
১৯৫৭: মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
১৯৬৯: ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়ার জন্ম
১৯৭০: অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের জন্ম
১৯৮২: টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩: ফিফার বিশ্বকাপ জুলে রিমে ট্রফি চুরি হল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.০৯ টাকা ৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৫ টাকা ১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৬ টাকা ৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৯/৩১, দিবা ১০/৩। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪৯/২৩ রাত্রি ২/০। সূর্যোদয় ৬/১৫/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৫২/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/১৫ মধ্যে।
৩ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১২/১১। অশ্লেষা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/১৮ মধ্যে। কালবেলা ২/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/১৫ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও

06:13:00 PM

আম্বেদকর ইস্যুতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সিপিএমের

06:07:00 PM

চাকরি বাতিল মামলা: সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ৭ জানুয়ারি

06:00:01 PM

সেন্ট জেভিয়ার্সে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:52:00 PM

চেন্নাইয়ের রাজভবনে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ ডোম্মারাজুকে শুভেচ্ছা জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি

05:45:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: খেলা হবে পাকিস্তানেই, ভারতের জন্য বরাদ্দ নিরপেক্ষ ভেন্যু, সিদ্ধান্ত আইসিসি-র

05:31:32 PM