Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। অর্থাৎ এই পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষই আছেন। একদল 
মানুষ কাজের থেকে বাজনা বাজান বেশি। ‘হ্যান করেঙ্গা, ত্যান করেঙ্গা’ বলে বাজার গরম করে প্রচারের আলো শুষে নিয়ে হাততালি কুড়োন। আর একদল নিঃশব্দে কাজের কাজ করে ফেলেন। তাঁরা প্রচারের বা হাততালির তোয়াক্কা করেন না। 
আমাদের দেশের পরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর তুল্যমূল্য বিচার করলে কবি হরিশচন্দ্র মিত্রের এই কবিতার লাইন দু’টি মনে আসবেই। 
দুই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রেখেছেন। প্রায় প্রশ্ন ওঠে— কে বড় প্রধানমন্ত্রী, মনমোহন না মোদি?  সম্প্রতি এই বিতর্কটা উস্কে দিয়েছেন জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন। কূটনৈতিক সম্পর্কের বাইরেও তাঁদের যে মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি, দেশ গঠনের রীতি, তা নিয়েও তাঁদের আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে মার্কেল একটা বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর সাম্প্রতিক ‘ফ্রিডম: মেমোয়ার্স ১৯৫১-২০২১’ বইতে। বিশ্লেষণটাকে তিনি একেবারে ভিতরের দিক থেকে ধরতে পেরেছেন। মনমোহন সম্পর্কে মার্কেল লিখেছেন, ‘তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী। দেশকে কী করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তিনি জানেন। সেই সঙ্গে তিনি উদার অর্থনীতির জনক। আধার, একশো দিনের কাজ সব তাঁর হাত ধরেই এসেছে। তাঁর কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে।’ আবার মোদি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি প্রচারসর্বস্বতায় বিশ্বাসী। আলোচনায় উনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারের কৌশল নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, মনমোহন সিং কাজই করে গেছেন, মার্কেটিং নয়।’ এটাকেই মোদি বনাম মনমোহনের মার্কশিট বলে বিবেচনা করা যেতেই পারে।      
হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দু’জনের মধ্যে অসংখ্য পার্থক্য রয়েছে। একজনের ভাবনার মধ্যে ছিলেন বর্ণ, ধর্ম, জাত, কুল নির্বিশেষে দেশের মানুষ। আর একজন হতে চান বিজেপি পন্থী হিন্দুদের প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকায় কাজের মধ্যে ফারাক আসা অনিবার্য। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশগঠনের সময় মনমোহনের ভাবনার মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ভীষণভাবে কার্যকর ছিল। গান্ধীজি বলেছিলেন, ‘সমস্ত দিক থেকে আমার ঘরে হাওয়া আসুক। কিন্তু সেই হাওয়া যেন আমাকে দিগভ্রষ্ট করতে না পারে।’ মনমোহন চেয়েছিলেন দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে সেই ‘হাওয়া’ পৌঁছে দিতে। একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, একজন পণ্ডিত মানুষ হিসাবে তিনি বুঝেছিলেন, উন্নয়নের প্রথম শর্ত হল, অর্থনীতির চাকাকে সক্রিয় রাখা। সেই কারণে তিনি চালু করেছিলেন একশো দিনের কাজ। মানুষের কাজের অধিকারকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের রোজগার নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। তাই সেই প্রকল্প দেশের অর্থনীতিতে জোয়ার এনেছিল। আর মোদি এসে সেই বিকাশের অস্ত্রে বিভেদের শান দিয়ে বসলেন। শুরু করলেন, আমরা বনাম তোমরার রাজনীতি। বারবার বুঝিয়ে দিলেন— বশংবদ হও, নাহলে তোমাদের ভাতে মারব। 
ভারতীয় অর্থনীতির একজন বড় জাদুকর হিসাবে মনমোহনের ধারে কাছে আমরা কাউকে ভাবতেই পারি না, তুলনা তো দূরের কথা। ভারতীয় অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তাকে শক্তিশালী করার কাজ তিনি শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও এক দশক আগে। ১৯৯১ সালে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মতো। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও বুঝেছিলেন, এ দেশে আছেন একমাত্র মানুষ, যিনি এই ডুবন্ত সময়ে দেশকে পুনরুদ্ধার করতে পারেন। তাই তিনি মনমোহনকে নিয়ে এসে দায়িত্ব দিলেন দেশের অর্থমন্ত্রীর। লাইসেন্স রাজ প্রথা তুলে দিয়ে দেশের বাণিজ্যে মনমোহন নিয়ে এলেন এক মুক্ত হাওয়া। বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে গেল হু হু করে। দেশের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও সেই অর্থনীতি উন্নতির পথে ছুটেছে তাঁরই নেতৃত্বে। ২০০৭ সালে ভারতের জিডিপি দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। তখন বিশ্বের দ্রুততম অর্থনৈতিক বিকাশের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়।
বিপরীত দিকে মোদি হেট স্পিচের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি গোধরা মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। এজন্য মনমোহন সিং মোদির তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘মোদিজিই প্রথম  প্রধানমন্ত্রী, যিনি পদের মর্যাদাকে এভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। সেই সঙ্গে পরিকল্পনাহীন এক ব্যবস্থা দেশকে ভয়ঙ্কর পথে পরিচালিত করছে।’
তবুও বারবার ‘আচ্ছে দিন’এর কথা বলে মোদিজি প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনি দেশকে ‘আচ্ছে দিনের’ মধ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু সেই ‘আচ্ছে দিন’ আসলে একটা হরর মুভি। একবার মোদি ক্যাবিনেটের মন্ত্রী  নীতিন গাদকারি বলেছিলেন, ‘এই যে আচ্ছে দিন শব্দটি মোদি ব্যবহার করেন, সেটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।’ সুতরাং শব্দটা তাঁর ধার করা।
মনমোহন সিংয়ের আমলে চালু হয়েছিল আরটিআই বা দেশের সাধারণ মানুষের তথ্য জানার অধিকার। সরকারি কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা আনাই ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু মোদির আমলে তার অনেকটাই অস্বচ্ছ হয়ে উঠেছে। আসলে আরটিআইতে জমা পড়া বেশ কিছু প্রশ্ন মোদিকে অপ্রস্তুতে ফেলে দিয়েছিল। যেমন, দিল্লির এক বাসিন্দা দেখতে চেয়েছিলেন মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র। এছাড়া নোট বাতিল সংক্রান্ত ব্যাপারে অনেকেই সরকারের কাছে নানা প্রশ্ন করেও উত্তর পাননি। আধার সংক্রান্ত ব্যাপারে নাগরিকদের গোপন তথ্য সরকার গোপন রাখতে পারছে না। বহু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের গোপন নথি অন্যের কাছে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ নিয়েও আরটিআই করেছেন। এসব ক্ষেত্রে উপযুক্ত জবাব মেলেনি। এখন আরটিআই নিয়ে কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন এলেই সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও নথি নেই। এমনকী কোভিডকালে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাও সরকার জানাতে অক্ষম। নির্বাচনী বন্ড থেকে প্রাপ্য টাকার ব্যাপার লুকোছাপা করতে চেয়েছিল সরকার। সুতরাং সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সম্প্রতি একটি নিবন্ধে ভারতীয় গণতন্ত্রের মুমূর্ষু অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ভারতীয় গণতন্ত্রের মধ্য থেকে জেগে উঠছে একটা স্বৈরতান্ত্রিক অবয়ব। সেখানে প্রধান হয়ে উঠছে বিদ্বেষ, হিংসা, বৈষম্য, উস্কানি। সর্বত্র ‘গোলি মারো শালোকো’র প্রচ্ছন্ন হুঙ্কার গণতন্ত্রকে ঠেলে দিচ্ছে গঙ্গাযাত্রার দিকে। আসলে মোদি সরকার দেশকে দু’টি ভাগে ভাগ করে ফেলেছেন। বিজেপি, অবিজেপি। অবিজেপি হলেই নানাভাবে তাকে অতিষ্ঠ করে তোলার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। নানা অজুহাতে পশ্চিমবঙ্গকে ভাতে মারার চেষ্টা করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার কারণ সুস্থ মানসিকতার বাঙালি মোদিজির নীতি ও মানসিকতাকে পছন্দ করেন না। তাই আক্রোশে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ মোদি নিজের গদি বাঁচাতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারকে ঢেলে টাকা দিচ্ছেন। সুযোগ বুঝে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার দুয়ে নিচ্ছেন।  এটা গণতন্ত্র নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এভাবে বঞ্চনা করা যায় না। কিন্তু সবক্ষেত্রে সংবিধানের মর্যাদা রক্ষিত হচ্ছে না।  
দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বারবার বলছেন, কেন দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ? কেন রেল অপুষ্টিতে আক্রান্ত? কেন দিনের পর দিন সরকারের ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে? কেন সরকারকে সব বেচে কোষাগার ভরার দিকে যেতে হচ্ছে? এত বক্তৃতা, এত নিজেকে জাহির করা, নিজেকে অবতার সাজানো বা অন্যদের নানাভাবে অপমানিত করার মধ্যে অন্তত সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায় না। এর পাশে মনমোহন সিং সত্যিই বেমানান। তাঁর শিক্ষা কখনও তাঁকে পাল্টা ঢিল মারতে প্রবৃত্ত করেনি। একদিকে মাসের পর মাস মন কি বাতের অসারতা, অন্যদিকে আত্মপ্রচার, সেই সঙ্গে বিদেশভ্রমণ। এর মধ্যেই ডুবে আছেন মোদি। এই আত্মপ্রচারের পাশে মনমোহন সিং সত্যিই বেমানান। বিজেপি নেতারা তাঁকে ‘মৌনী’ বলে কটাক্ষ করেন। উত্তরে মনমোহন বলেন, ‘আমার নীরবতার উত্তর থাকে আমার কাজের মধ্য দিয়ে।’ চাণক্য শ্লোকেই আছে, ‘স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে’। মোদি ও মনমোহনের মধ্যে এই পার্থক্যটুকু চিরকাল থেকেই যাবে।
মোদি এবং মনমোহনের তুল্যমূল্য বিচার ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দেশে শুরু হয়েছিল আগেই। এখন বিদেশেও শুরু হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়করা তাঁদের স্মৃতিকথায় এসব নিয়ে লিখতে শুরু করে দিয়েছেন। সেসব ক্রমশ প্রকাশ্য। ক্ষমতা থেকে যেদিন মোদি সরে যাবেন, তারপর থেকেই সমালোচনায় আরও বাড়বে। ইতিহাস বড় নির্মম ও নিরপেক্ষ! ‘গুণেতে হইলে বড়, বড় বলে সবে / বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।’
11th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
জ্ঞানবাপী: প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়েছে!
পি চিদম্বরম

অনেক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ছিল। বিলের খসড়া রচনা যাতে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ এবং স্বচ্ছ হয় তার জন্য আমি আইন মন্ত্রকের ড্রাফটসপার্সনদের সবসময় সহায়তা করেছি।
বিশদ

09th  December, 2024
নতুন বছরে বাংলার বদনাম করা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো’ মহামতি গোখলের এই উপলব্ধি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যাঁরা কথায় কথায় বাংলার বদনাম করেন, বিগত এক দশকের পিছিয়ে পড়ার আলোচনায় সান্ধ্য আড্ডায় ঝড় তোলেন, তাঁরাই আবার অন্যমুখে স্বীকার করেন, বিত্তশালী মহারাষ্ট্রের ভোটেও মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে স্কিম চালুর সাফল্যের কথা। বিশদ

08th  December, 2024
একনজরে
সোমবার সংসদে ‘প্যালেস্তাইন’ লেখা ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবিরও। সেই ইস্যুতে প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নিজেই সমালোচনার মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ...

হাওড়া স্টেশন থেকে ফোরশোর রোড ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের ছবি ও যাবতীয় তথ্য। একইসঙ্গে দেখা যায় হাওড়া শহরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর ছবিও। ...

জমির ধারে ডোবায় মর্টার শেল কুড়িয়ে পান দিনহাটার কৃষক হিতেন মোদক। মর্টারটির গায়ে ‘পাকিস্তান’ লেখা রয়েছে। খবর পেতেই বিএসএফের কর্তারা এসে সেটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে ...

‘গুড মর্নিং, ‘গুড নাইট’ বার্তা এবং নিজের দিনভর কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট হয়েই চলেছে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দলের তরফে নির্দেশ ওই গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৭৫: নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয় দিল্লিতে
১৮৬০: ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির মৃত্যু
১৮৭৩: বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম
১৮৭৫: মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী
১৯১৮: বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ করের মৃত্যু
১৯১৯: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওমপ্রকাশের জন্ম
১৯৩৪: ভারতের ১২তম  ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের জন্ম
১৯৪০: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গোবিন্দ নিহলানির জন্ম
১৯৫৭: মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু
১৯৬৯: ক্রিকেটার নয়ন মোঙ্গিয়ার জন্ম
১৯৭০: অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের জন্ম
১৯৮২: টলিউডের অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৮৩: ফিফার বিশ্বকাপ জুলে রিমে ট্রফি চুরি হল ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.০৯ টাকা ৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৫ টাকা ১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৬ টাকা ৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৯/৩১, দিবা ১০/৩। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪৯/২৩ রাত্রি ২/০। সূর্যোদয় ৬/১৫/১৫, সূর্যাস্ত ৪/৫২/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/১৫ মধ্যে।
৩ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১২/১১। অশ্লেষা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৩৭। সূর্যোদয় ৬/১৮, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/১৮ মধ্যে। কালবেলা ২/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/১৫ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও

06:13:00 PM

আম্বেদকর ইস্যুতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সিপিএমের

06:07:00 PM

চাকরি বাতিল মামলা: সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ৭ জানুয়ারি

06:00:01 PM

সেন্ট জেভিয়ার্সে বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:52:00 PM

চেন্নাইয়ের রাজভবনে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ ডোম্মারাজুকে শুভেচ্ছা জানালেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি

05:45:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: খেলা হবে পাকিস্তানেই, ভারতের জন্য বরাদ্দ নিরপেক্ষ ভেন্যু, সিদ্ধান্ত আইসিসি-র

05:31:32 PM