Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

আন্তর্জাতিক টার্মের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে ডিঙ্ক। অর্থাৎ DINK। এর অর্থ কী? ডাবল ইনকাম নো কিডস। বলা হচ্ছে দুটি জেনারেশন সম্পর্কে। জেনারেশন জেড (z)। যারা জন্মগ্রহণ করেছে ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। এবং জেনারেশন আলফা। যাদের জন্ম হচ্ছে ২০১০ সালের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়সীমায়। ‘ডাবল ইনকাম নো কিডস’ নীতি নিয়েছে গোটা বিশ্বের মতোই ভারতের এই জেনারেশনের শিক্ষিত নাগরিক যুবগোষ্ঠীর একাংশ। এবং এই সংখ্যা তথা প্রবণতা বাড়ছে।  অর্থাৎ তারা বিবাহ করতেও পারে, নাও পারে। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই অবশ্য আয় করবে এবং নীতিগতভাবে কোনও সন্তান গ্রহণ করবে না। অতএব নীতি হল ‘ডাবল ইনকাম নো কিডস’। তাই সংক্ষেপে এদের নীতিকে বলা হয়ে থাকে ডিঙ্ক। 
জেনারেশন আলফা আগামী দিনে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হবে।  ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই জেনারেশনের সঙ্গে তাবৎ পূর্বজদের প্রধান পার্থক্য হল, একমাত্র এই আলফা জেনারেশন সম্পূর্ণ ডিজিটাল যুগে জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেই যুগেই বসবাস করবে আজীবন। অর্থাৎ মোবাইল, ইন্টারনেট, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স—মানবসভ্যতার প্রধান তিন ডিজিটাল চালিকাশক্তির মধ্যেই আবর্তিত এদের জীবন। 
এই যে দুই জেনারেশনের সিংহভাগ নাগরিকের মধ্যে শিক্ষিত অংশের সন্তান গ্রহণ না করার এমন নীতি ভারত এবং বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রের সরকারগুলির কাছে এখন অন্যতম প্রধান সঙ্কট। এই জেনারেশনের একাংশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন? একাধিক কারণ। প্রধানত তারা সন্তান পালনের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গ পালন করতে পারবে না বলে নিজেরাই মনে করছে। অর্থাৎ সেই ক্ষমতা ও যোগ্যতা তাদের নেই। সেই সময় ও প্যাশনও নেই। নিজেদের আয় ও পেশাকে বিপদ অথবা অনিশ্চয়তায় ফেলতে চায় না তারা। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে কেন একটি জীবনকে নষ্ট করবে? তাই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু অন্যতম একটি কারণ হল, চাকরি বা আয়ের অনিশ্চয়তা। আজকাল বেসরকারি সেক্টরে কতদিন কার চাকরি থাকবে এবং থাকবে না, সেটা কেউ জানে না। তাই ওই অনিশ্চয়তায় তারা সন্তানকে আনতে চায় না। 
বিশ্বের কাছে এই প্রবণতা অবশ্যই উদ্বেগজনক বার্তা। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনকভাবে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। জাপানের জনসংখ্যা বিগত ১৫ বছর ধরে নেগেটিভ গ্রোথ। অর্থাৎ কমে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে তাদের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮০ লক্ষ। ২০২৩ সালে জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৫ লক্ষ। মাত্র একটি বছরে, ২০২২ সালে জাপানের জনসংখ্যা ৫ লক্ষ কমে গিয়েছে।
২০১৭ সালে ইতালির জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ কোটি। এই শতাব্দীর শেষে ইতালির জনসংখ্যা ২ কোটি ৮০ লক্ষ হয়ে যাবে। চীনের জনসংখ্যা আর পাঁচ বছর পর হবে ১৪০ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে চীনের জনসংখ্যা হবে ৭৩ কোটি। ল্যানসেট স্টাডি থেকে জনসংখ্যার বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস পাওয়া যায়। আর পাওয়া যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিভাগ থেকে। 
ইরান থেকে ব্রাজিল। জার্মানি থেকে ব্রিটেন। এবং আমেরিকা। বিশ্বের সর্বত্র কমছে জনসংখ্যা। আমরা ভারতের বাসিন্দা। আমাদের উদ্বেগ তো হওয়ার কথা প্রবল জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়েই। একেবারেই ঠিক। কিন্তু এখানেই সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ভারতও। কারণ, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছে। 
স্বাধীনতার পর প্রথম ৩০ বছরে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল জনসংখ্যা। কিন্তু ১৯৮০ সাল থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। সেটাও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ২০২০ সালের বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বকালীন রেকর্ড হারে কম। অর্থাৎ জনসংখ্যা বাড়ছে বটে, কিন্তু বেড়ে যাওয়ার যে হার, সেটা সর্বনিম্ন। এই নিম্নতম হওয়ার রেকর্ড ক্রমেই আগামী দিনে আরও ভেঙে যাবে। আর তার পরিণতি কী? রাষ্ট্রসঙ্ঘের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৭৩ কোটি। এবং সেই দশক থেকে ভারতের জনসংখ্যা কমতে থাকবে। অর্থাৎ নেগেটিভ গ্রোথে ঢুকে পড়বে ভারতও।
কেন কমে যায় জনসংখ্যা? প্রধান কারণ টিএফআর কমে যাওয়া। অর্থাৎ টোটাল ফার্টিলিটি রেট ক্রমশই কম হওয়া। কাকে বলে টোটাল ফার্টিলিটি রেট? একজন মহিলার সারাজীবনে যতগুলি সন্তান হয় এবং জীবিত থাকে, সেটাই টিএফআর। এভাবেই তৈরি হয় দেশ অথবা রাজ্যের গড় টিএফআর। বিশ্বের সব দেশের মতোই ভারতের টিএফআর দ্রুত কমছে। সিকিম অথবা আন্দামানের মতো কিছু রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বাদ দিলে বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে কম টিএফআর কোন রাজ্যের? অর্থাৎ কোন রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধিহার সবথেকে কম? পশ্চিমবঙ্গ! মাত্র ১.৬০। 
জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকে যদি টিএফআর ২.১ পয়েন্টের উপরে থাকে। একে বলা হয় রিপ্লেসমেন্ট ফার্টিলিটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণ ভারতের তাবৎ রাজ্য এবং পশ্চিম ভারতেও কিছু রাজ্যের টিএফআর ২ পয়েন্টের নীচে। গড়ে ভারতের জনসংখ্যা রিপ্লেসমেন্ট ফার্টিলিটির নীচে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর যত সন্তান ভারতে জন্মগ্রহণ করছে সেই সংখ্যা ক্রমেই কমছে। ২১০০ সালেও ভারত থেকে যাবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশ। কিন্তু ভারতের জনসংখ্যা সেই সময় হবে ১১০ কোটি। এরকমই পূর্বাভাস। 
ইংরাজিতে একটি টার্ম রয়েছে। শ্রিংকিং সিটিজ (shrinking cities)। অর্থাৎ যে সব শহরের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বহু জনপদ আছে যেখানে সামান্য কিছু বাসিন্দা আছে। মাইগ্রেশন অন্যতম কারণ। অর্থাৎ অন্যত্র চলে যাওয়া এবং জন্মহার কমে যাওয়া। এই তালিকার প্রথম নামটি কী? নাগাসাকি। আমেরিকা বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী। তার বহু আগেই এই শহরে আণবিক বোমা ফেলে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে এই শহর থাকার দরকার নেই। নাগাসাকি সেই চরম দুঃসহ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অথচ তাদের ভাগ্যেই রয়েছে শূন্য শহর হয়ে যাওয়া ক্রমে। ভারতে উল্লেখযোগ্য শ্রিংকিং সিটির তালিকায় অনেক পিছনে হলেও রয়েছে কলকাতা, মুম্বই, কোচি, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, চেন্নাই। সবথেকে বেশি জনসংখ্যা কমছে মাদুরাইতে। 
আর ঠিক এই সময়কালে একটি তথ্য ও পরিসংখ্যান এসে সব হিসেব গুলিয়ে দিয়েছে। শিশুমৃত্যুর হিসেব। শিশুজন্মের হার যেখানে ক্রমশই কমছে, সেখানে ভারত নামক রাষ্ট্র এখনও অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যুর রেকর্ড করছে বিশ্বে। ২০২১ সালে শুধু এক বছরে ভারতে ৭০ হাজার শিশুর প্রত্যক্ষ মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টির কারণে। প্রত্যক্ষ মৃত্যু মানে কী? মানে হল, অপুষ্টিতেই মৃত্যু। ওজন কম, পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়া, সব রকম ভিটামিন ও জিঙ্কের অভাব এবং মায়ের দুধ না পাওয়া ইত্যাদি। গোটা বিশ্বে ওই বছরে ২০ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল অপুষ্টিতে। সেখানে ভারতে ৭০ হাজারের বেশি অপুষ্টিমৃত্যু চরম বিপদসংকেত! 
সবথেকে বেশি শিশুমৃত্যু কী কারণে হয়? আন্ডারওয়েট। অর্থাৎ কম ওজন। কেন? মায়ের শরীরে পুষ্টি না থাকা। মা পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। তাই সন্তানের মৃত্যু হয়। এবং সংক্রমণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মের সময়ই কম থাকা। সেটাও মায়ের অপুষ্টির কারণে। 
আমরা যে যেখানেই থাকি, আমাদের আশপাশে শেষ কবে দেখেছি সম্পূর্ণ নতুন একটি সরকারি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে? শিক্ষা ও স্বাস্থ্য তো কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ তালিকাভুক্ত। তাহলে যে কোনও রাজ্যে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল কিংবা কেন্দ্রীয় স্কুল এত কম কেন? বাংলায় ক’টা কেন্দ্রীয় হাসপাতাল আছে? শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ শ্বাসকষ্ট। করোনাকালে বলা হয়েছিল রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। কতগুলো অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে? 
ভারতে  ১ হাজার শিশুর জন্ম হলে ২৬ জনের গড়ে মৃত্যু হয়। সবথেকে বেশি শিশুমৃত্যুর হার গ্রামীণ ভারতে। জন্মহার কমছে। সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই বিতর্ক ও জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। 
কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
20th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৭ মিনিট)

07:37:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, উপস্থিত রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার

07:34:00 PM

কুয়েতের শেখ সাদ আল আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

07:32:00 PM

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারে ৯৪ লক্ষ পরিবারের আয় ৬ হাজার টাকার কম, কাটিহারে বললেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব

07:30:00 PM