কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে নেপাল ও ভুটান অন্যতম। ‘চিকেন নেক’ শিলিগুড়ি থেকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির দূরত্ব খুব বেশি নয়। দু’টি সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে এসএসবি। নেপাল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭৫১ কিমি। আর ভুটান সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৪৯ কিমি। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়ায় দুই সীমান্তই উন্মুক্ত। যার জেরে সীমান্তগুলি স্পর্শকাতর। দু’টি সীমান্তই মাদক পাচারকারী, জঙ্গি ও জেহাদি সংগঠন, মানব পাচারকারীদের টার্গেট। এমনকী, চীনেরও নজর রয়েছে সীমান্তগুলিতে। ইতিমধ্যে চীনের গুপ্তচর সন্দেহে সীমান্তগুলি থেকে বেশ কয়েকজন ধরাও পড়েছে। সমগ্র পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর এসএসবি।
এদিন রানিডাঙায় প্রতিষ্ঠা দিবসের স্বাগত ভাষণে এসএসবি’র ডিজি বলেন, চোরাচালান, মাদক কারবার সহ দেশ বিরোধী কার্যকলাপ রুখতে নেপাল ও ভুটান সীমান্তে সর্বদা সতর্ক রয়েছে এসএসবি জওয়ানরা। উন্মুক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে সুষ্ঠুমতো নজরদারি চালানো অনেকটাই কঠিন। এজন্য ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এটা পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু করা হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে দুই সীমান্তে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা। যার ফুটেজ নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে। সীমান্তে নজরদারি ও তল্লাশি চালাতে আরও কিছু অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি শুরু হয়েছে বেশকিছু দিন আগে। এবার সেই পথে নেপাল ও ভুটান সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে এসএসবি। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সির একাংশ জানিয়েছে, ‘চিকেন নেক’ শিলিগুড়ির সুরক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে এসএসবি।
অন্যদিকে, নেপাল ও ভুটান সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা। ডিজি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতো নেশামুক্ত সমাজ গড়তে সর্বদা সচেষ্ট এসএসবি। একবছরে ১৬ হাজার কেজি মাদক, দু’লক্ষ নেশার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় তিনহাজার একর জমির গাঁজা এবং আফিম গাছ নষ্ট করা হয়েছে। মাদকাসক্ত প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে মূলস্রোতে ফেরানো হয়েছে। একবছরে মানবপাচারের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০১ জনকে। মানবপাচারের অভিযোগে ১৮৩ জনকে ধরা হয়েছে।
তাছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ে নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি নকশালমুক্ত করা হবে।