কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন মনমোহন সিং। পরের বছর ২৫ জুন একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন তিনি। পরিবারের সদস্য রাজেন্দ্র সিং সাইনির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল সেদিন। রাসবিহারী মোড়ের গুরুদ্বার ‘জগৎ সুধার’-এ আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। আগে থেকেই তিনি নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন, তাঁকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনে হইচই বা জমায়েত যেন না হয়। কোনওরকম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না করে দিয়েছিলেন আগেই। ওই দিন ‘জগৎ সুধার’-এ দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই পুরো সময় কাটিয়েছেন। যোগ দিয়েছিলেন শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, কীর্তনে। তারপর লঙ্গরে অংশ নেন। সবার সঙ্গে খেয়েছিলেন চাপাটি, ডাল, সব্জি। ওই অনুষ্ঠান সেরে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। পরিবারের বাইরে আর কারও সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেননি সেবার। মনমোহন সিংয়ের ভাগ্নে সুখবীর সাইনি বলেন, ‘মামা কতটা ফ্যামিলি ম্যান হতে পারেন, সেদিন টের পেয়েছিলাম। গুরুদ্বারে সবার সঙ্গে নিজের মতো করে মিশে গিয়েছিলেন। আমাদের মধ্যে তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেশেননি। আগে থেকেই উনি বলে দিয়েছিলেন, কোনওরকম প্রচার যেন না হয়। এমনকী, ছবি তোলাও বারণ ছিল।’ মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাসবিহারী মোড়ের সেই গুরুদ্বার। শুক্রবার সেখানে সবার মধ্যে যাবতীয় আলোচনা তাঁকে নিয়েই। যেদিন তিনি এখানে এসেছিলেন, কী করেছিলেন, কোথায় বসেছিলেন, কী বলেছিলেন—সেসব নিয়েই চলছে চর্চা।