Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় লি-আয়ন। ভারতসহ গোটা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান বিক্রির চাহিদা বাড়ছে কোন ভোগপণ্যটির? এয়ারকন্ডিশনিং মেশিন। কারণ বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই আজকাল মধ্যবিত্ত ছাপিয়ে নিম্নবিত্তের অন্যতম উইশলিস্ট হল একটি এসি কেনা। 
এইসব তাবৎ চাহিদা মেটানোর জন্য যা কাঁচামাল দরকার, সেই খনিজ পদার্থগুলি কোথা থেকে আসে? পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে। এবার  ভাবা যাক যে, পৃথিবীর কোন কোন দেশে সারা বছর ধরে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষ অথবা সন্ত্রাস লেগেই থাকে? উত্তর হল, ঠিক ওই পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিতে। 
এই যে আমরা দেখতে পাই সিরিয়া থেকে লেবানন। ইয়েমেন থেকে সুদান। কঙ্গো অথবা নাইজিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছে অস্থিরতা, এর প্রকৃত কারণ কি সুস্থ ও স্বাভাবিক কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার লড়াই? একেবারেই নয়। আসল অথবা নকল যুদ্ধের আড়ালে একটি অন্য যুদ্ধ রয়েছে। সেটি হল আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বহুজাতিকগুলির খনি দখলের প্রতিযোগিতা। যে কারণে এত গোপন যুদ্ধ, তাকে বলা হয় ক্রিটিকাল মিনারেলস। কী কী আছে এই তালিকায়? লিথিয়াম, ব্যাটারি নির্মাণের জন্য। প্ল্যাটিনাম, ফুয়েল সেলের জন্য। তামা ও বক্সাইট। এবং  অ্যালুমিনিয়াম। 
সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকলের জন্য কী কী দরকার? লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট, গ্রাফাইট, তামা, অ্যালুমিনিয়াম। ইলেকট্রিক ভেহিকল অর্থাৎ যে গাড়ি বিদ্যুতে চলে, সেই গাড়ির প্রযুক্তি কাঠামোয় সাধারণ গাড়ির তুলনায় ৬ গুন খনিজ পদার্থজাত কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। তাই এইসব খনিজের চাহিদা আকাশছোঁয়া হচ্ছে। 
বিশ্বের ৬০ শতাংশ কোবাল্ট সাপ্লাই কে করেছে ২০১৯ সালে? কঙ্গো। চাহিদা কমে না। অথচ কঙ্গোর খাদ্যসঙ্কটও মেটে না। বিদ্রোহও কমে না। সিয়োরা লিওন এবং ভেনিজুয়েলায় অস্থিরতা কমে না। কারণ কী? কারণ এখানেই পাওয়া যায় চারটি দুর্মূল্য ধাতু। যাদের আজকাল নাম দেওয়া হয়েছে কনফ্লিক্ট মিনারেলস। কনফ্লিক্ট মিনারেলস তাদেরই বলা হয়, যাদের উৎপাদন হয় সেইসব দেশে, যেখানে সারাক্ষণ যুদ্ধ গৃহযুদ্ধ রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্রোহ গণঅভ্যুত্থান লেগেই থাকে। সেইসব দেশের ওই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে যে খনিজগুলি আন্তর্জাতিক কর্পোরেট নিয়ম করে সংগ্রহ করে, তাদের বলা হয় কনফ্লিক্ট মিনারেলস।
ট্যান্টালাম, টংস্টেন, টিন এবং সোনা। বিশ্বে সবথেকে বেশি কনফ্লিক্ট মিনারেলস এই চারটি। মোবাইল ফোনে প্রয়োজন হয় ট্যান্টালাম। গাড়ি তৈরিতে টিন। টংস্টেন ইলেকট্রিক বাল্ব এবং সোলারে। কঙ্গো আন্তর্জাতিক আদালতে কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে অস্থিরতার সুযোগে খনিজ আত্মসাৎ করার? বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান যে মোবাইল ব্র্যান্ড, সেই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে। 
এই যে সোলার এনার্জি, ইলেকট্রিক ভেহিকল, মোবাইল নির্মাণের জন্য যা যা খনিজ দরকার হয় অথবা সামগ্রিকভাবে ক্রিটিকাল মিনারেলস সংগ্রহ ও সাপ্লাইয়ের সবথেকে বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা কোন কোন দেশের। প্রথম তিন দেশ হল, কানাডা, আমেরিকা এবং চীন। চীনের সঙ্গে ভারত সর্বদাই কোথায় পিছিয়ে পড়ছে? আগাম পরিকল্পনায়। গত সপ্তাহে জাপান থেকে একটি সংবাদ এসেছে। হন্ডা, নিশান, মিৎসুবিসি এই তিন গাড়ি কোম্পানি সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সব ব্র্যান্ড একটিই কোম্পানির আওতায় হবে। কারণ কী? কারণ চীন গাড়ি সাপ্লাইয়ে জাপানকে হারিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে চীন আচমকা দুটি বিষয়ে আগ্রাসী হয়ে ঝাঁপিয়েছে। ইলেকট্রিক ভেহিকল এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। জাপান এই দুই ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছে। সোলার এনার্জির জন্য যে খনিজ দরকার সেটায় সৌদি আরবের কোম্পানিগুলি এগিয়ে। চীন দ্রুত তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে।
পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার যেখানে যেখানে যুদ্ধ, বিদ্রোহ, গৃহযুদ্ধ এবং অভ্যুত্থান চলে, অনাহার চলে, দুর্ভিক্ষ হয়, তার প্রত্যেকটির মাটির নীচে দুর্মূল্য ধাতু আছে। সেটা আত্মসাৎ করাই আন্তর্জাতিক কর্পোরেটের লক্ষ্য। ওদের সহকারী তাদের দেশ। আর তাই আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই অস্থিরতা ও যুদ্ধ জিইয়ে রাখে। কিছুতেই শান্তি আনতে দেয় না। নয়তো যে দেশগুলিতে খাদ্য ও জীবিকাসঙ্কট প্রবল, সেখানে আধুনিক অস্ত্রের অবাধ সাপ্লাই বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আসে কীভাবে? কারা জোগায়? 
আসল যুদ্ধ, নকল যুদ্ধ, আসল শান্তি, নকল শান্তি, সবকিছুর পিছনে আসলে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্বার্থ। চীন, কানাডা, আমেরিকা, সৌদি আরব, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই কারণে লি-আয়ন এবং তাবৎ ক্রিটিকাল মিনারেলসের দখল নিতে। কারণ আগামী বিশ্বের সবথেকে চাহিদা এসবই। লি-আয়নের চাহিদা ৩৩ শতাংশ বেড়ে যাবে ২০৩০ সালে। ম্যাকিনসের সমীক্ষায় একথা বলা হয়েছে। তাই এই প্রতিযোগিতা। কারণ কার্বনহীন গ্রিন ক্লাইমেট আগামী দিনের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে। অর্থাৎ দূষণহীন অর্থনীতি। আর সেই কারণেই ইলেকট্রিক ভেহিকল এবং সোলার এনার্জির ডিমান্ড বাড়ছে। তাই বাড়ছে খনিজ চাহিদা। 
এই যে এতক্ষণ যা যা আলোচনা করা হল, এর কারণ কী? কারণ হল একটি প্রশ্ন। এই যেখানে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপথ, সেখানে ভারত ২০২৪ সালে ঠিক কী কী করেছে? কিছুই না। ভারতের কোনও সংস্থা এসব বাণিজ্যে সামান্য পা রাখতেই পারেনি। ভারত সরকারের যারা নীতি নির্ধারক, তারা সবথেকে যা ভালোবাসে, তা হল, গালভরা বাণী দেওয়া। ভাষণ দেওয়া। বক্তৃতা দেওয়া। বিশ্ববাণিজ্যের ভবিষ্যৎ অভিমুখ, আধুনিক প্রযুক্তির পূর্বাভাস, সেটা আগাম আঁচ করে দ্রুত অন্য দেশগুলিকে পিছনে ফেলে কোনও একটি সেক্টরে এক নম্বর হওয়ার দৌড়ে শামিল হওয়ার চেষ্টা এবং ক্রমেই প্রধান উৎপাদক, সাপ্লাইকারী কিংবা ব্র্যান্ডভ্যালু নির্মাণ করা, এসব থেকে ভারত সরকার বহু দূরে। 
ভারত সরকার যে এসব পারবে না এবং ভারত যে এভাবেই  আন্তর্জাতিক এই দুর্দান্ত অর্থনৈতিক দাবাখেলায় ফর্মুলা ওয়ানের মতো রুদ্ধশ্বাস বাণিজ্যরেসের দর্শক হয়েই থেকে যাবে সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, যে দেশে ২০২৪ সালেও কোন মসজিদের নীচে ৮০০ বছর আগে মন্দির ছিল, কে কোন মাংস খাবে, দেশের রাষ্ট্রভাষা কী হওয়া উচিত, স্কুলে স্কুলে হানা দিয়ে দেখা হবে শিশুদের মধ্যে রোহিঙ্গা মিশে নেই তো, বাবাসাহেব আম্বেদকরের বন্দনা করাকে ফ্যাশন আখ্যা দেওয়া, লবণ যুক্ত হলে পপকর্নে জিএসটি বেশি ইত্যাদি আশ্চর্য এবং অপরিণতমনস্ক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কালচার চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেই দেশ নতুন পৃথিবীর সঙ্গে লড়বে কীভাবে? 
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ প্রতিবেশী ভূমিখণ্ডে এখন ক্রমবর্ধমান ভাঙনের শব্দ। ইওরোপ থেকে আসছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অস্থিরতার বার্তা। সুপ্রাচীন পশ্চিম এশিয়া ধ্বংসপ্রায়। আমাদের দরকার আরও বেশি করে ঐক্য ও বুদ্ধির সংমিশ্রণে আরও শক্তিশালী হওয়া। অথচ ঠিক এই দুটিরই অভাব। ঐক্য ও বুদ্ধি। এরকম একটি নিশ্ছিদ্র সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতন্ত্রের ঐতিহ্য পৃথিবীর কোনও দেশের নেই।
আমাদের সূক্ষ্মভাবে ভাবা উচিত, ঠিক যে দেশগুলি পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে প্রাচীন, শিক্ষিত এবং সভ্য ছিল, সেই দেশগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে চিরঅস্থির করে দেওয়ার জন্য। মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন, গ্রিস...। এইসব রাষ্ট্র সঙ্কটে। 
আন্তর্জাতিক চক্রান্তের পরবর্তী টার্গেট সিন্ধু সভ্যতার এই মহাপ্রাচীন ভারত নামক ভূমিখণ্ড যে হবে না এটা কে বলল? ভারতকে অস্থির করার গোপন পরিকল্পনা যে চলছে না সেটারই বা নিশ্চয়তা কী? সেটা প্রতিরোধ করার জন্য জাতি-ধর্ম-ভাষা নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতকে আবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কী করা উচিত? ভারতের বিপুল জনসংখ্যা। বিরাট অংশ ইংলিশ স্পিকিং। গণতন্ত্র বজায় আছে। মহিলা ওয়ার্ক ফোর্স সবথেকে বেশি। আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষিত যুবসংখ্যা বিশ্বের সবথেকে বেশি। এতসব ইতিবাচক ফ্যাক্টর আর কোথাও নেই। 
২০২৫ সালে বাকি সব অপরিণতমনস্ক এবং অপ্র঩য়োজনীয় ইস্যু পরিত্যাগ করে রাষ্ট্র পরিচালকরা এটা কি ভাববেন? এই কিন্তু শেষ সুযোগ। এরপর আধুনিক পৃথিবী অনেক এগিয়ে যাবে! 
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
একনজরে
প্রায় ৮৭ হাজার দর্শক সকাল সকাল ভিড় জমিয়েছেন এমসিজ’র গ্যালারিতে। তাঁদের লক্ষ্য একটাই, চতুর্থ টেস্টে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ধন্ধুমার ক্রিকেটের উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা। বক্সিং ডে ...

মালদহের গাজোলের পাণ্ডুয়া সার্কেলের ফুলবাড়ি সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর পর দু’দিন রান্না হল না মিড ডে মিল। ...

বাংলার বাড়ি নিয়ে আগেই জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। যদি কোনও ব্যক্তি উপভোক্তাদের থেকে টাকা চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে একেবারে এফআইআর দায়ের করে কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। ...

হিন্দুদের পর ওপার বাংলায় এবার টার্গেট আরও এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়—খ্রিস্টান! বড়দিনেই মৌলবাদীদের রোষে পুড়ল বান্দরবানের খ্রিস্টানপাড়া। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কমপক্ষে ১৯টি বাড়িতে। ফলে শীতের মরশুমে একেবারে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে পরিবারগুলিকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৭- উর্দু কবি মির্জা গালিবের জন্ম
১৮২২- জীবাণুতত্ত্ববিদ লুই পাস্তুরের জন্ম
১৮২৫- ইংল্যান্ডে তৈরি স্টিম ইঞ্জিন রেলপথে চলাচল শুরু করে
১৮৩১ - চার্লস ডারউইন বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা করেন
১৮৭১- প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়
১৯১১- "জন গণ মন", ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, প্রথম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা সেশন মধ্যে গাওয়া হয়
১৯১৫- শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৩০ -  শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী মালবিকা কাননের জন্ম
১৯৩২ – গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৫- বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৫- অভিনেতা সলমন খানের জন্ম
১৯৭৫- চাসনালা খনি দুর্ঘটনায় মৃত ৩৭২ শ্রমিক
১৯৮৮ - রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একাদশ অধ্যক্ষ স্বামী গম্ভীরানন্দের প্রয়াণ
১৯৯২ – কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী,সুরকার তথা সঙ্গীত নির্দেশক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের মৃত্যু
২০০৭- পাকিস্তানের একাদশ প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যু
২০১০ - থিয়েটার অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৪৩ টাকা ৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩৫/২৫ রাত্রি ৮/২৯। সূর্যোদয় ৬/১৯/৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫ গতে ৯/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ৩/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে।
১১ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১/৩৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ৮/২১। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/০ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
২৪ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মহামেডান ০-ওড়িশা ০ (৮৮ মিনিট)

09:17:00 PM

গ্রেপ্তার আন্তঃরাজ্য অস্ত্রপাচার চক্রের এক চক্রী
গতকাল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে ...বিশদ

08:58:00 PM

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাড়ি থেকে বেরোলেন রামনাথ কোবিন্দ

08:41:00 PM

অন্তর্ঘাতের কারণে কাজাখস্তানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল যাত্রীবাহী বিমানটি, জানাল আজারবাইজান এয়ারলাইন্স

08:37:42 PM

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল

08:25:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-ওড়িশা ০ (হাফটাইম)

08:25:00 PM