Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত। স্পষ্ট হয়ে যায়, সবটাই রাজনীতির প্রয়োজনে এবং সঙ্ঘের গোপন এজেন্ডা চরিতার্থ করতে। তার জন্যই কংগ্রেসের হাতে উপেক্ষিত এক একটি অবহেলিত চরিত্রকে টেনে এনে এমন অতিনাটকীয় আক্ষেপের আয়োজন! আম্বেদকর, নেতাজি, সর্দার প্যাটেল কেউ এর বাইরে নন! সম্মান প্রদর্শনের এলাহি নাটক 
শুধু ভোটের জন্য জনগণকে বোকা বানাতে। 
আমরা কত উদার, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদে। গেরুয়া আকাশে আসল নেতা ঘুরেফিরে সেই ‘ওনলি সাভারকরই’! কে না জানে সঙ্ঘ 
চলে তার নিজস্ব সংবিধান মেনে। বিভাজন, সাম্প্রদায়িকতা এবং হিন্দুত্বই যার শুরু ও শেষ কথা। বাকি এক পোয়া ভড়ংবাজি!
কিন্তু সংবিধানের মন্দিরে, ধাক্কাধাক্কি-রক্তপাত? এও মানা যায়! একটা বিতর্ক, একরাশ উতোর চাপান। ইতিহাস খুঁড়ে তোপ, পাল্টা তোপ। দু’পক্ষেরই প্রকৃত সংবিধানবন্ধু সাজার ক্লান্তিকর প্রতিযোগিতা। সংসদের বহু কোটি টাকা মূল্যের সময় খরচ। শেষে প্রত্যাশামতোই যোগফল শূন্য। বিতর্কের কেন্দ্রে যিনি সেই আম্বেদকর সাহেবের নাম বার বার উচ্চারণ করাকে ‘ফ্যাশন’ বলে বক্রোক্তি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের! আগুনে ঘি দেওয়ার মতোই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইস্তফা দাবি সম্মিলিত বিরোধীদের। চুলচেরা লড়াইয়ে কম যায় না প্রতিপক্ষও। রাহুল গান্ধীর সাদা টি শার্ট পর্যন্ত নিমেষে বদলে গেল আম্বেদকর ঘেঁষা নীলের উজ্জ্বল আতিশয্যে। আগে থেকেই সব যেন মাপ করে বানানো। এবার ক্লাইম্যাক্স। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন সংসদ ভবন চত্বরে ঠেলাঠেলি, রক্তপাত, মায় থানা পুলিস পর্যন্ত। দু’পক্ষের নেতারাই ছুটছেন পার্লামেন্ট থানায়। পুরনো নেতারাই শুধু ব্রাত্য নন, ব্রাত্য সৌজন্য, শিষ্টাচার এবং পারস্পরিক বিশ্বাস। কেসটা স্পিকারের হাতেও কি আছে? অপরাধ শাখার তদন্ত কি রাহুল গান্ধীকে নতুন করে সমস্যায় ফেলবে? এসবই ভবিষ্যৎ বলবে! 
মধ্যিখানে নিট ফল একটাই, সংবিধান ও তাঁর প্রণেতা এবারও সম্মান পেলেন না। আম্বেদকরজির বিদেহী আত্মা মকর দ্বার পেরিয়ে চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কতটা বিলাপ করছেন, তা বলতে পারব না। তবে একথা নিশ্চিত, এবারও বসন্ত গেল প্রকৃত মূল্যায়ন হল না ওই পবিত্র কিতাবের! দুঃখ উপশমও কি হল আমাদের? মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং নিত্যদিনের জীবন যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট সাধারণ মানুষের? যাঁদের বেঁচে থাকা শুধু বিস্ফারিত চোখে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ফুলে ফেঁপে নেপোয় মারে দই প্রত্যক্ষ করার জন্য!
৭৫ বছর ধরে দেশ চালনার পবিত্র পথ প্রদর্শক ভারতীয় সংবিধান। কিন্তু এক দেশ এক ভোট নিয়ে মাতামাতি প্রকৃত সমস্যা থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই। মধ্যিখানে সংসদের মূল্যবান সময় শুধু নষ্ট হল। যার প্রতি মিনিটের মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ঘণ্টায় দেড় কোটি টাকা। ইতিহাসই সাক্ষী, জীবিত অবস্থাতেই পদে পদে অপমানিত হয়েছেন দলিত নেতা, পিছড়ে বর্গের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব বি আর আম্বেদকর। তাঁর নাম ও কাজের সঙ্গে সংবিধান প্রায় সমার্থক। অথচ প্রাপ্য গুরুত্ব ও সম্মানটুকুও জোটেনি জীবদ্দশায়। সেই অভিমানেই কি তিনি মাঝপথে ইস্তফা দিয়েছিলেন নেহরু মন্ত্রিসভা থেকে, তা আজও রহস্য! পদে পদে অবহেলিত হলেও তাঁর প্রণীত সংবিধানকে বুকে করেই দেশ চলেছে টানা ৭৫ বছর। যুদ্ধ, জরুরি অবস্থা, আর্থিক সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধি, মহামারী, নতুন অর্থনীতির যাত্রা কিংবা থমকে যাওয়া, যুযুধান বিতর্ক যেমন হয়েছে, তেমনি নেমে এসেছে আক্রমণও। শতাধিক সংশোধন আনা হয়েছে। কিন্তু আজও তাকে অস্বীকার করার সাহস কেউ দেখাতে পারেনি। ঝাঁ চকচকে সংসদে ফাঁকা কিতাবই হোক কিংবা রাষ্ট্রের বিবেকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পথনির্দেশ, বারে বারে আলো ছড়িয়েছে আম্বেদকরের ‘ম্যাগনাম ওপাস’। 
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার যেন সব বাঁধ ভাঙল। আগের দিন অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল পার্লামেন্ট। আর পরদিন সংসদ শুধু উত্তপ্তই হল না, রক্তাক্তও হল। প্রতাপ ষড়ঙ্গী কিংবা মুকেশ রাজপুতের সঙ্গেই জখম হল সংসদীয় রাজনীতির আবেগ, ঐতিহ্য এবং পরম্পরা। জখমদের একজনের বয়স ৬৯। অন্যজন ৫৬। দু’জনেই প্রবীণ। আহত হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। ঠেলাঠেলি ও মারার অভিযোগ উঠল স্বয়ং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। নাগাল্যান্ডের মহিলা এমপি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগ ও ইঙ্গিত করলেন। এমনকী সোনিয়াপুত্রের বিরুদ্ধে প্রাণে মারা চেষ্টর ধারা যুক্ত করার চেষ্টাও চলল দিনভর। যদিও শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট পুলিস স্টেশন সেই ১০৯ নম্বর ধারা বাতিল করে স্বস্তি দেয় রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, অমিত শাহের আম্বেদকর বিরোধী মন্তব্য থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পরিকল্পিত হাঙ্গামা পাকিয়েছে বিজেপিই। অমিত শাহকে বাঁচাতেই নাকি এই ধাক্কাধাক্কি নাটকের অবতারণা। এসবই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। 
এর সত্যাসত্য কোনওদিন জানা যায় না।  বোফর্স থেকে রাফাল, একই ট্র্যাডিশন সমানে চলে। 
চলতে থাকে।
আলোচনার কথা ছিল সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি এবং এক দেশ এক নির্বাচন বিল নিয়ে। সংসদের দুই কক্ষেই কোমর বেঁধে নেমেছিল সরকার পক্ষ। সপ্তাহভর। নেহরু, ইন্দিরা জমানা থেকে রাজীব গান্ধীর সময়, বারে বারে গান্ধী পরিবারের হাতে ভারতীয় সংবিধানের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে তোপ দেগেও শেষরক্ষা কি হল গেরুয়া পার্টির। কংগ্রেসের ৫৫ বছরের শাসনকালে সংবিধান সংশোধন হয়েছে ৭৭ বার। দোসর এক দেশ এক নির্বাচন বিল। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সরকারপক্ষ স্বস্তি পায়নি। উল্টে সপ্তাহ শেষের কিসসা দেশের সংসদীয় ইতিহাসে আর এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করল। সংসদ চত্বরে শাসক ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যদের লজ্জাজনক ধাক্কাধাক্কি। শাসকদলের দুই এমপি’র জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যেমন নাটকীয়, তেমনই পরপর দু’পক্ষের পার্লামেন্ট থানায় গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের মোটেও গৌরবের নয়। স্পিকার পদের গুরুত্ব মহান। সংসদ চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বিচারের কাণ্ডারী তিনিই। তাঁকে অন্ধকারে রেখে পুলিসের শরণাপন্ন হওয়া কি সুস্থ লক্ষণ, বিচারটা কি তিনি করতে পারতেন না? সংসদ কি তাহলে বিতর্কের বদলে শারীরিক কসরৎ ও শক্তি প্রদর্শনের জায়গা হল। দুই এমপি’র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা প্রমাণ করে প্রতিষ্ঠিত এলিট এমপিরা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বিরোধ মেটাতে ব্যর্থ। এবং ব্যর্থ হলেন বলেই মামলা পুলিস, থানা পর্যন্ত গড়াল। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের এই বহর সংসদীয় ইতিহাসে কি খুব উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে থাকল ভবিষ্যৎ ইতিহাসের জন্য? দেশের স্বাধীনতার মতোই সংবিধানের শতবর্ষও আসন্ন। সেদিন আমরা অনেকেই 
হয়তো থাকব না। কিন্তু মারামারি রক্তপাতের এই ইতিহাস নিয়ে সেদিন কিন্তু আজকের শাসক ও বিরোধী, দু’পক্ষকেই কাঠগড়ায় তোলার লোকের অভাব হবে না! 
এদেশে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা লাভের পর দু’দশক লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে হয়েছিল। ১৯৬৭ সালের পর থেকেই আলাদা আলাদা ভোট হয়, যা গত ৫৭ বছর ধরে চলে আসছে। আচমকা সেই ধারা বদলে বিজেপি এক দেশ এক নির্বাচনের নেশায় মত্ত কেন? দেশের ভালোর জন্য? স্রেফ খরচ ও সময়ের সাশ্রয়ের জন্য? নাকি বহুত্ববাদ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে একটি দল ও তার নেতার হাতে কেন্দ্রীভূত করতে? ভারতের বিশেষত্বই হল তার বহুত্ববাদ ও বিকেন্দ্রীকরণ মন্ত্র। সেই বিবিধ মত ও পথের অচিন পাখিকে একটি দল যদি কেন্দ্রীকরণের খাঁচায় বন্দি করতে চায়, তা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরই আঘাত। আঘাত সংবিধান ও স্বয়ং আম্বেদকরজির আদর্শের উপর। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিলটি পেশের সময় সরকারপক্ষ দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার পক্ষের অন্তত কুড়িজন সদস্যই ভোট দেয়নি। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রতিটি দলের উচিত এক দেশ এক নির্বাচনের জুমলাকে রুখে দেওয়া। একমাত্র তাহলেই সংবিধানের বহুত্ববাদ রক্ষিত হবে। অন্যথায় দেশে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি সংসদীয় ব্যবস্থায় চিরতরে গুরুত্ব হারাবে। গেরুয়া সংস্কৃতিই দেশের মূল চালিকাশক্তি হলে সংবিধানের সর্বনাশ!
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
১৪ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগে ২০১৭ সালে জেলে যায় আব্বাস আলি। সেই সময় তার বয়স ছিল ২৭। প্রায় তিনবছর জেলে ছিল সে। ...

ভোটব্যাঙ্কে ধরেছে ক্ষয়। এখন সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও নেই গতি। নেই দলের পক্ষে হাওয়া। এমন প্রেক্ষাপটে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে হাওয়া গরম করতেই পদ্মশিবির ফের পিপিএস ইস্যু নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জিগির তুলেছে। ...

কুয়েত সিটি: দু’দিনের কুয়েত সফরে শনিবার রামায়ণ ও মহাভারতের আরবি অনুবাদক আবদুল্লা আল বার‌ৌনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা বললেন এই দুই মহাকাব্যের আরবি সংস্করণের প্রকাশক আবদুল লতিফ আল নেসেফের সঙ্গেও। প্রকাশক আল নেসেফ জানান, ‘আমি খুব খুশি। ...

দীর্ঘ কর্মজীবনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে ১৫০ গ্রাম রুপোর কয়েন। আবার অবসর গ্রহণের সময় আলাদাভাবে ১০ গ্রাম সোনার কয়েন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় গণিত দিবস
১৭১৬ : ইংল্যান্ডে প্রথম মুকাভিনয় অনুষ্ঠিত
১৭৯৭ : কলকাতার শোভাবাজার রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও কলকাতায় প্রথম দুর্গাপুজার সূচনাকারী  রাজা নবকৃষ্ণ দেবের মৃত্যু
১৮৫১: ভারতে প্রথম মালবাহী ট্রেন চালু হয়।
১৮৫৩: বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটিতে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিনী সারদা দেবী
১৮৮৭: গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্ম
১৯৮৯: তিন দশক পরে খুলে দেওয়া হল বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবুর্গ গেট। কার্যত নাকচ হয়ে গেল পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির বিভাজন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৮ টাকা ৮৫.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৫ টাকা ১০৮.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪। সপ্তমী ২০/৩৮ দিবা ২/৩২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৬/৪৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/৪১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ গতে ৯/৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/২২ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ১/৫০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৯ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ১০/১৬ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে।  
৬ পৌষ, ১৪৩১, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৩/৩৪। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৮/৪। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। 
১৯ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শহরে মাদক উদ্ধার
বড়দিনের আগে শহরে মাদক উদ্ধার। এমডিএম‌এ ট্যাবলেট ও গাঁজা উদ্ধার ...বিশদ

12:48:54 PM

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দুর্গাবাড়ি মোড় এলাকায় মাঝ বোঝাই পিক আপ ভ্যানে ধাক্কা মারল লরি

12:45:00 PM

ধাপায় চাষের জমি থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার
ধাপা এলাকায় চাষের জমি থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার। সেই ...বিশদ

12:41:43 PM

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, চিঠিতে বিশেষ শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

12:37:00 PM

মা সারদার জন্মতিথিতে আসানসোলে রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্তদের ঢল

12:35:00 PM

দিল্লির দুটি স্কুলের বোমাতঙ্কের আসল কারণ জানল পুলিস
পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকমতো হয়নি। তাই স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পরীক্ষা বাতিলের ...বিশদ

12:21:22 PM