চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
এই ঘটনার পর আব্বাসের উপর বাড়তি নজর রাখতে শুরু করে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা রক্ষীরা। নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও সেই সময় জেলে থাকা কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আব্বাসের ব্যাপক দোস্তি তৈরি হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পেট চালানোর জন্য প্রথমে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। তারপর হরিহরপাড়ায় নিজের বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে একটি মাদ্রাসা খুলে এলাকার শিশুদের আরবি পড়ানোর নামে উগ্র মৌলবাদের প্রশিক্ষণ দিত সে। নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিল সে। সামাজিক মাধ্যমে আব্বাস তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে জানা গিয়েছে। তাদেরই নির্দেশ মতো স্লিপার সেলে নতুনদের রিক্রুট করার জন্য জেলের পুরনো দোস্তদের খোঁজ শুরু করে সে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোররাতে অসম রাইফেলস এবং রাজ্য পুলিসের এসটিএফ হরিহরপাড়ায় হানা দিয়ে আব্বাস ও মিনারুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। এলাকার শিশুদের মধ্যে দেশবিরোধী মনোভাব বিস্তার করাই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। নানাভাবে এলাকার শিশুদের আব্বাস নিজের মাদ্রাসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করত। আব্বাসদের এই মাদ্রাসায় কীভাবে প্রশিক্ষণ চলছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিত শীর্ষ জঙ্গিনেতারা। নভেম্বর মাসে বাংলাদেশি নাগরিক তথা এবিটি জঙ্গি রাজশাহির মহম্মদ শাদ রাদি ওরফে শাব শেখ পশ্চিমবঙ্গে এসে আব্বাসের সঙ্গে দেখা করে। তারপর সে কেরলে চলে যায়। শাদের উপর দায়িত্ব ছিল, বাংলা ও অসমে এবিটির স্লিপার সেলগুলি দ্রুত অ্যাক্টিভ করে গোপন অপারেশনাল ইউনিট হিসাবে কাজ করানোর। এই ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে ছিল, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সহিংস কার্যকলাপের জন্য জেহাদি প্রস্তুত করা। তাদের প্রথম টার্গেট ছিল শিলিগুড়ি ও কলকাতা। দলে দ্রুত নতুনদের রিক্রুট করার জন্য আব্বাস জেল থেকে ছাড়া পাওয়া কুখ্যাতদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি নিজের এলাকায় সাতবছর থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের নিজের মাদ্রাসায় এনে মগজধোলাই করে দেশবিরোধী মনোভাব বিস্তার করার কাজ চালাচ্ছিল সে। আর এই গোটা মডেলে টাকা ঢালছিল এবিটি।