চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
১৯২৪ সাল থেকে পরিষেবা শুরু করে কলকাতা বিমানবন্দর। এ বছর শতবর্ষে পা রেখেছে দেশের প্রথম এই বিমানবন্দর। শনিবার বিকেলে শতবর্ষ উদযাপন করল এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া। এই অনুষ্ঠান ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার রেশ বজায় থাকল অনুষ্ঠানের দিনও। এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্টচুয়াল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আগেই অভিযোগ করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কলকাতা বিমানবন্দরের শতবর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপন করছে। এই ঘটনা বাংলার সঙ্গে অপমান। তাই তারা এই অনুষ্ঠান বয়কট করছে। এদিন দেখা গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের কোনও আধিকারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী ইউনিয়নের কর্মকর্তা এবং কর্মীরাও গরহাজির ছিলেন। মঞ্চে বক্তৃতা রাখার সময় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় কলকাতা বিমানবন্দরের খোঁজ রাখেন। যাত্রী পরিষেবা যেন ঠিকঠাক থাকে এবং বিমান চলাচল যেন স্বাভাবিক ছন্দে হয় সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নেন। আগামী এক বছর ধরে কলকাতা বিমানবন্দরের শতবর্ষের অনুষ্ঠান হবে। ফলে আগামী দিন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানে আনার বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি এলে আমরা আরও আনন্দিত হব।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জারাপ্পু এদিন প্রথম কলকাতায় আসেন। কিন্তু বাংলার মানুষের ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত তিনি। কলকাতা বিমানবন্দরের নকশা দেখে খুশি। আইকনিক হিসেবে আখ্যাও দেন। আগামী দিন কলকাতা থেকে দেশ এবং দেশের বাইরে একাধিক শহরে যাতে বিমান পরিষেবা বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে কেন্দ্র উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান। এছাড়াও জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে মহিলা কর্মচারীর সংখ্যা ২৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করা হবে। দেশের আমজনতা যাতে বিমানের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারে সেটাই লক্ষ্য। উড়ান যাত্রী ক্যাফে উদ্বোধন করা হয়েছে। কম দামে কফি এবং স্ন্যাকস পাওয়া যাবে। আগামী দিন অন্যান্য বিমানবন্দরেও তা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের আরও উন্নতির কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলীধর মোহল। কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে সিলভার কয়েন এবং স্ট্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র