পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এমআইসি দুলাল দত্ত বলেন, পানীয় জলের ফুলবাড়ি প্লান্টের একটি ইউনিট জরুরি ভিত্তিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এজন্য শহরে আংশিকভাবে জল সরবরাহ বিঘ্ন হবে। তা সামাল দিতে ট্যাঙ্ক নামানো হচ্ছে। এতে নাগরিকদের যাতে সমস্যা না হয় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
তিস্তা ও মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানেলের উপর নির্ভর করেই বিগত বামফ্রন্ট জমানায় ফুলবাড়িতে তৈরি করা হয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। পুরসভা সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট প্লান্টে অপরিস্রুত জল পরিশোধিত করতে দু’টি ইউনিট আছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীর জলের সঙ্গে ঢুকেছে পলি। যারজেরে একটি ইউনিট কার্যত বিপর্যস্ত। ফলে জলস্তরের উচ্চতা অনেকটাই কমেছে। যেকোনও দিন সংশ্লিষ্ট ইউনিট অকেজো হতে পারে বলে আশঙ্কা। সেজন্য পলির স্তূপ সরানোর অপারেশনে নামা হয়েছে।
এদিন পাম্প চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে জল বাইরে বের করা হয়। প্রথমদিন অপারেশনে নামেন প্রায় ২০ জন শ্রমিক। আজ, থেকে ৪০ জন কাজ করবেন। এজন্য আগামী চার-পাঁচদিন শহরে একবেলা পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। এমআইসি বলেন, ২০১২ সালের পর সংশ্লিষ্ট ইউনিট সংস্কার করা হয়নি। এবার আমাদের বোর্ড ইউনিটটি সংস্কার করছে। বর্তমানে জল পরিস্রুত করার একটি ইউনিট স্বাভাবিক রয়েছে। তা দিয়ে দু’বেলার পরিবর্তে একবেলা জল দেব আমরা। নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়ে আগাম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মাইকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য শহর শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সঙ্কট দীর্ঘদিনের। এখানে চাহিদার তুলনায় জল সবরাহের পরিমাণ অনেকটাই কম। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৪৭টি ওয়ার্ডে দৈনিক জলের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ান লিটার। কিন্তু ফুলবাড়ি প্লান্টে দৈনিক ৫৫ মিলিয়ান লিটার জল পরিস্রুত করা হয়। এখন একটি ইউনিট বন্ধ থাকায় তা কমে দাঁড়াবে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ান লিটারে। স্বভাবতই শীতের মরশুমেও শহরে পানীয় জলের সঙ্কট চরমে উঠবে। বাজার থেকে জল কিনেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে বলে নাগরিকদের আশঙ্কা। যদিও এমআইসি বলেন, সমস্যা মোকাবিলায় তিন হাজার লিটারের ২৫টি এবং পাঁচ হাজার লিটারের পাঁচটি ট্যাঙ্ক নামানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।