Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। চীনের নেতারা তিয়েন‌আনমেন স্কোয়ারকে দমন-নিপীড়নের প্রতীক থেকে মুক্ত করে দেশের উদার, মুক্ত পরিবেশ এবং নতুন শক্তির প্রতীকে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
ওলিম্পিক্স আয়োজন করে গোটা দুনিয়ায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিল চীন। এই আয়োজন তাদের অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন ভাবনা নিয়েই এগিয়েছিলেন চীনের নেতারা। ওলিম্পিক্সের কয়েক মাস আগে চীনের নেতারা একটি নিউ ডিজনিল্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেন। একইসঙ্গে তাঁদের দেশের ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ইংরেজি শেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেন পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয়। তিয়েনআনমেনের ইতিহাস ভুলে বিশ্ব যেন নতুন চীনকে চিনতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক এরিখ শোয়ার্টজেলের তাঁর ‘রেড কার্পেট: হলিউড, চায়না অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল ব্যাটল ফর কালচারাল সুপ্রিমেসি’ বইয়ে লিখছেন, হলিউডে তখন ভিন্ন এক ঘড়ি টিকটিক করছিল। একসময়ের নিশ্ছিদ্র ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ফাটল তৈরি হচ্ছিল। হলিউডে তখন সাংস্কৃতিক বাঁক পরিবর্তনের সময় চলছিল। হলিউডকে টিকতে হলে প্রয়োজন ছিল চীনের বিশাল বাজার। আর বেজিংও চাইছিল, হলিউড চীনের দিকে 
ঝুঁকতে বাধ্য হোক। ওলিম্পিক্সে প্রবেশ করার 
আগে চীনের নেতারা এই ভাবনা থেকেই থিম 
পার্কের চিন্তা করেছিলেন।
২০০৮ সালে ডিজনি কর্তা রবার্ট ইগার সাংহাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ইউ ঝেংশেংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তাঁর কোম্পানিকে চীনে প্রবেশ করতে দু’টি বড় ছাড় দেন। একটি ছিল, চীনা কোম্পানি ডিজনি থিম পার্কের ৫৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারবে। এছাড়া রুম ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং মিকি মাউসের টুপি কেনা থেকেও ব্যবসা করতে পারবে চীনা কোম্পানি। দ্বিতীয়টি ছিল, চীনের এয়ারওয়েবের অনুমতি পেতে ডিজনি চ্যানেলে নিজেদের প্রচার বাদ দেবেন। চীনের নেতারা সেখানেই থেমে থাকেননি। তাঁরা তাঁদের নাগরিকদের জন্য ডিজনিতে আরও সুযোগ সুবিধে বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তারপরও হলিউডের কোম্পানিগুলির জন্য চীনের বাজার ছিল সেরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। ওয়াল স্ট্রিটও সেই মুহূর্তে হলিউডের চীনমুখী ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। কারণ, শেয়ারহোল্ডারদের খুশি রাখতে চীনের বিশাল বাজারের প্রয়োজন ছিল হলিউডের। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বেজিং।
আত্মজীবনীধর্মী বই ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’ লিখেছিলেন হেনরিখ হারের। ১৯৯৭ সালে এর উপর ভিত্তি করে একই নামে নির্মিত হয় হলিউড সিনেমা। কিন্তু চীন নিয়ে গল্প বলতে গেলে চীনের সঙ্গে সমঝোতা করেই যেন চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে তিব্বতে শুটিং চলতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে লাতিন আমেরিকায় তৈরি করা হয় তিব্বতের প্রতিরূপ। তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। সিনেমা মুক্তির প্রসঙ্গে বেঁকে বসে চীনের সেন্সর বোর্ড। প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু সোনির পরবর্তী সিনেমা নয়, প্রযোজক জিন-জ্যাক আনাউদ ও অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় চীনে। নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি চিন্তা করে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় সোনি পিকচার্স। এত বড় বাজার হাতছাড়া করা যে কারও জন্য বোকামি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তারা চীনের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছায়। প্রায় একই ঘটনা ঘটে ‘কুন্দুন’ নির্মাণের পর। নিষিদ্ধ হয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ডিজনি, পরিচালক মার্টিন স্করসেসি ও সংশ্লিষ্টরা। দু’টি সিনেমার পরিণতি হলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজকদের পরবর্তী সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
গত তিন দশকে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে হলিউড ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে। একদিকে কুন্দুন ও সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেটের বাণিজ্যিক সঙ্কট ও অন্যদিকে কুংফু পান্ডার সাফল্য ভাবতে বাধ্য করেছে হলিউডের স্টুডিওগুলিকে। চীনের বাজারে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে তারা এখন নিজেরাই বিশেষ ধরনের সেন্সরশিপের মধ্যে দিয়ে এগচ্ছে। একইসঙ্গে চীনের চলচ্চিত্র নির্মাতারাও হলিউডের দিকে ঝুঁকছেন। এটা এক ধরনের সূক্ষ্ম যুদ্ধ। সাংস্কৃতিক আধিপত্যের জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রের গতিপথ। নব্বইয়ের দশকে ডিজনি ও সনি পিকচার্স যা করেছে, এখন তারা নিজেরাই তা থেকে দূরে থাকতে চায়। দলাই লামা, তিব্বত, ধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ের চিত্রায়ণে চীনকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রয়োজনে স্ক্রিপ্ট পুনরায় পড়া হবে, যেন চীন থেকে নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত না আসে। এর মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেন্সরশিপের সংস্কৃতি। স্টুডিওর সিইওরা বেজিং কী চায় ও কী চায় না, এ বিষয়ে রীতিমতো বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। স্টুডিও প্রধানরা এমনভাবে স্ক্রিপ্ট পড়েন, যেন তারা বেজিংয়ের সেন্সর বোর্ড। সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন যেকোনও কিছু নিয়ে তারা সতর্ক। মাত্র দু’টি উদাহরণ তৈরি করতে হয়েছে চীনকে। তারা ‘‌কুন্দুন’ ও ‘‌সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট’-এর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেই অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, দলাই লামা নিয়ে কোনও কথা বলা যাবে না!
এর একটাই কারণ, দেড় দশক আগে থেকেই হলিউডের বাজার সঙ্কুচিত হতে থাকে। ২০০৩ সালে শুধুমাত্র ‘‌ফাইন্ডিং নিমো’ সিনেমারই আট কোটি ডিভিডি কপি বিক্রি করেছিল ডিজনি। অথচ, ২০০৮ সালের মধ্যে সেই ডিভিডি ব্যবসা সঙ্কুচিত হয়েছে ৩৩ শতাংশ। দর্শক হারানোর জন্য তাদের আয়ের অর্ধেক উধাও হয়ে গিয়েছে। ঠিক একই সময়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছিল চীন। হলিউডের বিপরীতে যেন নতুন ফ্রন্ট হিসেবে দেখা দেয় চীনের চলচ্চিত্র শিল্প। ২০০৮ সালের পর থেকেই চীনের বক্স অফিস দ্রুত বড় হতে থাকে। স্টুডিওগুলিতে চীনকে মাথায় রেখে সিনেমা নির্মাণের প্রবণতা বাড়ে। পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে বাড়তে থাকে বাজেট। চীনের বাজার তো আর বিদেশের আট-দশটা বাজারের মতো নয়। সেখানকার রাজনৈতিক দল ও সেন্সর বোর্ড নিজেদের সংস্কৃতির জন্য উপযোগী কি না, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিটি সিনেমা দেখার পরেই মুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এই কারণেই ‘‌মিশন ইম্পসিবল থ্রি’ থেকে কিছু দৃশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়, ‘‌ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট পুনরায় লেখা হয় এবং ‘‌স্কাইফল’ থেকে কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়। তার চেয়ে বড় কথা ‘রেড ডন’ সিনেমার কিছু অংশ চীনে মুক্তি পাওয়ার জন্য 
পুনরায় নির্মাণ করতে হয়।
প্রযোজকরা চীনের আপত্তি মেনে নিয়েছেন। বেজিংকে সন্তুষ্ট রাখতে চীনের কোনও একটা শহর, কোনও একটা রেস্তরাঁ অথবা কোনও একটা ব্যক্তিকে হাজির করছেন সিনেমায়। ‘‌ট্রান্সফরমার: এজ অব এক্সটিংকশন’ সিনেমায় যে হংকংকে দেখা যায়, তা এই দীর্ঘ অভিযোজন প্রক্রিয়ারই দলিল। এভাবেই চীন তার বক্স অফিসের মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক পাটাতন দাঁড় করিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের শর্তে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা তাদের নীতি নিয়ে সবসময়ই কঠোর। যে স্টুডিওগুলি চীনের বাজারে প্রবেশ করতে চায়, তাদের অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে।
হলিউড দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আদর্শ সিনেমার মাধ্যমে রপ্তানি করে চলেছে। বিক্রি করেছে আমেরিকার ধাঁচে গণতান্ত্রিক চেতনা ও পশ্চিমের ব্যাকরণ মানা স্বাধীনতা ও উদারনৈতিকতা। সুযোগ পেলেই চিত্রিত হয়েছে আমেরিকানদের বীরত্ব এবং সামরিক শক্তি। চীন কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। সেখানকার সরকারও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি 
রপ্তানির প্রচেষ্টায়। তার জন্য হলিউডই সেরা পথ। বিশ শতকের সফল অস্ত্রগুলির একটি হচ্ছে আমেরিকান সফট পাওয়ার। যা আমেরিকাকে আধিপত্য বিস্তারে সহযোগিতা করেছে। চীন শুধু তাকেই অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচারিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমেরিকার প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্শাল প্ল্যানের সময় থেকেই চলচ্চিত্রগুলি হোয়াইট হাউসের সরঞ্জামে পরিণত। তার মানে যে রাজনৈতিক প্রচার কম থাকা সিনেমা তৈরি হয়নি, এমনটা নয়। কিন্তু সেগুলিও আমেরিকান সংস্কৃতিকেই সর্বজনীন করার প্রচেষ্টার অংশ। ‘‌ডার্টি ড্যান্সিং’ ও ‘‌ব্যাক টু দ্য ফিউচার’-এর মতো সিনেমাগুলি মার্কিন 
তারকাদের আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত করেছে। তবে চীনের প্রচেষ্টা দ্বিমুখী। প্রথমত, প্রোপাগান্ডা মুভি বা মেন মেলোডি তৈরি, যেখানে সরকার বেশ ভালোভাবেই নাক গলায়। এর বাইরে রয়েছে সত্যিকার প্রচেষ্টা, যা বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি করছে। চীনের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে বিশ্বের দরবারে। যেভাবে মার্কিন জীবন সম্পর্কে সিনেমাগুলি আমেরিকাকে তুলে ধরে।
আজ ‘নেটফ্লিক্স’ প্রায় ১৯০টি দেশে দেখা যায়। কিন্তু চীনের বড় বাজারটি তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি। নেটফ্লিক্সের কর্তারা চীন সরকারের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেও এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারটির নাগাল পায়নি। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চীনে এখন বেশি জনপ্রিয়, কিন্তু সে বাজারে নেটফ্লিক্স এখনও পা রাখতে পারেনি। চীন সরকার এক্ষেত্রে তার স্ট্রিমিং বাজারকে বাইরের কোম্পানির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন সরকার তাদের সাংস্কৃতিক নীতি পরিবর্তন ও বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার শক্তি এবং বহুজাতিক পুঁজিকে ব্যবহার করে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রকে মুনাফা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত করেছে। সরকারের নীতি চীনের স্থানীয় সাংস্কৃতিক বাতাবরণ নতুন করে নির্মাণ করেছে, একই সঙ্গে তারা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও নিজেদের প্রভাব বিস্তৃত করেছে। ফলে হলিউডের র‌্যাম্বোর জায়গা চীনের স্পেশাল ফোর্সের লেং ফেং কতটা নিতে পারবে সেটা এই শতকেই নির্ধারণ হয়ে যাবে। সেই লড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে লড়েন, সেটাই দেখার!
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
একনজরে
বাংলা হল মিলনক্ষেত্র। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। সমস্ত উৎসবে একসঙ্গে মাতোয়ারা, আবার সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সম্প্রীতির চিরন্তন মেলবন্ধনকেই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনে মাতল গৌড়বঙ্গ। চার্চ থেকে বিনোদন পার্ক, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল- ভিড় সর্বত্র। দিকে দিকে বসল পিকনিকের আসরও। ছুটির দিনে চলল হই ...

মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য অসম পুলিসের। শ্রীভূমি জেলার পুলিস হাতিখিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে দেড় লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাঁচিল চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু
বাড়ির পাশে খেলার সময় পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হল চার ...বিশদ

02:17:57 PM

কর্ণাটকের বেলাগাভিতে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী

02:10:24 PM

চতুর্থ টেস্ট: ম্যাচ ফি-এর ২০ শতাংশ জরিমানা কোহলির

02:08:00 PM

১৭জন  পড়ুয়াকে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল’ পুরষ্কার দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

02:02:00 PM

শেয়ার বাজারে জোয়ার, নভেম্বর মাসে স্টক মার্কেটে যুক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ নতুন বিনিয়োগকারী

01:47:00 PM

ইন্ডিয়া জোট থেকে কংগ্রেসকে বহিষ্কার করা হোক, দাবি আপের

01:45:00 PM