পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কর্মী পিএফে সুদের হারে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তনই হয়নি। বরং অধিকাংশ অর্থবর্ষেই তা কমানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তা বাড়লেও তা ছিল একেবারে নগণ্য। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ইপিএফ গ্রাহকরা বার্ষিক ৮.৮০ শতাংশ হারে সুদ পেতেন। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সেই সুদের হার কমে হয়েছে ৮.২৫ শতাংশ। কেন্দ্রের মোদি সরকারের আমলে যেসব অর্থবর্ষে তার আগের বছরের তুলনায় ইপিএফে সুদের হার সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল, সেগুলি হল ২০১৮-১৯ এবং ২০২২-২৩। দুবারই লোকসভা ভোটের আগে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে সুদের হার ৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ইপিএফ গ্রাহকদের একটি বড় অংশের প্রশ্ন, মধ্যবিত্তের পকেট কি নির্ভর করবে নির্বাচনী আবহের উপর?
একইসঙ্গে শ্রমমন্ত্রকের আর একটি সূত্রের দাবি, ইপিএফও অছি পরিষদের আগামী বৈঠকে কর্মী পিএফের মাসিক বেতনের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই চর্চায় রয়েছে যে, মাসিক বেতনের এই ঊর্ধ্বসীমার পরিমাণ ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হতে পারে। অর্থাৎ, বর্তমানে যেসব ইপিএফ গ্রাহকের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান। ঊর্ধ্বসীমার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেইমতোই কর্মী পিএফের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়ে অবশ্য শ্রমমন্ত্রক এবং ইপিএফও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইপিএফও অছি পরিষদের এক সদস্য বলেন, আগামী মাসেই এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক বসার কথা। সেখানেই অছি পরিষদের মিটিংয়ের যাবতীয় এজেন্ডা প্রকাশ্যে আসবে।