কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়াদের সংগঠনের তরফে বৃহস্পতিবার একটি আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রিজভি বলেন, শেখ হাসিনা গোয়েন্দাদের দিয়ে যে কাজ করিয়েছেন, এখনও তো সেটাই হচ্ছে। গোয়েন্দার সংস্থার লোকজন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বলছে, অমুকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারা কোন রাজনৈতিক দল করবেন, কারা নির্বাচিত হবেন-তা যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যদি ঠিক করে দেয়, তাহলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের, এত আত্মত্যাগের সার্থকতা কী থাকল? শুক্রবার ঢাকার অন্য একটি অনুষ্ঠানে রিজভি জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, যে কেউ রাজনৈতিক দল তৈরি করতে পারে। কিন্তু যদি রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কোনও দল গঠন হয়, তাহলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করার জন্য ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক সংস্কারের দোহাই দিয়ে অন্তত এক বছরের জন্য সেই নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছেন ইউনুস। প্রয়োজন হলে নির্বাচন আরও পিছিয়ে দেওয়া হতে পারেও বলে জানিয়েছেন তিনি। আর তারপর থেকেই পদ্মাপারের দেশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ইউনুস নিজেও ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে আসতে চাইছেন? আর সেই প্রেক্ষিতে রিজভির অভিযোগ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে, প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়ে এখনও অনড় ইউনুস। যদিও চাপের মুখে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা নরম হয়েছেন ইউনুস। শুক্রবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা দাবি করেন, ঐক্যবিহীন সংস্কার বা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন। ইউনুস বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সময়ে চলতে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল সব নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে।’