কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
বিগত ১২ মাসে প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা কেউই অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিগুলি নিয়ে একবারও উচ্চবাচ্য করেননি। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও মন্দা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে, তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন অন্যান্য বিষয়ে। দিয়েছেন নানাবিধ গালভরা প্রতিশ্রুতি। কী ছিল সেই প্রতিশ্রতি? সকলের মাথার উপর ছাদ হবে। সব ঘরে পানীয় জলের নল যাবে। কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের ইকনমি হবে। একটাও হয়েছে? হয়নি। সোজা কথায়, ২০১৪ সাল চলে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে মোদি বাহিনীর এই লাগাতার প্রতিশ্রুতির একটিও রক্ষা হয়নি। কিন্তু সত্যিই কী কিছু হয়নি? হয়েছে। দেশ পিছিয়ে গিয়েছে অন্তত চার বছর। ভারত সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ মঙ্গলবার দেশের অর্থনীতির যে প্রথম পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জিডিপি হবে ৬.৪ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশার তুলনাতেও তা ২০ বেসিস পয়েন্ট কম। এত কম জিডিপি বৃদ্ধির হার শেষবার ছিল চার বছর আগে। পূর্ববর্তী বছরে এই হার ছিল ৮.২ শতাংশ।
এদিনের তথ্যে দেখা গিয়েছে, একমাত্র কৃষি ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বৃদ্ধির হার বেশি হয়েছে। ৩.৮ শতাংশ। কিন্তু উৎপাদন, রিয়াল এস্টেট, কোর সেক্টর, পরিষেবা— প্রতিটি সেক্টরই ২০২৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কেন? কারণ চলতি আর্থিক বছরের শুরু থেকেই মোদি সরকারের একমাত্র নেশা ছিল চারশো পার হওয়া। অর্থনীতির উন্নয়ন অভিমুখে কোনও কাজই হয়নি। পরিকাঠামো খাতে ব্যয় হয়নি। ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার হয়নি। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কোনও সহায়তা হয়নি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনও আগ্রহই দেখা যায়নি। তাহলে সরকার এবং সরকারের পরিচালকরা কী করেছেন? গত বছর জুড়েই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন কিংবা এক হ্যায় তো, সেফ হ্যায় অথবা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং মন্দির মসজিদের সমীক্ষা— এসবেই গা ভাসিয়েছে শাসক দল। যার নিট ফল, ক্ষয়ে গিয়েছে অর্থনীতি।